Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2020

Turnera subulata / তারামনি

 

Musk Mallow / মেস্তা জবা

 

তারাঝরা / clematis terniflora / Aromatic Jui

 তারাঝরা / clematis terniflora / Aromatic Jui

কলিয়াস

  অজস্র রঙের কলিয়াস পাওয়া যায়। আশ্চর্য এই যে সবার ফুল একই রকম, একই রঙের।

জয়তী

  আজকের গাছের নামটি মজার, জাট্রোফা পাণ্ডুরিফলিয়া। বাংলা ইংরাজি মিলিয়ে বললে হলুদ পাতা বিশিষ্ট। পাণ্ডুর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে, আর ফলিয়া হলো ফলিয়েজ বা পাতা। এর বাংলা নাম জয়তী। সাধারণ জয়তীর পাতা সবুজ, কিন্তু এর variegated. ফুলে কোনো পার্থক্য নেই। পাতার গড়নও একই।

পুদিনা

  আমাদের ছাদে এই পুষ্পমঞ্জরীর নাম পুদিনা বা স্পিয়ারমিন্ট (Spearmint), বৈজ্ঞানিক নাম Mentha spicata. কদিন আগে বাড়িতে একবার পুদিনা পাতার দরকার হয়। বিক্রেতা পাতা বা ডগা দেয়নি, গোটা গোটা গাছ দিয়েছিল। দরকারি পাতাগুলি নিয়ে গোড়াটুকু নীলমণি লতার টবে বসিয়ে দেওয়া হয়। এখন ঝাঁক ঝাঁক পাতা হচ্ছে, সঙ্গে এই ফুল। দেখতে কিছুটা তুলসী মঞ্জরীর মতো। মিন্ট যিনি কোনোদিন মুখে দেননি তাঁকে মিন্টের স্বাদ বোঝানো খুব মুশকিল। একজন বলেছিল, মিন্ট হলো মেন্থলের স্বাদ। কিন্তু সেটিই বা কেমন! এই স্পিয়ারমিন্ট বা পিপারমিন্ট গাছ থেকে নিষ্কাশিত সুগন্ধী জৈব পদার্থটির নাম মেন্থল। এবং তা মুখে দিলে ঠান্ডা বোধ হয়। কিন্তু স্বাদে কেমন তা বলা ভারী ঝঞ্ঝাটের। বন্ধুটি বলেছিল, এত বোঝাতে যেও না। বাজারে নিয়ে গিয়ে একটা চিউইং গাম কিনে চিবোতে বলবে। সেটাই মিন্ট, সেটাই মেন্থল।

চন্দ্রমল্লিকা মাশরুম

আমার মা বাঙাল বাড়ির মেয়ে। কিন্তু ১৫ বছরেরও কম বয়সে বিয়ে হয়ে এবাড়িতে চলে আসায় ঘটি পরিমণ্ডলের প্রভাবে তাঁর কথার টান, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি সব ঘটিদের মতো হয়ে যায়। ছেলেমানুষ মেয়ের কচি মনে পরিবর্তনগুলি মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছিল। আমি জন্মাবধি মাকে দু'একবার ছাড়া কোনোদিন বাঙাল কথা বলতে শুনিনি। তবে বাঙাল হওয়ার অহংকার তাঁর কম ছিলনা। মায়ের তুলনায় আমার বাঙাল স্ত্রী একটু বেশি বয়সে এবাড়িতে আসেন। অর্থাৎ বেশিদিন তিনি বাপের বাড়িতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। বয়স এবং বেশি দিন বাপের বাড়িতে থাকা ---- এই দুইয়ে তাঁর বাঙাল প্রভাব কাটতে সময় লেগেছিল বেশি। এখনো তিনি 'ভাতের হাঁড়ি' না বলে বলেন 'ভাতের হাড়ি।' ভালো করে ছিটকিনি বলতে পারেন না, মনে হয় যেন সিটকানি বললেন। আমার শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি বাড়িতে বাঙাল টানে কথা কইতেন। এবং তা বুঝতে আমার বেশ বেগ পেতে হতো। আনাজ-সবজি কিনে এনে বলতেন, তরকারিগুলো তুলে নাও। আমরা জানি সবজি রান্নার পরই 'তরকারি' হয়। ছিপ ফেলে মাছ ধরার বঁড়শি বলতে আমরা বুঝি একটি লোহার বাঁকানো কাঁটা। ওঁরা বঁড়শি বলতে গোটা যন্ত্রটি বোঝাতেন। আবার মায়ের মুখে শুনেছি, একদিন কার্তিক মাসের রাতে ঠাকুমা ত

সাদা কলমি

  আমরা ছোটবেলায় জানতাম মহিয়াড়ি, এখন লেখা হয় মহিয়ারি। (আঁদুলের (এখন আন্দুল) মহিয়াড়িতে কুন্ডু চৌধুরীদের মস্ত বড় বাড়ি, ঠাকুরদালান আছে দেখেছি।) শালিমারে ভড়পাড়া রোড, রামকুমার গাঙ্গুলী লেন ও ডিউক রোডের সংযোগস্থলের কাছ থেকে একটি রাস্তা শালিমার ইয়ার্ডে ঢুকেছে। সেই রাস্তার নাম রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো (Freight Depot) রোড। রাস্তাটি গোটা শালিমার ইয়ার্ডকে প্রদক্ষিণ করে লোয়ার ফোরশোর রোডে সাবেক টার্নার মরিসন কোম্পানির (এখন শালিমার ওয়ার্কস) কাছে শেষ হয়েছে। এই রেলওয়ে ফ্রেট ডিপো রোডের একটি শাখা রাস্তার নাম মহিয়াড়ি রোড। আগে সেখানে রকমারি ডাল ও কাঁচা বাদামের গোডাউন ছিল। তোলা-নেওয়া করার সময় চটের বস্তার ফাঁক দিয়ে কত ডাল ছড়িয়ে পড়তো। গরীব বিহারীরা সেই ডাল ঝেঁটিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে যেত। তারপর ঝাড়াই বাছাই করে ব্যাতাইতলার বাজারে একটু দূরে বসে বিক্রি করতো। ছোটবেলায় সেই পাঁচমিশালী ডাল দেখে কৌতূহলের শেষ থাকতো না। গত ২৫/৩০ বছরে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় রেলে এইসব মাল আসা এখন প্রায় উঠেই গেছে। ডাল ও বাদামের সেই গোডাউনগুলি তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। শালিমার ইয়ার্ড তৈরি হয় ১৮৮৩ সালে। তার আগে হয়তো আঁদুলের মহিয়াড়ি গ্রামের কারো জমি ছিল এখান

ঝিয়ারি

  নজরুলের একটি গানে আছে, "ঐ জলকে চলে লো কার ঝিয়ারি।" ঝিয়ারি শব্দের অর্থ কন্যা, দুহিতা ইত্যাদি। আজকের এই সুন্দর বুনো হলুদ ফুলটির নাম ঝিয়ারি। চোখে ওর বিদ্যুৎ চমকের মতো দৃষ্টি। তাকালে চোখ ফেরানো যায়না। নজরুলের ভাষায় বললে, "এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো?" সে যাক। ফুলের অন্য একটি বাংলা নাম হলো কালো দানা। মনিপুরী নাম কোমালতা। এর মারাঠি নামটিও ভারী মিষ্টি, হেমালি। মর্নিং গ্লোরী পরিবারের ফুল ঝিয়ারির ইংরাজি নাম Ivy Woodrose (Merremia hederacea). বেশ মজবুত লতানে গাছ, পানের মতো পাতা। হেমন্তে এর ফুল ফোটার সময়। আমাদের বাড়ির কাছে বি এফ সাইডিং রেল কোয়ার্টার্স চত্বরে অজস্র ফুটে আছে। ফুলে হলুদ রঙের খাঁজকাটা পাঁচটি পাপড়ি। পাপড়ির গায়ে পাঁচটি অসমান্তরাল রেখা। সেটি ফুলের এক সৌন্দর্য। প্রতিটি পাপড়ির গা ঘেঁষে আছে একটি করে পুংদন্ড। আর কেন্দ্রে আছে একটিমাত্র গর্ভদন্ড। সেটিই সবচেয়ে লম্বা।