এই ফুলটির নাম কুড়ুই / কড়ুই, বা গৌরনিতাই বা কুরুবক। ভালো নাম Malabar False Eranthemum.
ছবিতে পাশাপাশি তিনটি ফুল ও দূরে একটি কুঁড়ি দেখা যাচ্ছে। ফুল তিনটি পরাগ মিলনের তিনটি স্তরে অবস্থান করছে।
বাঁদিকের ফুলটি তরুণতম, আজই ফুটেছে; মাঝেরটি একদিন আগের, আর ডানদিকেরটি তার আগের দিনের ফোটা।
প্রথম ফুলটির পরাগধানী একটি লম্বাটে মৌরি লজেন্সের মতো। তা লম্বালম্বিভাবে (longitudinally) উন্মুক্ত হয়েছে, মিলনের জন্য প্রস্তুত। ওর ভিতরের গায়ে আছে সমান্তরাল কয়েকটি rib, তা পরাগ সৃষ্টি করতে ও পরাগ গ্রহণ করতে সক্ষম। প্রয়োজন শুধু একটি পতঙ্গের বা একটু বাতাসের।
দ্বিতীয় ফুলটির পরাগমিলন সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। তার পরাগধানী বৃন্তের রঙ সাদা থেকে সবুজ হয়েছে এবং ফুলটি এখনো সম্পূর্ণ ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তার অন্তরে চলছে দ্রুত পরিবর্তন।
শেষ ফুলটির মর্ত্যে আগনমের কাজ সমাপ্ত। এখন সে ঝরে পড়ার অপেক্ষায়।
কমল দাশগুপ্তের একটি গানে আছে,
" চাঁদ কহে সুদূরে আমি,
মোর প্রেম-জোছনা সে কেঁদে মরে তব পাশে,
ওগো ফুল, কেমনে নামি।
চামেলি কহিল তবে, আমি যাই দূর নভে
ঝরিল সে পথের ধারে।"
ফুল ঝরে যাওয়া মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়, ইহ জগতের লয় বটে, কিন্তু অন্য জীবনের শুরু। ঝরার আগে সে গাছের বুকে রেখে গেছে তার ভবিষ্যৎ। চলতে থাকবে জীবনের ধারা, বংশগতির শৃঙ্খল।
Comments
Post a Comment