আমরা ছোটবেলায় জানতাম মহিয়াড়ি, এখন লেখা হয় মহিয়ারি।
(আঁদুলের (এখন আন্দুল) মহিয়াড়িতে কুন্ডু চৌধুরীদের মস্ত বড় বাড়ি, ঠাকুরদালান আছে দেখেছি।)
শালিমারে ভড়পাড়া রোড, রামকুমার গাঙ্গুলী লেন ও ডিউক রোডের সংযোগস্থলের কাছ থেকে একটি রাস্তা শালিমার ইয়ার্ডে ঢুকেছে। সেই রাস্তার নাম রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো (Freight Depot) রোড। রাস্তাটি গোটা শালিমার ইয়ার্ডকে প্রদক্ষিণ করে লোয়ার ফোরশোর রোডে সাবেক টার্নার মরিসন কোম্পানির (এখন শালিমার ওয়ার্কস) কাছে শেষ হয়েছে।
এই রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো রোডের একটি শাখা রাস্তার নাম মহিয়াড়ি রোড।
আগে সেখানে রকমারি ডাল ও কাঁচা বাদামের গোডাউন ছিল। তোলা-নেওয়া করার সময় চটের বস্তার ফাঁক দিয়ে কত ডাল ছড়িয়ে পড়তো। গরীব বিহারীরা সেই ডাল ঝেঁটিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে যেত। তারপর ঝাড়াই বাছাই করে ব্যাতাইতলার বাজারে একটু দূরে বসে বিক্রি করতো। ছোটবেলায় সেই পাঁচমিশালী ডাল দেখে কৌতূহলের শেষ থাকতো না।
গত ২৫/৩০ বছরে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় রেলে এইসব মাল আসা এখন প্রায় উঠেই গেছে। ডাল ও বাদামের সেই গোডাউনগুলি তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শালিমার ইয়ার্ড তৈরি হয় ১৮৮৩ সালে। তার আগে হয়তো আঁদুলের মহিয়াড়ি গ্রামের কারো জমি ছিল এখানে। তাই এই রাস্তাটির নাম মহিয়াড়ি রোড।
এই রাস্তায় সারা বছর এক হাঁটু ধুলো, আর বর্ষার ক'মাস এক হাঁটু কাদা।
এই দুইয়ের মাঝের সময়টি হলো এখন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি।
Comments
Post a Comment