Skip to main content

Posts

বরুণ ফুল

  বরুণ ফুল 
Recent posts

রামধন চাঁপা (Ochna obtusa/squarrosa)

  রামধন চাঁপা (Ochna obtusa/squarrosa)

Punnog champa, পুন্নগ চাঁপা, Shell flower, Variegated Ginger

" Punnog champa , পুন্নগ চাঁপা, Shell flower, Variegated Ginger, Wet white flower of Shell Ginger, also called Pink porcelain lily, Variegated ginger, Butterfly ginger. Closeup of Alpinia zerumbet growing in Arusha, Tanzania, East Africa পুন্নাগ/ সুলতান চাঁপা ইংরেচজ নাম: Beauty Leaf, Alexandrian laure বৈজ্ঞানিক নাম: Calophyllum inophyllum পরিচিতি: পুন্নাগ সুশ্রী, চিরসবুজ গাছ, লম্বাটে গড়ন, ১২ মিটার পর্যন্ত উচু হতে পারে। পাতা ৮-১৬*৬-১০, ঝলমলে সবুজ,অগ্রভাগ গোল। পাতার কোলে ১০-১৫ সেমি লম্বা শাখায়িত মঞ্জুরীতে ছোট ছোট সুগন্ধি সাদা ফুল ফোটে। ৪ গুচ্ছের পুংকেশর হলুদ রঙের।

ডুলিচাঁপা

ডুলিচাঁপা বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑴𝒂𝒈𝒏𝒐𝒍𝒊𝒂 𝒑𝒕𝒆𝒓𝒐𝒄𝒂𝒓𝒑𝒂 পরিচিতি: ৬ থেকে ১০ মিটার উঁচু হয়। এই গাছের ডালের বিপরীত দিকে অযুগ্ম পাতা থাকে। কাণ্ডের শীর্ষে একক ভাবে এর ফুল ফোটে। ফুলের রঙ সাদা এবং সুগন্ধময়। ফুলের আকার বেশ বড়। এর বহির্বাস পাপড়িতে ঢাকা থাকা। ফুল যত বড় হয়, এর পাপড়ি গুলো খসে পড়ে। প্রস্ফুটিত ফুলে ৯টি পুরু এবং নরম পাপড়ি থাকে। এই ফুলে অনেক পুংকেশর থাকে। পুংকেশেরের অগ্রভাগ নীল বর্ণের হয়। শেষ বসন্ত ও গ্রীষ্মের শুরুতে এই গাছে ফুল ফোটে। এর ফল বেশ বড় হয়। ফলগুলো লম্বায় প্রায় ১৬ ইঞ্চি এবং পরিধিতে ৭-৮ ইঞ্চি হয়। এর বীজ পাকা কমলালেবুর মতো ললাচে হয়। ফলে ১টি বা ২টি বীজ থাকে। বীজের আকার ত্রিকোণাকার। কখনো কখনো বীজের আকার গোলাকারও হয়। বীজগুলোতে তেল থাকে। জুন মাসে ফল ধরে। ভারতে হিমালয় সংলগ্ন এলাকা, নেপাল, আসাম, বাংলাদেশের খাসিয়া পাহাড় সংলগ্ন সিলেটে এই গাছ প্রচুর জন্মে। বাংলাদেশের সমতল ভূমিতেও এই গাছ অল্প বিস্তর দেখা যায়।

কালকাসুন্দা

কালকাসুন্দা বৈজ্ঞানিক নাম: Cassia sophera পরিচিতি: পথের আশপাশে প্রচুর পরিমাণে জন্মাতে দেখা যায়। এগুলো দুই রকম গাছ দেখা যায়। একটি ছোট, অন্যটি বড়। গড়পড়তা ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। বেশ ঝাঁকড়া ও শক্তপোক্ত ধরনের গুল্ম। আমাদের দেশের অন্যতম বুনোফুল। লম্বা ডাঁটার দুই পাশে অনেক ছোট ছোট লম্বা-আয়তাকার পাতা থাকে। বেশি ফুল ফোটে বসন্ত ও গ্রীষ্মে। গুচ্ছবদ্ধ হলুদ রঙের ফুলগুলো বেশ আকর্ষী। অনেক দূর থেকেই আমাদের দৃষ্টিকাড়ে। গন্ধ কিছুটা উগ্র। ফুল শেষে সরু ও লম্বা ফল আসে। পরিণত ফল বাতাসে ঝনঝন শব্দ তোলে। কালকাসুন্দার অনেক ওষুধি গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই কবিরাজেরা এগুলো ব্যবহার করে আসছেন।

Palash, পলাশ, Flame of the Forest, Parrot Tree (Butea frondosa)

Palash , পলাশ, Flame of the Forest, Parrot Tree ( Butea frondosa ) পলাশ বৈজ্ঞানিক নাম: Butea monosperma পরিচিতি: পলাশ মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষ। শীতে গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্তে গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ফুল আগুন লাল। হলুদ ও লালচে কমলা রঙা পলাশ ফুলও আমরা দেখে থাকি। বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। নতুন পাতা রেশমের মতো সূক্ষ্ম। গাঢ় সবুজ পাতা ত্রিপত্রী, যার মানে হচ্ছে তিন পত্রকে একটি পাতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের মতে, পলাশের গাঢ় সবুজ ত্রিপত্রী হিন্দু দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের প্রতীক। আবার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কেউ কেউ মন ে করেন পলাশ গাছের নিচে ভগবান গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল। আদি নিবাস ভারত উপমহাদেশ। এক সময় ভারতের মণিপুরে পলাশ ফুলের টিস্যু হোলির রঙ তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। পলাশ অন্যান্য নাম : পলাশ, কিংশুক, পলাশক, বিপর্ণক ইংরেজি নাম : Flame of Forest, Bastard teak, Bengal kino tree, Parrot Tree বৈজ্ঞানিক নাম : Butea monosperma 'পলাশের কুঁড়ি, একরাত্রে বর্ণবহ্নি জ্বালিল সমস্ত বন জুড়ি।' পলাশ আমাদের কাছের ফুল। বাঙালীর ফুল। ফাল্গুনের-বসন্তে

Putush, পুটুশ, Lantana (Lantana camara)

Putush , পুটুশ, Lantana ( Lantana camara ) / কুটুস ফুল লান্টানা বৈজ্ঞানিক নাম Lantana camara পরিচিতি: এটি Verbenaceae পরিবারের অন্তর্গত। গুল্ম জাতীয় ঝোপ আকৃতির গাছ। আদি নিবাস আমেরিকা। পাতা অমসৃণ ঘন সবুজ। ফুল খুব ছোট এবং আকর্ষণীয়। গাছে লাল, হলুদ ও হালকা বেগুনি মিশ্র রঙের ফুল ফোটে। লান্টানা গাছ ৬ থেকে ৮ মিটার লম্বা হয়। ভেষজগুণ সম্পন্ন এ ফুল গাছ চর্মরোগ ও জ্বর নিরাময়ে উপকারী। সাধারণত শরতের ফুল হলেও সারা বছর কিছু ফুটতে দেখা যায়। সাধারণ, তবু কত সুন্দর, কত বাহার ওর ফুলে। ইংরাজিতে এর অজস্র নাম, Trailing lantana, Creeping lantana, এমনকি Weeping lantana ও আছে। ল্যান্টানা আসলে ভারবেনা পরিবারের ফুল। তবে সাধারণ ভারবেনার সঙ্গে এর অমিল অনেক। ল্যান্টানার বৈজ্ঞানিক নাম Lantana montevidensis. ল্যান্টানার পাতাগুলি দেখতে খসখসে হলেও অনুভবে মসৃণ ও নরম। অঞ্চলভেদে নাম অনেক রকম হতে পারে। এর নাম আমাদের medinipor e বলে "ডগন ফুল" আবার "ভুতভইরা" ও বলা হয়। ফুলের নাম- ল্যান্টানা, ছত্রা, পুটুশ বৈজ্ঞানিক নাম- Lantana camara পরিবার- Verbenaceae ক্রান্তীয় আমেরিকা

কুঁচ

কুঁচ বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑨𝒃𝒓𝒖𝒔 𝒑𝒓𝒆𝒄𝒂𝒕𝒐𝒓𝒊𝒖𝒔 পরিচিতি: গাছটি লতানো এবং বহু বিস্তৃত শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট। এর শাখা বেশ নরম। পাতার দৈর্ঘ্য ২-৩ ইঞ্চি। প্রতিটি পত্রদণ্ডে ২০-৪০টি পত্রিকা থাকে। বসন্তকালে পত্রিকাগুলো পড়ে যায়। এর পুষ্পদণ্ডে প্রচুর ফুল ধরে। ফুলের বাইরের দিক পশমের মতো। ফুলগুলোতে লাল বা সাদা বর্ণের আভা দেখা যায়। এর ফল শুঁটির আকারে জন্মে। এর বীজগুলো লাল, কালো, সাদা ইত্যাদি নানা রঙের হয়ে থাকে। কূঁচবীজের মূল রঙের বিচারে কুঁচকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো সাদা ও লাল। শীতের সময় এর ফুল হয় এবং গ্রীষ্মকালে ফল হয়। কুঁচের বীজ স্নায়বিক দুর্বলতায় উপকারক।

নীলাতা/ নালাতা/নীল বনলতা

নীলাতা/ নালাতা/নীল বনলতা বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑻𝒉𝒖𝒏𝒃𝒆𝒓𝒈𝒊𝒂 𝒈𝒓𝒂𝒏𝒅𝒊𝒇𝒍𝒐𝒓𝒂 পরিচিতি: নীল বনলতা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের গাছ। এরা শক্ত লতার উদ্ভিদ। চিরসবুজ বনের গাছপালার সঙ্গে এদের প্রিয় আবাস। সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে। পাতা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত আড়াই থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা ও কর্কশ, গোড়া তাম্বুলাকার, উভয় পৃষ্ঠ অমসৃণ, করতলাকারে পাঁচ থেকে সাতটি শিরাযুক্ত, বোঁটা মোড়ানো ধরনের, আগা চোখা, ১০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। কিনারে আছে বেশ কয়েকটি লতি। ফুলগুলো লম্বা ঝুলন্ত ডাঁটায় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘণ্টার মতো, দলনল সামান্য বাঁকা, হালকা নীল রঙের অসমান পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি। পুংকেশর চারটি, অর্ধসমান, গলদেশের ভেতরের দিক বাঁকানো, পরাগধানী পাঁচ থেকে নয় মিলিমিটার লম্বা ও দীর্ঘায়িত। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। মালয়েশিয়ায় এ গাছের পাতার ক্বাথ পেটের অসুখে ব্যবহূত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও নানান কাজে ব্যবহার করে এ গাছের পাতা।

কালোকেশী

নীল ফুল অন্যান্য স্থানীয় নামঃ নিলিনী, রঞ্জনী, গ্রামিনিয়া, কালোকেশী, নীলপুষ্প, মধুপত্রিকা। বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑰𝒏𝒅𝒊𝒈𝒐𝒇𝒆𝒓𝒂 𝒕𝒊𝒏𝒄𝒕𝒐𝒓𝒊𝒂 পরিচিতি: নীল গুল্ম জাতীয় এক প্রকারের উদ্ভিদ। ১-২ মিটার দীর্ঘ হয়। আবহাওয়া ও জন্মানোর স্থানের উপর নির্ভর করে এটি একর্ষজীবী, দ্বিবর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী হতে পারে। এর পাতাগুলো হালকা থেকে গাঢ় সবুজ এবং ফুল গোলাপী রঙের হয়। এই উপমহাদেশের মাটি নীল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় বৃটিশ নীল করেরা বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করে নীলচাষে। নদীয়া, যশোর, বগুড়া, রংপুর প্রভৃতি জেলায় নীলচাষ ব্যাপক ভাবে করা হতো। উনিশ শতকের শেষের দিকে নীলচাষ অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক না হওয়ায় কৃষকরা ধান ও পাট চাষের দিকে ঝুকে পড়ে। বৃটিশ নীলকরেরা অত্যাচার আর নিপীড়নের মাধম্যে নীলচাষে বাধ্য করলে ১৮৫৯-৬০ সালে নীলচাষীরা এর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে। এর পরে বাংলায় নীল চাষ ক্রমে বিলুপ্ত হয়।

