Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2020

লুচি পাতা

লুচি পাতা লুচি পাতা, Peperomia (first identified by Altaf Hossain) (ইংরেজি: pepper elder বা shining bush plant বা man to man) Piperaceae পরিবারের একটি গুল্ম জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটি ১৫ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট, স্যাঁতসেঁতে কম আলোযুক্ত স্থানে সাধারণত হয়। ব্যবহার এটি শাক হিসেবে খাওয়া হয় এবং এদের ঔষধি ব্যবহার আছে। এর পাতা ও কান্ড ত্বকের প্রদাহে প্রয়োগ করা হয়। শুঁয়োপোকা লাগলে এর ব্যবহারে উপকার হয়। এছাড়াও বাতের সমস্যা,ছোটোখাটো আগুনে পোড়া ক্ষত, ফোঁড়াতে এর ব্যবহার হয়। এই উদ্ভিদের পাতার রস এক কাপ সকালে খালি পেটে পান করলে পাইলসের কারণে যাদের রক্তক্ষরণ হয় তা এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হবে।

অড়হর

অড়হর, অড়ল ইংরেজি - pigeon pea, Yellow Legume. বৈজ্ঞানিক নাম : Cajanus cajan (L.) Millsp সংস্কৃত: আঢ়কী। হিন্দি : অরহর, অড়হর, তুবরী, টুমুর। পাহাড়ি নাম -দুমরসুমি। বাংলা সমার্থ : অড়হর, অড়র, অড়ল,তুড় ডাল, আঢ়কী, তুবরী, শনপুষ্পিকা। পাবনা আঞ্চলিক আরোল। অড়হর একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ডাল উৎপাদক গাছ। এই গাছের আদি নিবাস মধ্য এশিয়া। মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকা ভারত, বাংলাদেশে এই ডালের জন্য এই গাছের আবাদ করা হয়। এর কাণ্ড পশমের ন্যায় নরম এবং ধূসর বর্ণের। পত্রিকা লম্বা এবং সংখ্যায় ৩টি থাকে। ফুলের বোঁটা ছোটো এবং এর রঙ হলুদ। জুন -জুলাই মাসে এর ফুল ফোটে। এর ফল শুঁটিধর্মী। এই শুঁটি ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। প্রতিটি শুঁটিতে ৩-৪টি বীজ থাকে। বীজগুলো গোলাকার এবং শক্ত। এর ফল ডাল হিসাবে ভারত এবং বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়। অরহর ডাল- বাংলার এক হারিয়ে যাওয়া ফসল। মুলত মাড়ওয়ারি খাবার হলেও এদেশে একসময় বেশ চলত। মুখোরোচক চটপটি জাতীয় খাবারে এর ব্যবহার রয়েছে। এর বীজ সাপের বিষের জন্য উপকারী। এই ডাল হজম হয় তাড়াতাড়ি। লাল অড়হর ডালও পাওয়া যায়। *কাশি হলে অড়হর পাতার ৭/৮ চামচ রস একটু গরম করে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি

৯। ফুলের নাম : লতা ভান্ডির

লতা ভান্ডির Glory tree, flaming glorybower Clerodendrum splendens ফুলের নাম- লতা ভান্ডির বৈজ্ঞানিক নাম- Clerodendrum splendens পরিবার- Verbenaceae অন্যান্য নাম- Glory tree, flaming glorybower ক্রান্তীয় আফ্রিকার প্রজাতি। লম্বা ও ঝোপালো, চির সবুজ লতা। পাতা একক, আয়তাকার বা তাম্বুলাকার, গাঢ়-সবুজ, ১০-১৬ সেমি লম্বা, বিন্যাস বিপ্রতীপ। শীতে বড় থোকায় সিঁদুরলাল ফুল, ঘন-সবুজ পাতার মাঝখানে খুবই উজ্জ্বল দেখায়। ফুল ছোট, দলনল ১.৫ সেমি লম্বা ও লতিসহ মুখ ১.৫ সেমি চওড়া। কলমে চাষ। শিকড় থেকেও চারা গজায়। ছবি- নেট

লালভান্ডির

# প্যাগোডা   ফুল অন্য নাম: লালভান্ডির/ লাল ভাঁট ইংরেজি নাম: Pagoda Flower, Glorybower, Orange Tower Flower, Clerodendron flower, Hanuman kireetam. সংস্কৃত নাম: কৃষ্ণ কিরীট, কৃষ্ণ কিরীদম। সাইন্টিফিক নাম: Clerodendrum paniculatum L. আমাদের দেশী গাছ, সিলেট সহ সব পার্বত্যভূমি তে প্রচুর জন্মে। অপরুপ ফুলের জন্যই অনেকে বাগানে শখ করে লাগান। বুনো পরিবেশে জন্মায়। ফুলের মিল আছে ভাঁটফুলের সাথে। বেশি যত্নের প্রয়োজন নেই তার। ডাল পুতে দিলেও বর্ষা তে হয়ে যায় গাছ, এছাড়া শিকড় থেকে ও বীজ থেকেও জন্মায়। প্যাগোডা র মত শেপের কারণেই হয়ত এমন নামকরণ। লালভান্ডির  ( বৈজ্ঞানিক নাম :  Clerodendrum paniculatum ) দীর্ঘ মঞ্জরির রক্তিম ফুলের গাছ। লালভান্ডিরের ইংরেজি নাম প্যাগোডা ফ্লাওয়ার, রেড গ্লোরি ফ্লাওয়ার, ড্যানডার ফ্লাওয়ার ইত্যাদি। ফুল ফোটার মৌসুম অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিস্তৃত। আদি আবাস আদি আবাস  শ্রীলঙ্কা ,  মালয়শিয়া ,  ভারতসহ  দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। আকার ঝোপালো গাছ, বহুবর্ষজীবী ছোট গুল্ম, সাধারণত দুই থেকে তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্র সরল, হূৎপিণ্ডাকার, বিপ্রতীপভাবে বিন্যস্ত। ফুল কাক্ষিক

কুকশিম

৭। ফুলের নাম : কুকশিম ছোটো কুকশিম, সাহাদেবী, ডনকুনি, ইত্যাদি। Ash-coloured Fleabane, Purple Fleabane Vernonia patula আরো নামঃ ছোটো কুকশিম, সাহাদেবী, ডনকুনি। কুকুরশুংগা বা বড় কুকশিম। খুবই সুন্দর দেখতে। কাশফুলের মতো একটা আভা আছে ফুলে। জোরে বাতাস এলে উড়তে শুরু করে। ফুলের নাম- কুকশিম বৈজ্ঞানিক নাম- Vernonia patula ফুলের নাম- কুকশিম(Kuksim) বৈজ্ঞানিক নাম- Vernonia cinerea পরিবার- Asteraceae অন্যান্য নাম- Little ironweed, Purple feabane • Hindi: Sahadevi सहदेवी • Marathi: Sadodi • Tamil: பூவங்குருந்தல் Puvamkuruntal • Telugu: Sahadevi এটি একধরণের আগাছা। আমাদের দেশে সচরাচরই এদের দেখা মিলে। বীজের মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার ঘটে। সাদা ও হালকা বেগুনী- এই দুই রঙের ফুল হতে দেখা যায়। আগাছা হলেও এর ঔষধি গুণ বিদ্যমান। পেটের অসুখ যেমন- পেঁট ব্যথা, ডায়রিয়া; ইউরিনারী ট্রাক্টের বিভিন্ন সমস্যা, কোলনের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় পাতার রস ও ক্বাথ উপকারী। কুকসিম বা কুকসিমে ফুল (খেলাবাটির ফুল কপি) আমাদের বাড়ির পিছনে পাঁচিলঘেরা অনেকখানি পোড়ো জমি, আমরা বলি প্রতাপবাগান। ওই প্রতাপ অধিকারী ছিলেন আমার বাবার পিসত

বনচন্ডাল

বনচন্ডাল ৪। ফুলের নাম : দাদমর্দন Candle Bush, Empress Candle Plant, Seven Golden Candlesticks, Candlestick Cassia, Candlestick Senna, Christmas Candle, Ringworm Cassia, Ringworm Bush, Gelenggang, Daun Kurap ইত্যাদি। Senna alata শালিমারে যেখানে এককালে স্বর্ণময়ী ঝিল ছিল, বুজিয়ে ফেলার পর এখন তা আবর্জনাক্লিষ্ট একটি পতিত জমি। তবে শীঘ্রই এটি সংস্কৃত হয়ে নতুন স্টেশনের কাজে লেগে যাবে। সেই জমিতে বহুবছর ধরে এই ফুল দেখে আসছি। গতকাল ছবি তুললাম। এর কথা বলি। এই ফুলগুলোর নাম সেভেন গোল্ডেন ক্যান্ডলস্টিকস/এমপারারর্স ক্যান্ডলস্টিকস/খৃস্টমাস ক্যান্ডলস্টিকস ইত্যাদি। দাদ জাতীয় চর্মরোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ বা প্রতিষেধক গুণের জন্য এর আরেক নাম ringworm shrub, বাংলায় দাদমর্দন বা দাদমারি। বৈজ্ঞানিক নাম Senna Alata বা ক্যাসিয়া আলাটা। এর ফলগুলি শুঁটির মতো, ভিতরে ৫০/৬০ টি তিনকোণা চ্যাপ্টা বীজ থাকে। সাংঘাতিক তাদের জীবনীশক্তি। যে কোনো প্রতিকূল অবস্থাতেও অঙ্কুরিত হয়। রেল লাইনের ধারে, পরিত্যক্ত ভিজে জায়গায় এই গাছ অপ্রতিরোধ্যভাবে বেড়ে চলে। আর ঠিক তখনই এর আসল রূপ। একদম খাঁটি সোনার রঙ আর পুষ্পবৃন্তের সবচেয়ে লম্বা

কাঠগোলাপ

গুলঞ্চচাঁপা, কাঠচাঁপা, গরুড়চাঁপা, গোলকচাঁপা, গুলাচি, গোলাইচ, চালতাগোলাপ।

আজ-কাল-পরশু

আজ-কাল-পরশু, যার ইংলিশ নাম Yesterday-Today and Tomorrow আদতে একটি ফুলগাছ। বাগানে লাগাবার একটি উপযোগী গুল্ম। চকচকে সবুজ পাতা, ঝাঁকড়া ঝোপ, হালকা মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা। গাছটি Solanaceae পরিবারের, মে পরিবারে আছে আমাদের টমেটো, আলু ইত্যাদি। তবে Brunfelsia গণের কিছু গাছ কিছুটা বিষাক্ত। গণের নামকরন জর্মান যাযক Otto Brunfels এর নামানুসারে। ফুল থোকায় ফোটে, প্রথম অবস্থায় গাঢ় বেগুনী রঙ্গের, মাঝখানে গলার কাছে সাদা আংটি। রংটি সময়ের সাথেই সাথে হালকা বেগুনী হতে থাকে, এবং শেষ অবস্থায় সাদা রং ধারন করে। এই কারনেই ঐ নামকরণ, আজ এক রং, কাল আরেক এবং পরশু অন্য এক। দেখতে মজা লাগে, এক‌ই গাছে তিন রঙের ফুল ফুটে থাকায়।

Twinkle Stars

Twinkle Stars Phlox 'Twinkle Stars এর বিজ্ঞান সম্মত নাম - Phlox drummondii 'Twinkle Star .

সাদা ঘন্টা ফুল।

সাদা ঘন্টা ফুল। সাদা ঘন্টা ফুল। Bush clockvine বা কিংস ম্যান্টেল। Thunbergia erecta. Bush clockvine বা কিংস ম্যান্টেল। Thunbergia erecta. জোড়ায় জোড়ায় ফুল ফুটলে দেখতে ভারী চমৎকার লাগে। নীল ঘন্টা ফুলের বৃতির রং যেমন সাদা, এর তেমনি সবুজ। এই কন্ট্রাস্টের জন্য আরো বেশি সুন্দর দেখায়।

আনারস গাছের ফুল

আনারস গাছের ফুল

রাংচিতা ফুল

রাংচিতা ফুল Red Bird Cactus বেড়াচিতা Redbird flower, devil's-backbone, buck-thorn, cimora misha, christmas candle, fiddle flower, ipecacuahana, Jacob's ladder, Japanese poinsettia, Jew's slipper, Jewbush, milk-hedge, myrtle-leaved spurge, Padus-leaved clipper plant, red slipper spurge, redbird cactus, slipper flower, slipper plant, slipper spurge, timora misha, zig-zag plant ইত্যাদি। Euphorbia tithymaloides, Pedilanthus tithymaloides

কানশিরা / বুনো ফুল/আগাছা কানছিড়া/কানশিরা/ ঢোলপাতা/ কানাইবাঁশি

কানশিরা /  বুনো ফুল/আগাছা কানছিড়া/কানশিরা/ ঢোলপাতা/ কানাইবাঁশি বুনো ফুল/আগাছা কানছিড়া/কানশিরা/ ঢোলপাতা/ কানাইবাঁশি ইংরেজি: Benghal dayflower, tropical spiderwort, or wandering Jew, commelina, dew flower, hairy commelina, hairy wandering Jew, Indian dayflower, jio বৈজ্ঞানিক নাম: Commelina benghalensis উষ্ণমণ্ডলীয় এশিয়া ও আফ্রিকার উদ্ভিদ। এর ভেষজগুণ আছে। গ্লু এবং এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। ঢোলপাতায় নীল রঙের তিন পাপড়ির ফুল হয়। Scientific Name Commelina benghalensis L. Family Commelinaceae Origin Native to Africa (i.e. Djibouti, Ethiopia, Somalia, Kenya, Tanzania, Uganda, Cameroon, Congo, Rwanda, Benin, Ivory Coast, Gambia, Ghana, Guinea, Nigeria, Sierra Leone, Togo, Malawi, Zambia, Botswana, Lesotho, Namibia, South Africa and Swaziland), the Arabian Peninsula (i.e. Saudi Arabia), the Indian Sub-continent (i.e. Bhutan, India, Nepal, Pakistan and Sri Lanka), southern China, Japan and south-eastern Asia (i.e. Indo-china, Indonesia and the Philippines). Naturalised D

আমরুল/আমরুলী ফুল Amrul Ful(আমরুল ফুল) - Oxalis corniculata

Amrul Ful(আমরুল ফুল) - Oxalis corniculata আমরুল ফুল আর গাছ দুইটাই আমার ছোট বেলার একটা খেলার ফুল. খেলার ফাকে এই গাছের টক পাতা টুপটাপ খেয়ে ফেলতাম. দুপুর বেলায় রোদ্রের সময় কড়ই গাছের নিচে বসে থাকার সময় আসে পাশের অযত্নে কিন্তু সুন্দরভাবে গজিয়ে উঠা আমরুলের দিকে তাকিয়ে থাকা এখনো চোখে ভাসে. একটা জিনিস নিশ্চিত ছিল, প্রচন্ড রোদ অথবা যত গরমই হউক না কেন, যেখানে আমরুল গাছ আছে, সেখানে কিছুটা হলেও ঠাডা পাওয়া যাবে. কেননা এই গাছ একটু ঠান্ডা জায়গাতেই জম্নায়. দেখতে সুন্দর ছোট ছোট হলুদ ফুল হয় এই গাছে. আবার এই গাছের পাতাও অনেক সুন্দর. গাছের পাতা দেখলে মনে হবে তিনটা হার্ট যেন একটা বিন্দুতে এক করে রাখা হয়েছে. হতে পারে এই গাছ আমাদের কাছে অবাঞ্চিত, কিন্তু বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সবজাগায় হয় এমন একটা গাছ সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা উচিত.

স্বর্ন শিমুল

# বনফুল # Cochlospermum_flower ..  # স্বর্ন_শিমুল .. ফুলের নাম- স্বর্ণশিমুল, গুলগুল বৈজ্ঞানিক নাম- Cochlospermum religiosum পরিবার- Bixaceae অন্যান্য নাম- Buttercup tree, Yellow slik cotton tree, Golden silk cotton tree ইন্দো-মালয় প্রজাতি। কোমল কাঠের গাছ, পত্রমোচী, মাঝারী আকার, ৬-১০ মি উঁচু, কান্ড মোটা, ডালপালা কম ও আঁকাবাঁকা, বাকল পুরু ও আঁশালো। পাতা শিমুল গাছের পাতার মতো, করতলাকারে বিভক্ত, ৩-৫ লতি, ৮-১৬ সে চওড়া, বোঁটা লম্বা, ডালের আগায় গুচ্ছবদ্ধ। বসন্তে নিষ্পত্র গাছে অজস্র হলুদ রঙের ফুল। ফুল সেষে গাছে পাতা গজায়। বড় বড় থোকায় ফুল, ৬-৮ সেমি চওড়া, ৫ পাপড়ির মাঝখানে অনেকগুলি সোনালী পুংকেশর। ফল পেয়ারার গড়ন, ঝুলন্ত, ৫ খন্ডের, বাদামি, ৭-১০*৬-৮ সেমি, ভিতরে তুলা জড়ানো কয়েকটি বাদামি বীজ। বীজে চাষ। দুবছর বয়সই চারাতেও ফুল হয়। তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা~ নিসর্গী দ্বিজেন শর্মা ছবি- নেট

কৃষ্ণ তুলসী

কৃষ্ণ তুলসী 

গোলাপি বসন্তরানী ফুল

গোলাপি বসন্তরানী ফুল (Tabebuia rosea). নিষ্পত্র গাছে শুধুই ফুল, আর কিচ্ছু নেই। গতবছর ২৪ শে মার্চ এরকমই একটি পোস্ট করেছিলাম। ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে কোন্নগরের তনুশ্রী রায় পরের দিন ফুল দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু আগের রাতেই ঝড়বৃষ্টিতে প্রায় সব ফুল ঝরে গিয়েছিল। তিনি কটি মাত্র ফুল দেখতে পেয়েছিলেন। সেদিন ভোরের রাঙা গাছতলাটিও তাঁর দেখা হয়নি। কর্তব্যপরায়ন সাফাই কর্মী অতশত না বুঝে সব ফুল সরিয়ে ফেলেছিল। আমার খুব খারাপ লেগেছিল।

লাল আইভি

লাল আইভি আমাদের বাগানে লাল আইভি বা Red-flame ivy. ভালো নাম Hemigraphis alternata. গাছটি hanging basket এ রাখার কথা, কিন্তু আছে আমাদের বাগানে এবং জঙ্গলের মতো সব ঢেকে রেখেছে। লাল আইভির ফুলগুলি খুব ছোট এবং সাদা রংয়ের, বুকের মধ্যে আঁকিবুকি আঁকা। গাছটির শোভা এর পাতায়, ব্রোঞ্জের মতো রং, নিচের পিঠ গাঢ় মেরুন রঙের। হওয়া বইলে পাতাগুলি উল্টে যায় যখন, মনে হয় মাটি লাল হয়ে গেছে।

নীলমণি লতা

ফুলের নাম- নীলমণি লতা বৈজ্ঞানিক নাম- Petrea volubilis পরিবার- Lamiaceae অন্যান্য নাম- Queen's Wreath, Bluebird Vine, SandpaperVine নীলমণি লতা নাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেয়া। নীলমণি লতার পুষ্পমন্ডলী ও ফুলের রং খুব আকর্ষণীয়। গাছের পাতা খুবই খসখসে বলে নীলমণি লতাকে কখনো কখনো সেন্ড-পেপার লতাও বলা হয়ে থাকে। 'নীলমণি লতা' বর্ধনশীল কাষ্টল উদ্ভিদ। সুনিষ্কাশিত যে কোনো ধরনের মাটিতেই এই উদ্ভিদ জন্মায়।পর্যাপ্ত সূর্যালোকে সারা বৎসরই ফুল দিয়ে থাকে।বসন্তে প্রচুর ফুল ফোটে আর শীতে ফুল কমে যেতে দেখা যায় অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফুল দিয়ে থাকে। নীলমণি লতা ফুলে নীল রং এর ৫টি পাপড়ি থাকে আর তার নিচেই থাকে অপেক্ষাকৃত বড় আকারের হালকা নীল রংয়ের পাঁচটি বৃন্ত। প্রতিটি পুষ্পমঞ্জরিতে ১৫-৩০টি ফুল থাকে। বড় থেকে ক্রমান্নয়ে ছোট ফুলগুলো লম্বা পুষ্পমঞ্জুরিতে সাজানো থাকে। প্রতিটি ফুলের পাপড়ি ৪-৫ দিনের মধ্যে ঝড়ে পড়ে গেলেও হালকা নীল রং এর বৃন্তগুলো থাকে অনেক দিন।

