Skip to main content

সোনাঝুরি

Image result for Acacia auriculiformis
সোনাঝুরি
A cluster of flowers at the end of the blooming season.
Acacia auriculiformis
Family Fabaceae
Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India


আকাশমণি
অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি
ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle
বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis

আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়।
এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত শিরা থাকে।
গাঢ় হলুদ বা কমলা বর্ণের আকাশমনি ফুল থোকায় মঞ্জরীতে ফোটে। সত্যিই সুন্দর এর পুষ্পমঞ্জরি। কান্তাবর্ণা ঝুলন্ত মঞ্জরির শ্রীতে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ এই গাছের নাম দিয়েছিলেন সোনাঝুরি। পুষ্পমঞ্জরী পাতার কক্ষ বা কান্ডের শীর্ষভাগ থেকে উৎপন্ন হয়। মঞ্জরীতে প্রচুর মুক্ত পুংকেশর থাকে যা পুষ্পমঞ্জরীকে একটি নির্দিষ্ট আকৃতি দেয়। ফুল উভকামী, ছোট, অবৃন্তক এবং সুবাসিত। বৃতি নলাকার, ০.১ সেমি লম্বা। দলমণ্ডল ৫ টি, আকারে ০.২ সেমি। গাছে ডিসেম্বর জানুয়ারী মাসে ফুল ধরে।
ফল চ্যাপ্টা, পরিপক্ক অবস্থায় প্যাঁচানো। ফলের বর্ণ কচি অবস্থায় সবুজ, পরিপক্ক অবস্থায় বাদামি। গাছে সাধারনত ফেব্রুয়ারী–মার্চ মাসে ফল ধরে। ফল প্রায় ৬.৫ সেমি লম্বা ও ১.৫ সেমি চওড়া। ০.৩-০.৪ সেমি চওড়া, উপবৃত্তাকার চকচকে কালো রঙের বীজ ফলের মধ্যে অনুপ্রস্থভাবে সাজানো থাকে।
কাঠ আসবাব ও চারকোল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। চা বাগানের ছায়াতরু হিসাবে এবং লাক্ষা চাষের কাজে এর ব্যবহার রয়েছে। বাকল থেকে নিষ্কাসিত রঙ বাটিক শিল্পে ব্যবহার করা হয়। এর বাকলে থাকে প্রচুর ট্যানিন (১৩-২৫%) যার কারনে এটি ট্যানিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom: Plantae
Phylum: Spermatophyta
Subphylum: Angiospermae
Class: Dicotyledonae
Order: Fabales
Family: Fabaceae
Subfamily: Mimosoideae
Genus: Acacia
Species: Acacia auriculiformis

Comments

Popular posts from this blog

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও