Skip to main content

দই গোটা বা লটকন বা সিঁদুরী

 


দই গোটা বা লটকনের কুঁড়ি, ফুল, কাঁচা ও পাকা ফল ও ফলন্ত গাছের বিবরণ :

এই গুল্মটির নাম দই গোটা বা লটকন বা সিঁদুরী। গাছ এখন টুকটুকে লাল ফলে ভরে আছে।
শুকনো ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে পাউডার বা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে হাতে ঘষলেই জৈব সিঁদুর পাওয়া যায়।
গাছটির ইংরেজী নাম Lipstick Tree.
বৈজ্ঞানিক নাম Bixa orellana.
৮/১০ ফুট উঁচু গাছটিতে অক্টোবরে ফুল ফোটে। এর কুঁড়ি টুকটুকে লাল, কিন্তু ফুল হালকা গোলাপি রঙের এবং দেখতে অনেকটা জামরুল, পেয়ারা ইত্যাদি ফুলের মতো।
ফুল ঝরে গেলে নরম কাঁটাওলা থোকা থোকা সবুজ ফল ধরে। ফলগুলি পেকে উজ্জ্বল লাল হয়ে যায়। গাছের প্রতিটি শাখায় তখন রঙের খেলা। দূর থেকে দেখে মনে হয় কোনো ফুল ফুটেছে।
দই গোটার বীজ রঞ্জক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া ইত্যাদি দেশের আদিবাসীরা তাদের শরীর রাঙানোর জন্য এর বীজ বেটে বা তেলে বা জলে ফুটিয়ে কমলা-লাল রঙ নিষ্কাশন করে।
সেই রঙ আবার লিপস্টিক ও নানান খাবারেও মিশিয়ে রঙিন করা হয়। আমাদের দেশে দই, মাখন, চীজ, পপকর্ন, কেক ইত্যাদি রঙ করতে সেই রঙ ব্যবহার করা হয়।
এর বীজ খাবারে flavour আনার জন্যও ব্যবহার করা হয়। বীজকে ঘিরে থাকে লিচুর মতো শাঁস (aril), যা রঙ ও সুগন্ধী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সুগন্ধের জন্য অনেকে একে ভুল করে জাফরানের গাছ বলেন।
আমাজন নদীর উৎস সন্ধানে নিয়োজিতপ্রাণ এক স্প্যানিশ অভিযাত্রী ফ্রান্সিসকো দা অরিলানা-র নাম অমর করে রাখতে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী Linnaeus এই গাছটির নামকরণ করেন Bixa orellana. Bixa হলো একধরণের pigment বা রঞ্জনকণা।

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত