Skip to main content

কুকশিম

৭। ফুলের নাম : কুকশিম
ছোটো কুকশিম, সাহাদেবী, ডনকুনি, ইত্যাদি।
Ash-coloured Fleabane, Purple Fleabane
Vernonia patula
Image result for Vernonia patula

Image result for Vernonia patula
আরো নামঃ ছোটো কুকশিম, সাহাদেবী, ডনকুনি।


কুকুরশুংগা বা বড় কুকশিম। খুবই সুন্দর দেখতে। কাশফুলের মতো একটা আভা আছে ফুলে। জোরে বাতাস এলে উড়তে শুরু করে।

ফুলের নাম- কুকশিম
বৈজ্ঞানিক নাম- Vernonia patula

ফুলের নাম- কুকশিম(Kuksim)

বৈজ্ঞানিক নাম- Vernonia cinerea

পরিবার- Asteraceae

অন্যান্য নাম- Little ironweed, Purple feabane • Hindi: Sahadevi सहदेवी • Marathi: Sadodi • Tamil: பூவங்குருந்தல் Puvamkuruntal • Telugu: Sahadevi

এটি একধরণের আগাছা। আমাদের দেশে সচরাচরই এদের দেখা মিলে। বীজের মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার ঘটে। সাদা ও হালকা বেগুনী- এই দুই রঙের ফুল হতে দেখা যায়।

আগাছা হলেও এর ঔষধি গুণ বিদ্যমান। পেটের অসুখ যেমন- পেঁট ব্যথা, ডায়রিয়া; ইউরিনারী ট্রাক্টের বিভিন্ন সমস্যা, কোলনের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় পাতার রস ও ক্বাথ উপকারী।


কুকসিম বা কুকসিমে ফুল (খেলাবাটির ফুল কপি)
আমাদের বাড়ির পিছনে পাঁচিলঘেরা অনেকখানি পোড়ো জমি, আমরা বলি প্রতাপবাগান।
ওই প্রতাপ অধিকারী ছিলেন আমার বাবার পিসতুতো ভাইপো, মানে সম্পর্কে আমাদের দাদা। কিন্তু বয়সে তিনি আমার বাবার চেয়েও বড়।
প্রতাপবাগানের সেই পুরানো পাঁচিলের গায়ে ঋতু অনুসারে বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের গাছপালা জন্মায়। এত রকমের গাছ, আর এত তাদের বৈচিত্র্য যে শুধু ওই পাঁচিল-উদ্ভিদ নিয়েই একটি গোটা বই লিখে ফেলা যায়।
অক্টোবরের গোড়া থেকে এই পার্পল রঙের ফুলে পাঁচিল ভরে যায়। ভারী সুন্দর ফুলগুলি। ছোট ছোট ফুল। ফুল শুকিয়ে গেলে কদমচাঁট পাকা চুলওলা বুড়ো মানুষের মাথার মতো লাগে। সাদা কদম ফুল যেন! সেই সাদা আঁশ গুলি বীজ বুকে নিয়ে ড্যান্ডেলিয়নের মতো উড়ে যায়, ছড়িয়ে পড়ে।
গাছ এক-দেড় ফুট উঁচু হয়, নিচের দিকে ছোট ছোট সবুজ পাতা থাকে। ফুলের সময় হলে কাঠির মতো একটি পুষ্প মঞ্জরী সোজা উপরে উঠে যায়, এবং শাখাপ্রশাখায় ভাগ হয়ে যায়। সেই অংশটি প্রায় পত্রশূন্য। কখনো কখনো তাতে একটি দুটি মঞ্জরীপত্র লেগে থাকে। পত্রবর্জিত সেই মঞ্জরীটিও দেখতে ভারী সুন্দর। কাঠির আগায় রাশি রাশি ফুলের শোভা অপরূপ লাগে।
চুন বা ক্যালসিয়াম এর প্রিয় খাদ্য। তাই চুন-সুরকির গাঁথুনি পাঁচিলে এই গাছ যত ভালো হয়, সিমেন্টের দেওয়ালে তেমন নয়।
ফুলটির নাম কুকসিম বা কুকসিমে ফুল।
এর ইংরাজি নাম Little ironweed বা Purple fleabane.
এসটেরাসিয়া (Asteraceae) পরিবারের গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ভারনোনিয়া সিনেরিয়া (Vernonia cinerea).

তথ্যসূত্র- ইন্টারনেট

Comments

Popular posts from this blog

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত