সেবার কোথায় যেন বেড়াতে যাওয়া হবে। সকালে গিয়ে রাতে ফেরা।
যাত্রাপথে রাস্তায় ছাইভস্ম কিনে না খেয়ে, পত্নী বললেন, দাঁড়াও, আমি নিমকি ভেজে নিয়ে যাবো। খুব খেতে খেতে যাওয়া হবে।
সত্যি দুর্দান্ত হলো সে নিমকি। বেশি করে মোয়ান দিয়ে, ধবধবে সাদা ময়দা মাখা হলো। পাতলা ফিনফিনে করে বেলে, সরু ছুরি দিয়ে বাহার করে কেটে কেটে নিমকি তৈরি হলো।
কিন্তু জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাকে বললেন, তুমি একটু ভাজতে পারবে? আস্তে আস্তে, আঁচ কমিয়ে, মরা আঁচে ভাজবে। দেখো, লাল না হয়ে যায়।
মরা আঁচ ঠিক কতটা মরা হবে বুঝিনি, দু'চার দফা ভাজা হতেই কি ভেবে হাত থামিয়ে এদিকে ফিরে তাঁর সাধের নিমকি লালচে হয়ে গেছে দেখে সে এক কুরুক্ষেত্র বেধে গেল। পরের দিন বেড়াতে যাওয়া মাথায় ওঠার উপক্রম।
আমি বোঝালাম, দেখো আমরাই তো খাবো, আর কালকেই ফুরিয়ে যাবে, কি সুন্দর মুচমুচে, ফুরফুরে হয়েছে খেয়ে দেখো।
পত্নীর সে দুঃখ আজও ঘোচেনি। নিমকি কেন লালচে করে ফেললে? এতবার করে বুঝিয়ে দিলাম, তবু।
সে যাক। এ তো আছেই। আমরা ফুল দেখি।
এ হলো ভারবেনা (Verbena) ফুল। এর রংটি হুবহু সেই লালচে নিমকির মতো। আমার মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে দুচারটি তুলে নিয়ে কুড়মুড় করে খাই।
কিন্তু হয় না।
যা নরম!!
Comments
Post a Comment