আলকুশি

আলকুশি সংস্কৃত নাম: আত্মগুপ্তা ইংরেজি নাম: ভেলভেট বিন বৈজ্ঞানিক নাম: Mucuna pruriens পরিচিতি: আলকুশি সাধারণত বর্ষজীবী লতা, কখনো কখনো বহুবর্ষজীবী হতে পারে। প্রতি এক বছরে ১৫ মিটারের মতো লম্বা হয়। লতা ও পাতা শিমগাছের মতো। পাতা ত্রিপত্রিক। পত্রিকা প্রায় সাড়ে ১২ মিলিমিটার লম্বা। কমবয়সী গাছ রোমশ। মঞ্জরিদণ্ড আড়াই থেকে পাঁচ মিলিমিটার লম্বা। ফুল ঈষৎ বেগুনি, কোনো কোনো প্রজাতি সাদা কিংবা গোলাপি রঙের। শুঁটি দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা, একটু বাঁকা। ফল লম্বাটে, মাথার দিকে বাঁকানো, রোমশ ও ধূসর রঙের। গায়ে লাগলে ফুলে ওঠে ও চুলকায়। এই কুখ্যাতির জন্য গ্রামের মানুষ খুব একটা কাছে ভিড়ত না। ছয়-সাতটি বীজ থাকে শুঁটিতে, ধূসর রং, কোনোটি কালো। শুঁটি দেখতে শাকআলুর শুঁটির মতো কিন্তু গোলাকার। বীজ চ্যাপ্টা ও ঈষৎ পীত রঙের, মুখ কালো। প্রতিটি বীজ ৫৫ থেকে ৮৫ গ্রাম ওজন হয়। সারাবছরই পর্যায়ক্রমে ফুল ও ফল পাওয়া যায়। আমাদের বন-পাহাড়ে এখনো মোটামুটি সহজলভ্য। একসময় আমাদের লোকালয়ের ঝোপ-জঙ্গলে অঢেল ছিল, এখন নেই বললেই চলে। আলকুশি ওষুধি গাছ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই সবচেয়ে বেশি আদৃত। গাছের স্বাদুরস বায়ু ও ক্ষয়নাশক, রক্তদোষ ও ব্রণনাশক।

ডাকুর/কাঠমালতী

ডাকুর/কাঠমালতী বৈজ্ঞানিক নাম: Kopsia fruticosa পরিচিতি: ডাকুর উজ্জ্বল সবুজ পাতার চিরসবুজ গাছ। গাছটির উচ্চতা চার মিটারের মতো হবে। ডিম্বাকার পাতার অগ্রভাগ এবং পেছনের দিকটা সুচালো। খুব শক্ত সে পাতা বের হয় জোড়ায় জোড়ায়। গুচ্ছবদ্ধ ফুল দেখে মনে হবে, তারা আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই গাছটিতে হালকা গোলাপি রঙের ফুল তারার মতো জ্বলজ্বল করে। ফুলের পাপড়ি হয় পাঁচটি। দেখতে অনেকটা জুঁই ফুলের মতো।

Rangan, রঙ্গন, Ixora, Jungle geranium (Ixora coccinea)

Rangan , রঙ্গন, Ixora, Jungle geranium ( Ixora coccinea ) রঙ্গন/রুক্সিনী বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea পরিচিতি: গুল্ম জাতীয় শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ। ফুলটি আমাদের উপমহাদেশের। রঙ্গন তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ফুল আকারে ছোট, নলাকৃতি। গাছের আকৃতি ঝোপালো, শাখা-প্রশাখা ছড়ানো, পাতা সবুজ। বাগানের শোভা বর্ধনে রঙ্গন ফুল ও গাছের ভূমিকা অতুলনীয়। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফোটে, তবে বর্ষায় বেশি, অন্যান্য ঋতুতে কম। প্রায় প্রতি শাখার অগ্রভাগে থোকা থোকা ফুল ফোটে, থোকায় থাকে অসংখ্য মঞ্জুরি। রঙ্গন সাদা, লাল গোলাপিসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। আমাদের দেশে উৎপাদিত রঙ্গনের বেশিরভাগই লাল। || রঙ্গন ফুল || অন্যান্য নাম : রঙ্গন, রুক্মিনী, রক্তক, বন্ধুক, ঈশ্বর। ইংরেজি নাম : Burning Love, Jungle Flame, Jungle Geranium, Flame of the woods, West Indian Jasmine. বৈজ্ঞানিক নাম : Ixora coccinea রঙ্গন আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুলের নাম। শহর বা গ্রাম প্রায় সবার কাছেই শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে এই ফুল পরিচিত। আকর্ষণীয় রূপ ও বর্ণের বৈচিত্র্যে এই উদ্ভিদ ঐশ্বর্যমণ্ডিত। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

Turnera subulata / তারামনি

 

Musk Mallow / মেস্তা জবা

 

তারাঝরা / clematis terniflora / Aromatic Jui

 তারাঝরা / clematis terniflora / Aromatic Jui

কলিয়াস

  অজস্র রঙের কলিয়াস পাওয়া যায়। আশ্চর্য এই যে সবার ফুল একই রকম, একই রঙের।

জয়তী

  আজকের গাছের নামটি মজার, জাট্রোফা পাণ্ডুরিফলিয়া। বাংলা ইংরাজি মিলিয়ে বললে হলুদ পাতা বিশিষ্ট। পাণ্ডুর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে, আর ফলিয়া হলো ফলিয়েজ বা পাতা। এর বাংলা নাম জয়তী। সাধারণ জয়তীর পাতা সবুজ, কিন্তু এর variegated. ফুলে কোনো পার্থক্য নেই। পাতার গড়নও একই।

পুদিনা

  আমাদের ছাদে এই পুষ্পমঞ্জরীর নাম পুদিনা বা স্পিয়ারমিন্ট (Spearmint), বৈজ্ঞানিক নাম Mentha spicata. কদিন আগে বাড়িতে একবার পুদিনা পাতার দরকার হয়। বিক্রেতা পাতা বা ডগা দেয়নি, গোটা গোটা গাছ দিয়েছিল। দরকারি পাতাগুলি নিয়ে গোড়াটুকু নীলমণি লতার টবে বসিয়ে দেওয়া হয়। এখন ঝাঁক ঝাঁক পাতা হচ্ছে, সঙ্গে এই ফুল। দেখতে কিছুটা তুলসী মঞ্জরীর মতো। মিন্ট যিনি কোনোদিন মুখে দেননি তাঁকে মিন্টের স্বাদ বোঝানো খুব মুশকিল। একজন বলেছিল, মিন্ট হলো মেন্থলের স্বাদ। কিন্তু সেটিই বা কেমন! এই স্পিয়ারমিন্ট বা পিপারমিন্ট গাছ থেকে নিষ্কাশিত সুগন্ধী জৈব পদার্থটির নাম মেন্থল। এবং তা মুখে দিলে ঠান্ডা বোধ হয়। কিন্তু স্বাদে কেমন তা বলা ভারী ঝঞ্ঝাটের। বন্ধুটি বলেছিল, এত বোঝাতে যেও না। বাজারে নিয়ে গিয়ে একটা চিউইং গাম কিনে চিবোতে বলবে। সেটাই মিন্ট, সেটাই মেন্থল।

চন্দ্রমল্লিকা মাশরুম

আমার মা বাঙাল বাড়ির মেয়ে। কিন্তু ১৫ বছরেরও কম বয়সে বিয়ে হয়ে এবাড়িতে চলে আসায় ঘটি পরিমণ্ডলের প্রভাবে তাঁর কথার টান, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি সব ঘটিদের মতো হয়ে যায়। ছেলেমানুষ মেয়ের কচি মনে পরিবর্তনগুলি মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছিল। আমি জন্মাবধি মাকে দু'একবার ছাড়া কোনোদিন বাঙাল কথা বলতে শুনিনি। তবে বাঙাল হওয়ার অহংকার তাঁর কম ছিলনা। মায়ের তুলনায় আমার বাঙাল স্ত্রী একটু বেশি বয়সে এবাড়িতে আসেন। অর্থাৎ বেশিদিন তিনি বাপের বাড়িতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। বয়স এবং বেশি দিন বাপের বাড়িতে থাকা ---- এই দুইয়ে তাঁর বাঙাল প্রভাব কাটতে সময় লেগেছিল বেশি। এখনো তিনি 'ভাতের হাঁড়ি' না বলে বলেন 'ভাতের হাড়ি।' ভালো করে ছিটকিনি বলতে পারেন না, মনে হয় যেন সিটকানি বললেন। আমার শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি বাড়িতে বাঙাল টানে কথা কইতেন। এবং তা বুঝতে আমার বেশ বেগ পেতে হতো। আনাজ-সবজি কিনে এনে বলতেন, তরকারিগুলো তুলে নাও। আমরা জানি সবজি রান্নার পরই 'তরকারি' হয়। ছিপ ফেলে মাছ ধরার বঁড়শি বলতে আমরা বুঝি একটি লোহার বাঁকানো কাঁটা। ওঁরা বঁড়শি বলতে গোটা যন্ত্রটি বোঝাতেন। আবার মায়ের মুখে শুনেছি, একদিন কার্তিক মাসের রাতে ঠাকুমা ত

সাদা কলমি

  আমরা ছোটবেলায় জানতাম মহিয়াড়ি, এখন লেখা হয় মহিয়ারি। (আঁদুলের (এখন আন্দুল) মহিয়াড়িতে কুন্ডু চৌধুরীদের মস্ত বড় বাড়ি, ঠাকুরদালান আছে দেখেছি।) শালিমারে ভড়পাড়া রোড, রামকুমার গাঙ্গুলী লেন ও ডিউক রোডের সংযোগস্থলের কাছ থেকে একটি রাস্তা শালিমার ইয়ার্ডে ঢুকেছে। সেই রাস্তার নাম রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো (Freight Depot) রোড। রাস্তাটি গোটা শালিমার ইয়ার্ডকে প্রদক্ষিণ করে লোয়ার ফোরশোর রোডে সাবেক টার্নার মরিসন কোম্পানির (এখন শালিমার ওয়ার্কস) কাছে শেষ হয়েছে। এই রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো রোডের একটি শাখা রাস্তার নাম মহিয়াড়ি রোড। আগে সেখানে রকমারি ডাল ও কাঁচা বাদামের গোডাউন ছিল। তোলা-নেওয়া করার সময় চটের বস্তার ফাঁক দিয়ে কত ডাল ছড়িয়ে পড়তো। গরীব বিহারীরা সেই ডাল ঝেঁটিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে যেত। তারপর ঝাড়াই বাছাই করে ব্যাতাইতলার বাজারে একটু দূরে বসে বিক্রি করতো। ছোটবেলায় সেই পাঁচমিশালী ডাল দেখে কৌতূহলের শেষ থাকতো না। গত ২৫/৩০ বছরে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় রেলে এইসব মাল আসা এখন প্রায় উঠেই গেছে। ডাল ও বাদামের সেই গোডাউনগুলি তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। শালিমার ইয়ার্ড তৈরি হয় ১৮৮৩ সালে। তার আগে হয়তো আঁদুলের মহিয়াড়ি গ্রামের কারো জমি ছিল এখান