কাজু ফুল

কাজু ফুল

Pentas Flower

Pentas Flower Pentas lanceolata 

আমলকী গাছ

আমলকী গাছ

আপেল ফুল

আপেল ফুল

কুসুম গাছ।

কুসুম গাছ। কদিনই বা হবে, বড়জোর পাঁচ বা ছয় দিন। তখন নিষ্পত্র গাছটি দাঁড়িয়ে ছিল একটি প্রাণহীন বৃক্ষের মতো। এর মাঝে ক'দিন আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। গতকাল গিয়ে দেখি এরই মধ্যে সব লালে লাল হয়ে গেছে। এই দ্রুত পরিবর্তনের বিষয়টি যিনি জানেন, একমাত্র তিনিই বুঝবেন কুসুমের বাহার দেখা কতখানি ভাগ্যের কথা। গতবছরের একটি পোস্ট দেখে এক বন্ধু বি ই কলেজের কুসুম গাছটি দেখতে আসবেন বলেছিলেন। তাঁকে জানিয়েছিলাম, পাতায় রং ধরলে আমি জানাবো। জানালাম, কিন্তু দেরি হয়ে গেল। গাছ এখন টুকটুকে লাল হয়ে আছে। তিনি আজই বা বেশি হলে আগামীকাল যদি আসেন একটু হলেও দেখতে পাবেন। তারপরেই আর পাঁচটা গাছের মতো এরও পাতা সব সবুজ হয়ে যাবে। গাছে এখন ফুল ধরেছে। সেই ফুল আরো কয়েকটি দিন থাকবে। কিন্তু এর তো ফুলের শোভা মুখ্য নয়। বি ই কলেজের এই কুসুম গাছটির সঙ্গে আমার মিতালি যেন জন্মান্তরের। ও আমাকে টেনে নিয়ে যায় প্রতিবার। বাংলা ও হিন্দিতে গাছটির নাম কুসুম। ইংরাজি নাম Ceylon oak বা Gum lac tree বৈজ্ঞানিক নাম Schleichera oleosa.

কনকচাঁপা

কনকচাঁপা ফুল (Ochna integerrima). Ochnaceae একটি বিশাল পরিবার। কত যে তার সদস্য, আর কত যে তাদের স্থানীয় নাম, তার শেষ নেই। গাছের গঠন, পাতার গড়ন, ফুলের রং, গন্ধ, পাপড়ির সংখ্যা, কেশরের অভিমুখ ---- এই সবেই তাদেরঅল্প অল্প ভিন্নতা।

কালকাসুন্দা

কালকাসুন্দা (Senna/Cassia occidentalis). এই বুনো গাছটির ইংরাজি নাম Coffee Senna বা  Coffee weed. কারণ এর বীজ নাকি ভেজে, গুঁড়িয়ে, দুধ-চিনি মিশিয়ে কফির মতো খাওয়া যায়।  তাছাড়া কালকাসুন্দার বীজ আবার নাকি হুপিং কফ, খিঁচুনি ইত্যাদির ওষুধ। এত গুণ থাকতেও এর কোনো আদর নেই কেন তা জানিনা। বনে বাদাড়ে, রেল লাইনের ধারে এমনিই হয়ে থাকে। কারোকে কোনোদিন এর শুঁটি তুলতে দেখিনি। কালকাসুন্দার ফুলগুলি সুন্দর। সবুজ যৌগিক পাতার কক্ষে কক্ষে উজ্জ্বল হলুদ রঙে ফুটে থাকে যখন, এদের না দেখে উপায় নেই।

চন্দ্রপ্রভা

ক্রমবিকাশ ফুলের নাম চন্দ্রপ্রভা (Tecoma stans)

বন ওকড়া

বন ওকড়া অন্যান্য নাম : বন ওকড়া, বন ওকড়, আটলেরা, ঘামেলা, বৌঠুরানী, জংলী ঘাগরা, বেলাজ গোটা, নাগেজী ইংরেজি নাম : Caesarweed, Aramina Plant, Burr Mallow, Cadillo, Caesarweed Aramina, Chinese Burr, Congo Jute, Hibiscus Burr, Indian Mallow, Pink Burr বৈজ্ঞানিক নাম : Urena lobata আকাশ কালো করে মেঘেরা আসে। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে গাঁয়ে। প্রকৃতিতে সবুজের প্রলেপ বুলিয়ে দেয় বর্ষা। মাঠে, জঙ্গলে, বাগানে। শীত আর গ্রীষ্মের অত্যাচারে এতদিন যেসব নাম-পরিচয়হীন গুল্মলতার বীজ মাটির গভীরে শুয়েছিল। এখন তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সময়। সবুজে সবুজে ছয়লাপ হয়ে যাবে বন, প্রান্তর, নদী-খাল-বিলের কিনারগুলো। সবুজের সেই উৎসবে যোগ দেবে আমাদের বন ওকড়া। তারপর শীতের শেষ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব। তবে তার সৌন্দর্য দেখতে হলে বের হতে হবে খুব ভোরে কারণ রোদের তেজ যত বাড়বে বন ওকড়ার দ্যুতি তত ম্লান হবে। বন ওকড়া বহুবর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষন করেন। তবে ধারনা করা হয় এর আদি নিবাস সম্ভবত এশিয়া। বর্তমানে এটি এশিয়া, ক্রান্তীয় আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর, মধ্য ও দ