আলকুশি
সংস্কৃত নাম: আত্মগুপ্তা
ইংরেজি নাম: ভেলভেট বিন
বৈজ্ঞানিক নাম: Mucuna pruriens
পরিচিতি:
আলকুশি সাধারণত বর্ষজীবী লতা, কখনো কখনো বহুবর্ষজীবী হতে পারে। প্রতি এক বছরে ১৫ মিটারের মতো লম্বা হয়। লতা ও পাতা শিমগাছের মতো। পাতা ত্রিপত্রিক। পত্রিকা প্রায় সাড়ে ১২ মিলিমিটার লম্বা। কমবয়সী গাছ রোমশ। মঞ্জরিদণ্ড আড়াই থেকে পাঁচ মিলিমিটার লম্বা। ফুল ঈষৎ বেগুনি, কোনো কোনো প্রজাতি সাদা কিংবা গোলাপি রঙের। শুঁটি দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা, একটু বাঁকা। ফল লম্বাটে, মাথার দিকে বাঁকানো, রোমশ ও ধূসর রঙের। গায়ে লাগলে ফুলে ওঠে ও চুলকায়। এই কুখ্যাতির জন্য গ্রামের মানুষ খুব একটা কাছে ভিড়ত না। ছয়-সাতটি বীজ থাকে শুঁটিতে, ধূসর রং, কোনোটি কালো। শুঁটি দেখতে শাকআলুর শুঁটির মতো কিন্তু গোলাকার। বীজ চ্যাপ্টা ও ঈষৎ পীত রঙের, মুখ কালো। প্রতিটি বীজ ৫৫ থেকে ৮৫ গ্রাম ওজন হয়। সারাবছরই পর্যায়ক্রমে ফুল ও ফল পাওয়া যায়। আমাদের বন-পাহাড়ে এখনো মোটামুটি সহজলভ্য। একসময় আমাদের লোকালয়ের ঝোপ-জঙ্গলে অঢেল ছিল, এখন নেই বললেই চলে।
আলকুশি ওষুধি গাছ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই সবচেয়ে বেশি আদৃত। গাছের স্বাদুরস বায়ু ও ক্ষয়নাশক, রক্তদোষ ও ব্রণনাশক। বীজ ভেঙে মাষকলাইয়ের সঙ্গে জুস বানিয়ে খেলে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া গাছের বীজ, শাক ও মূল বাত, জ্বর এবং কৃমি প্রতিরোধে কার্যকর। বিছার কামড়ে বীজগুঁড়া লাগালে কাজ হয়। এ গাছ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উৎকৃষ্ট পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার্য। ফল একসময় কফির বিকল্প হিসেবে ব্যবহূত হতো।
Comments
Post a Comment