Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2020

পারিজাত/পাখিফুল

পারিজাত/পাখিফুল বৈজ্ঞানিক নাম: Brownea coccinea পরিচিতি: পাখিফুলগাছ ছোট আকারের উদ্ভিদ। ফুল সাধারণত গোলাপি ও লালবর্ণের হয়ে থাকে। পাতা যৌগিক, একান্তর ও অগ্রভাগ সরু। প্রতিটি পাতায় ১০-১৪টি পত্রক থাকে। পুষ্পমঞ্জরীতে প্রান্তিক ফুলগুলো আগে ফোটে এবং ক্রমশ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়। গুচ্ছবদ্ধ পুষ্পমঞ্জরীটি ৩০-৪০টি ফুলের ঠাসবুননি, যা ভারি সুন্দর দেখায় এবং একটি ফুল মনে হয়। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল দেখতে সুন্দর কিন্তু গন্ধহীন। সাধারণত দাবা কলমের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করা যায়। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এ গাছটি ভালো জন্মে। হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে গাছটি স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের রাজ সভার ফুল বলে উল্লেখ আছে। শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে জোড়া পাখি ফুল ব্রাউনিয়া (Brownea coccinea). ভেনেজুয়েলার গোলাপ, mountain rose ইত্যাদি আরো কত নাম আছে এর। ফুল দুটি সম্পূর্ণ ফুটতে আরো চার-পাঁচ দিন লাগবে। সবকটি ক্ষুদ্র ফুল ফোটা শেষ হলে, সম্পূর্ণ ফুলটি নরম নিটোল বলের মতো দেখাবে। আর তখনই বাইরের সারি থেকে একটু দুটি করে ক্ষুদ্র ফুল ঝরে যেতে থাকবে। ঝরে পড়া শুকনো পাতার ওপর ফুটে উঠবে রঙিন আলপনা। অপূর

তেলাকুচা

তেলাকুচা বৈজ্ঞানিক নাম: Coccinia grandis পরিচিতি: তেলাকুচা একজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ।গাঢ় সবুজ রঙের পাতা এবং কাণ্ড এই উদ্ভিদটি আমাদের দেশের প্রায় সব স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। বন্য লতা। কাণ্ড নরম ও দূর্বল। পঞ্চভূজ আকৃতির পাতা, পাতা ও লতার রং সবুজ। শীতকালছাড়া সব মৌসুমেই তেলাকুচার ফুল ও ফল হয়ে থাকে। ফল ধরার ৪ মাস পর পাকে এবং পাকলে টকটকে লাল হয়। ডায়াবেটিক রোগে তেলাকুচার কান্ডসহ পাতার রস বানিয়ে আধাকাপ করে সকাল ও বিকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়। জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস বানিয়ে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেলে উপকার হয়। পায়ে পানি জমে পা ফুলে গেলে তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা-চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Camelia

 Camelia

পানিকা

 পানিকা  cuphea flower

ফুলের নাম- মোরগ ফুল, মোরগঝুটি ফুল, cockscomb flower

  ফুলের নাম- মোরগ ফুল, মোরগঝুটি ফুল, cockscomb flower বৈজ্ঞানিক নাম- Celosia argentea পরিবার- Amaranthaceae ক্রান্তীয় এশিয়ার প্রজাতি। প্রচলিত তিনটি ভ্যারাইটি রয়েছে- C. argentea var. argentea, C. argentea var. cristata, C. argentea var. plumosa Voss . গাছের কান্ড পুরু ও লালচে বা সাদা। পাতা লম্বা, ভল্লাকার। রেশমি পালকের মতো ছোট ছোট ফুলের ঠাসা মঞ্জরি। নানা রঙের ফুল- লাল, কমলা, হলুদ, সোনালী, সাদা। গাছ সাধারণত ৩০-৯০ সেমি লম্বা হয়। বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে। ফুল ও পাতা খাওয়া যায় তাই আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এর বেশ কদর রয়েছে। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ও উইকিপিডিয়া ছবি- নেট

করিওপ্‌সিস

ফুলের নাম- করিওপ্‌সিস বৈজ্ঞানিক নাম- Coreopsis tinctoria পরিবার- Asteraceae গাছ লম্বা(৬১-৯০ সেমি) বা খাটো(২২-৩০ সেমি), কান্ড সরু, শক্ত। পাতা সবুজ, সরু সরু, ফালি কাটা। ফুল ছোট, গাঢ়-লাল বা হলুদ-বাদামি। শীত ছাড়া অন্য ঋতুতেও ফোঁটে। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ছবি- নেট

পিটুনিয়া

ফুলের নাম- পিটুনিয়া বৈজ্ঞানিক নাম- Petunia spp. পরিবার- Solanaceae দক্ষিণ আমেরিকার প্রজাতি। গড়ান রোমশ গাছ। পাতা গোল, পুরু ও রোমশ। ফুল ফানেলের মতো, মুখ ৫-১০ সেমি চওড়া। সিঙ্গল বা ডাবল, নানা রঙের- সাদা, গোলাপী, লাল, বেগুনি, মিশ্রবর্ণের। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ছবি- নেট

নাস্টারশিয়াম

ফুলের নাম- নাস্টারশিয়াম নাস্টারশিয়াম লতানো গাছ। পাতা অনেকটা কুমড়াপাতার মতো। তবে আকৃতিতে কুমড়াপাতার চাইতে অনেক ছোট। বহুকোণী এ পাতা দেখতে সুন্দর। সবুজ পাতায় ছাওয়া কেয়ারিতে কমলা বা হলুদ ফুল ফোটে। কমলা ছাড়াও হলুদ ও লাল রঙের ফুল দেখা যায়। ফুলের পাঁচটি পাপড়িতে গাঢ় রঙের দাগ কাটা থাকে। সুন্দর নাস্টারশিয়ামের দেখা পাওয়া যাবে রমনা, কার্জন হল আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে। নাস্টারশিয়ামের বৈজ্ঞানিক নাম Tropaeolum majus. তথ্যসূত্র- কালের কন্ঠ ছবি- নেট

ফুলের নাম- গাজানিয়া, Treasure flower

ফুলের নাম- গাজানিয়া, Treasure flower বৈজ্ঞানিক নাম- Gazania spp. পরিবার- Asteraceae Gazania মূলত একটি গণের নাম। ১৭৯১ সালে জার্মান উদ্ভিদবিদ Joseph Gaertner তার “De Fructibus et Seminibus Plantarum” বইয়ের দ্বিতীয় খন্ডে সর্বপ্রথম এই গণ সম্পর্কে ধারণা দেন। বিখ্যাত অনুবাদক Theodorus Gaza এর সম্মানে তিনি গণের নাম দেন গাজানিয়া। বিদেশি ফুল হলেও আমাদের দেশে শীতের ফুলের বাগানে এখন গাজানিয়ার বেশ কদর। গাজানিয়া গণের মধ্যে Gazania rigens (syn. G. splendens) প্রজাতির চাহিদা বা ব্যাপকতা বেশি। Gazania rigens (syn. G. splendens) এর কয়েকটি প্রাকৃতিক ভ্যারাইটি রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য সংকর ভ্যারাইটি রয়েছে। গাজানিয়া গাছ ছোট, ছড়ানো, ৫০ সেমি বা ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছ সামান্য কাষ্ঠল, বহুবর্ষজীবী। পাতা ও কান্ড রোমশ। ফুল ডেইজির মতো, উজ্জ্বল রঙের, কিছু ফুলের পাপড়িতে ডোরাকাঁটা থাকে, যা ফুলকে করেছে দারুন আকর্ষণীয়। ছবি- নেট

Sweet alyssum, sweet alison

ফুলের নাম- Sweet alyssum, sweet alison বৈজ্ঞানিক নাম- Lobularia maritima(syn. Alyssum maritimum) পরিবার- Brassicaceae শীতের বাগানে বিদেশি অতিথি। আমাদের দেশি সরিষা ফুলের আত্মীয় হওয়ায় দুইটি ফুলে অনেক মিল আছে। ফুল খুব ছোট। গাছগুলো ২-১২ইঞ্চি লম্বা ও প্রায় ৮-১২ইঞ্চি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকে, বাঁচে একবছর। ডালপালা বহু শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে যায় আর গাছ ভরে ফোঁটে থোঁকায় থোঁকায় ফুল। ফুল ছোট, ৫মিমি ব্যাস, ৪টি পাপড়ি, ৪টি বৃতি, সুগন্ধি, বেশ কয়েকটি রঙ ও হাইব্রিড জাত রয়েছে। সাদা, গোলাপী, বেগুনি, লালচে বেগুনি রঙের ফুলগুলির চারা সংগ্রহ করতে পারেন আশেপাশের নার্সারী থেকে। বাগানের বর্ডার কিংবা হ্যাঙ্গিং পটে লাগানো যায়। ছবি- নেট

শ্রিম্প ফ্লাওয়ার

ফুলের নাম- শ্রিম্প ফ্লাওয়ার বৈজ্ঞানিক নাম- Justicia brandegeana পরিবার- Acanthaceae অন্যান্য নাম- Mexican shrimp plant, shrimp plant, false hop মেক্সিকো ও ফ্লোরিডার প্রজাতি। সাধারণত ১ মিটার পর্যন্ত উচু হয় এই গাছগুলো। ডিম্বাকার, সবুজ পাতা, ৩-৭.৫ সেমি লম্বা। বাসক ফুলের মতো সাদা ফুল লাল ব্রাক্টের ভিতর থেকে বেরোয়। অনেকগুলো লাল ব্রাক্ট এমনভাবে থাকে যা দেখতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো তাই গাছের নাম- শ্রিম্প প্ল্যান্ট। হলুদ রঙের ব্রাক্টযুক্ত গাছ ও আছে। ছবি- নেট

গ্লাডিওলাস

ফুলের নাম- গ্লাডিওলাস বৈজ্ঞানিক নাম- Gladiolus spp. পরিবার- Iridaceae দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি। বাল্ব এর মাধ্যমে চারা গজায়। পাতা ছুরির মতো। তাই একে Sword lily ও বলা হয়। মাঝখানের ডাঁটার আগায় বড় বড় ফুল, নানা রঙ ও গড়ন। প্রথম ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে যথাসম্ভব গোঁড়ার দিকে ধারালো ছুরি দিয়ে ডাঁটা কাটতে হয়, পরে ফুলদানিতে একে একে সবগুলো ফুল ফোটে। ছবি- নেট

Butterfly Flower, Poor Man's Orchid, Fringe flower

ফুলের নাম- Butterfly Flower, Poor Man's Orchid, Fringe flower বৈজ্ঞানিক নাম- Schizanthus pinnatus পরিবার- Solanaceae দক্ষিণ-আমেরিকার প্রজাতি। ছোট, ঝোপাল গাছগুলো সুন্দর ফুলের জন্য বাগানে লাগানো হয়। গাছ বর্ষজীবী, প্রায় ১৮ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতা ফার্ণ এর পাতার মতো খাজকাটা। গাছভরে ফুল ফোটে, নানান রঙ ও হাইব্রিড জাত রয়েছে, ঘ্রাণহীন। ফুলবিহীন গাছ তার পাতার জন্য আকর্ষণীয় এবং ফুল কাট-ফ্লাওয়ার হিসেবে ফুলদানিতে বেশ কিছুদিন তাজা থাকে। ছবি- নেট

ক্যালিয়ান্ড্রা, পাউডার পাফ

ফুলের নাম- ক্যালিয়ান্ড্রা, পাউডার পাফ বৈজ্ঞানিক নাম- Calliandra spp. পরিবার- Fabaceae Fabaceae পরিবারের প্রায় ১৪০ প্রজাতির গাছ নিয়ে গঠিত গণের নাম Calliandra। গাছগুলো আমাদের বেশ পরিচিত। বাগানে প্রায়ই ঝোপ করে রাখতে দেখা যায়। ছড়ান পুংকেশরে সাজানো লাল টুকটুকে ফুল, সহজেই মন ভোলায়! গাছগুলোর আদিনিবাস আমেরিকা মহাদেশের উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চল। বাগানের গাছ হিসেবে কয়েকটি প্রজাতি বেশ জনপ্রিয় হওয়ায় ছড়িয়ে গেছে অন্যান্য দেশে-মহাদেশে। Calliandra haematocaphala: ইংরেজিতে পরিচিত নাম- red powder puff। গাছগুলো গুল্ম বা ছোট বৃক্ষজাতীয়। খুব দ্রুতবর্ধনশীল। লম্বায় বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রচুর ডালপালা মেলে দেয়। বাগানে ছেটে ছোট করে রাখা হয়। পাতা যৌগপত্র, ২পক্ষল, প্রত্যেক পক্ষে ৮-১০ জোড়া পত্রিকা। ফুল লাল রঙের, ঘন এবং অসংখ্য পুংকেশর, শরৎ ও শীতে ফুল। সাদা ফুলেরও একটি ভ্যারাইটি আছে। Calliandra emerginata: ইংরেজি নাম- Dwarf poder puff। এরা মাঝারি আকৃতির গুল্ম। পাতা যৌগপত্র, খুব খাটো, প্রতি পক্ষে ৩ পত্রিকা, নিচের পত্রিকা ছোট, উপরের ২টি বড়, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বেশি ফুল ফোটে। Calliandra brevipes: ১.৫-২ মিটার উঁচু গাছ। পাতা যৌগপত্র,

Wooly Congea

ফুলের নাম- Wooly Congea, Wooly Shower Orchid, Shower of Orchids বৈজ্ঞানিক নাম- Congea tomentosa পরিবার- Lamiaceae বাংলা নাম পাওয়া যায়নি। ভারতীয় প্রজাতি। কাষ্ঠলতা, বড় ঝাড়। কচি কান্ড বাদামি ও রোমশ। পাতা ডিম্বাকার বা ডিম্ব-আয়তাকার, অখন্ড, দুপাশই রোমশ, নিচ বেশি, বিন্যাস বিপ্রতীপ। শীত ও বসন্তে ফুল। ডালের আগায় মঞ্জরীতে ফুলের গোড়ার কোমল রোমশ ব্র্যাক্টের জন্যই লতাটি আকর্ষী। এই ব্র্যাক্ট রঙ বদলায়, প্রথমে হালকা গোলাপী, পরে ল্যাভেন্ডার ও সবশেষে ধূসর বর্ণের হয়। কলম ও দাবাকলমে চাষ। বছরে অন্তত একবার ছাঁটা ভাল। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ছবি- নেট

Jatropha

ফুলের বাংলা নাম - জেট্রফা বৈজ্ঞানিক নাম Jatropha panduraefolia পরিবার Euphorbiaceae অন্যান্য নামের মধ্যে Peregrina, Spicy Jatropha উল্লেখযোগ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রজাতি। প্রায় ৩ মিটার উঁচু, চিরসবুজ গাছ, ছড়ানো ডালপালা। পাতা একক, বেহালার গড়ন, গোড়া সামান্য তাম্বুলাকার, ১০-১৫*৫-৭ সেমি, নিচ তামাটে। প্রায় সারাবছরই ফুল, ডালের আগায় বা পাতায় কক্ষে শাখায়িত মঞ্জরিতে ছোট ছোট লাল বা গোলাপী ফুলের থোকা। ফুল ২-২.৫ সেমি চওড়া, পাপড়ি , মুক্ত, পুংকেশর হলুদ রঙের। কলমে চাষ। আরেকটি প্রজাতি J. podagrica- গাছের পাতা বড়, লতিযুক্ত, কান্ডের গোড়া ঘটের মতো, শাখায়িত চওড়া মঞ্জরিতে কমলা রঙের ছোট ছোট ফুল। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা ~দ্বিজেন শর্মা ছবি- নেট

Cat's claw

ফুলের নাম- Cat's claw, Cat's claw creeper বৈজ্ঞানিক নাম- Dolichandra unguis-cati পরিবার- Bignoniaceae আদি নিবাস মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আর্জেন্টিনা পর্যন্ত বিস্তৃত। বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছ হিসেবে লাগানো হয়। আমাদের দেশি বাগানগুলোতে এখনো ততোটা জনপ্রিয় হয়নি, তাই সচরাচর চোখে পড়ে না। নতুন গাছ বা ফুলের সাথে পরিচিত হতে এবং Cat's claw-র সবচেয়ে বড় ঝোপ দেখতে চাইলে যেতে পারেন ঢাবির চারুকলা প্রাঙ্গনে। গাছগুলো কাষ্ঠল-লতা জাতীয়। অবলম্বন বেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠে। আকর্ষীগুলো অনেকটা বিড়ালের নখের সাথে তুলনা করে ইংরেজি নাম- Cat’s claw রাখা হয়েছে। পাতা যৌগপত্র, সামান্য ডিম্বাকার বা লেন্স-সদৃশ, পাতার আকার বিভিন্ন। হলুদ রঙের ফুল, বেশ আকর্ষণীয়। ফুল শেষে বীজধারী ফল। বীজ বা কাটিং এ চাষ।

Calibrachoa

  ফুলের নাম- Calibrachoa বৈজ্ঞানিক নাম- Calibrachoa hybrida পরিবার- Solanaceae আমাদের পরিচিত পিটুনিয়ার ঘনিষ্ট আত্মীয়। আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। বাগানের ফুল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এতো এতো রঙ, ভ্যারিয়েশন যে দেখলে অবাক হতে হয়। পরিচিত, সুন্দর কোনো নাম নেই। গণের নাম অনুসারেই সাধারণত ডাকা হয়। অনেকে অবশ্য "মিলিয়ন বেলস(Million bells)" নামে ডাকে। হাইব্রিড জাতগুলোর সুন্দর সুন্দর নাম আছে। হ্যাঙ্গিং পট বা কন্টেইনার গার্ডেনিং দুইভাবেই এরা বেশ ভালো মানানসই। সম্পূর্ণ গাছ জুড়ে ফুল ফোটে। গাছ সাধারণত ১৫ সেমি লম্বা হয় এবং ফুলের ব্যাস ২-৩ সেমি। পিটুনিয়া এবং Calibrachoa দেখতে প্রায় একই রকম এবং পার্থক্য করা বেশ কষ্টসাধ্য কারণ, তাদের পার্থক্য রয়েছে ক্রোমোজোম লেভেলে! Antonio de la Cal y Bracho, মেক্সিকান বোটানিস্ট ও ফার্মাকোলজিস্ট, এর নাম অনুসারে Vicente Cervantes গণের নামকরণ করেছেন। গাছগুলোতে ফল বা বীজ হয় না, কাটিং থেকে চারা করা যায়।

রাজ অশোক / উর্বশী

ফুলের নাম- রাজ অশোক বৈজ্ঞানিক নাম- Amherstia nobilis পরিবার- Fabaceae এই ফুলের আদি বাড়ি মিয়ানমার। “রাজ অশোক” বলধা বাগানের সাবেক পরিচর্যাকারী অমৃতলাল আচার্যের দেওয়া নাম। রাজ অশোকের আরেক নাম 'উর্বশী'। রাজ অশোক উদ্ভিদ জগতের অন্যতম সুন্দর বৃক্ষ হিসেবে বিবেচিত। যেমন দেখতে এর ফুল, তেমন সুন্দর গাছ। লর্ড আর্মহাস্ট ও তার পরিবারের ভারতীয় উদ্ভিদের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। তার নামানুসারেই রাজ অশোকের নামকরণ 'আর্মহাস্টিয়া নোবিলিস'। মিয়ানমারের গর্ব রাজ অশোক 'ট্রি অব হ্যাভেন' নামেও পরিচিত। মাঝারি উচ্চতার চিরহরিৎ বৃক্ষ। পাতা পক্ষল, যৌগপত্র। অনেকটা অশোকের পাতার মতো ঝুলে থাকে। সে জন্য অনেকেই রাজ অশোককে অশোক বলে ভুল করে থাকেন। কচি পাতা খুব সুন্দর, তামাটে রঙা। পাতার কোল থেকে বড় বড় পুষ্পমঞ্জরি বের হয়। মঞ্জরিতে সিঁদুর লাল ফুল অসাধারণ। রাজ অশোকের লাল রঙের ফুল চমৎকার দর্শনীয় ভঙ্গিমায় গাছে ঝুলে থাকে। দেখে মনে হয় যেন পাখা মেলে বসে আছে লালরঙা চমৎকার কিছু পাখি। ফুল অর্কিডের মতো প্রশাখাময়। সে জন্য এর প্রচলিত নাম 'অর্কিড ট্রি'। লাল পাপড়ির মাঝখানে সোনালি হলুদের টিপ রাজ অশোককে করে তুলেছ

মণিমালা

ফুলের নাম- মণিমালা বৈজ্ঞানিক নাম- Millettia peguensis পরিবার- Fabaceae মায়ানমারের পেগু অঞ্চলের প্রজাতি। বাংলা নাম নেই, তাই ইংরেজি নামের(Jewels on a string) অনুকরণে মণিমালা বলা যেতে পারে। মাঝারী গাছ, ১০ মি পর্যন্ত উচু, লম্বাটে গড়ন, পত্রমোচী। বসন্তে শূন্য ডালগুলি ফুলের অজস্র ঝুলন্ত ছড়ায় ঝলমল করে। ফুল ছোট, গোলাপী-বেগুনী। ছবি- নেট

গ্লিরিসিডিয়া

ফুলের নাম- গ্লিরিসিডিয়া বৈজ্ঞানিক নাম- Gliricidia sepium পরিবার- Fabaceae মধ্য-আমেরিকা ও কলম্বোর প্রজাতি। ১৫-২০ মি উঁচু, ছড়ান গাছ, ডালগুলি মাটির দিকে নোয়ানো, কান্ড ও ডাল সাদা ফোঁটায় ভরা, পত্রমোচী। যৌগপত্র ১-পক্ষল, বিজোড়পক্ষ, ৩০সেমি পর্যন্ত লম্বা, পত্রিকা ৯-১৯টি, ৫-৯ সেমি লম্বা, মসৃণ। বসন্তের শুরুতে নিষ্পত্র গাছ হালকা বেগুনি বা গোলাপী রঙের ফুলের ছোট ছোট থোকায় ভরে উঠে। শিম ফুলের গড়নের ফুল ১.৫-২ সেমি লম্বা, হালকা সুগন্ধি। ফল ১৫*২ সেমি। বীজ প্রায় ১০টি, চ্যাপ্টা, ৮-১২ মিমি চওড়া। বীজে চাষ। লম্বা ডালের কলমও বাঁচে। বাড়ে দ্রুত। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা

Purple Shamrock, False shamrock, Love plant

ফুলের নাম- Purple Shamrock, False shamrock, Love plant বৈজ্ঞানিক নাম- Oxalis triangularis পরিবার- Oxalidaceae ব্রাজিলের প্রজাতি। জনপ্রিয় ইনডোর প্ল্যান্ট। অল্প রোদ থাকে এমন জায়গায়ও গাছগুলো বেশ ভালো মানিয়ে নিতে পারে। এরা বীরুৎ জাতীয়, লম্বায় ৭-১০ ইঞ্চি এবং আশেপাশে ১০-১২ ইঞ্চি জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। গাছগুলোর পাতা বেগুনি রঙের, উল্টো ত্রিভুজাকৃতির। সাদা বা হালকা গোলাপি ফুল ফোটে। বিভিন্ন রঙ বা ডিজাইনের কয়েকটি জাত আছে। বীজ বা মূল(আদা/রাইজোম) এর মাধ্যমে নতুন চারা করা যায়। ছবি- নেট

বরুণ

ফুলের নাম- বরুণ বৈজ্ঞানিক নাম- Crateva religiosa পরিবার- Capparaceae অন্যান্য নাম- প্বৈন্যা, শ্বেতপুষ্প, কুমারক, সাধুবৃক্ষ, শ্বেতদ্রুম, মহাকপিথা, মারুতাপহ, Spider Tree, Temple Plant, Garlic Pear প্রচলিত ভাষায় বৈন্যা। সাধারণত একটু নিচু জায়গায় জন্মে বা বলা যেতে পারে জলাভূমিপ্রিয় একটি গাছ হলো বরুণ । বসন্তকালে সাদা ও হালকা হলুদ ফুলে গাছ ভর্তি থাকে । পাতা বড় একটা দেখা যায়না তখন। দূর থেকে দেখতে অনেকটা আমেরিকার Dog wood-এর মত । ফুলের সে রকম কোন গন্ধ নেই। বসন্তকালে পুষ্পাবৃত গাছ সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে থাকে। ভাটি অঞ্চলে ধানকাটার সময় টেপী বোরোর গরম গরম ভাতের সঙ্গে বরুণের কচি ডগা ভর্তা-ভাজি করে গৃহস্থ নারীরা কামলাদের খেতে দেন। চৈত্রসংক্রান্তির দিনে হাওরের নারীরা সংগ্রহ করেন বরুণ ফুল। আসছে বছরটি যাতে পরিবার ও গ্রামসমাজের জন্য মঙ্গলময় হয়, সে জন্য বরুণের ফুল গ্রামময় গেঁথে দেওয়া হয় গোবরের দলায়। হাওরাঞ্চলে এ পর্ব আড়িবিষুসংক্রান্তি নামে পরিচিত। অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভেষজ গাছ হিসেবে পরিচিত। অর্থব বেদে এর কথা উল্লেখ আছে। চরক ও সুশ্রুতে এর গুনগান করে অনেক কথা উল্লেখ করেছেন।এমনকি পাশ্চাত্যেও খ্রিষ্

Sweet Clock-Vine, White Lady

ফুলের নাম- Sweet Clock-Vine, White Lady বৈজ্ঞানিক নাম- Thunbergia fragrans পরিবার- Acanthaceae আমাদের পরিচিত নীলঘন্টা, নীলবনলতা, বাসরলতা, কালোচোখ সুসানলতার আত্মীয়, একই পরিবার ও গণভুক্ত গাছ। লতানো গাছ, কোনো অবলম্বন ঘিরে বৃদ্ধি পায়। গাছ সাধারণত ২মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা চওড়া এবং আগার দিকে সরু ৫- ১০ সেমি লম্বা। ফুল সাদা, ব্যাস ২ ইঞ্চি, ঘ্রাণহীন। বৈজ্ঞানিক নামের শেষাংশ “fragrans” দেখে যে কারো ধারণা জন্মাবে যে এরা সুগন্ধি ফুল, অথচ ফুলে কোনো ঘ্রাণ নেই। স্বভাবত প্রশ্ন আসে, তাহলে এমন নাম দেয়া হলো কেন? এ প্রসঙ্গে Dr. Roxburgh (যিনি এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন) তার Plants of the Coast of Coromandel বইয়ে লিখেছেন, "The plant possesses a peculiar and agreeable fragrance, and the beauty of its flowers, although not fragrant, entitle it to a place in the flower-garden” । ফুলের ঘ্রাণের জন্য নয় বরং এই গাছে সুন্দর ঘ্রাণ হয়, যা গাছটিকে করেছে অন্যদের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী! আদি নিবাস ভারত, শ্রীলংকা; বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়। ডালের কাটিং ও বীজে চাষ। ছবি- নেট

সাদা ফুলকি

বুনো ফুল ... সাদা ফুলকি, japanese lovegrass Eragrostis tenella

Singapore holly, dwarf holly / খই ফুল

  বৈজ্ঞানিক নাম- Malpighia coccigera পরিচিত নাম- Singapore holly, dwarf holly কেতাবি বাংলা নাম নেই। নার্সারিতে খই ফুল নামে ডাকে। এই গাছগুলো বনসাই এর জন্য খুব জনপ্রিয়। টবেও বেশ ভালো জন্মে। হালকা গোলাপী ফুলের আরেকটি প্রজাতি আছে, তার ফল চেরির মতো বলে নাম বারবাডোজ চেরি।

Potato vine, Potato climber

ফুলের নাম- Potato vine, Potato climber বৈজ্ঞানিক নাম- Solanum laxum(Syn. Solanum jasminoides) পরিবার- Solanaceae আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। চিরসবুজ লতান গাছ। বাড়ির গেট বা সীমানা দেয়ালের গ্রিল অথবা যেকোনো অবলম্বন ঘিরে লাগানো হয়। অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট। পাতা ডিম্বাকার বা লেন্সাকৃতির, ৩০-৫০ মিমি লম্বা এবং ১৫-২৫মিমি চওড়া। ফুল সাদা বা নীলচে আভাযুক্ত সাদা, মৃদু ঘ্রাণযুক্ত, একটি থোকায় প্রায় ২০টি ফুল ফোটে। গাছগুলো কম যত্নে বাচে। ছবি- নেট