Skip to main content

Shirish, শিরিষ, Rain Tree, acacia preta, monkey pod (Samanea saman)

Image result for Rain Tree, acacia preta, monkey pod (Samanea saman)

Image result for Rain Tree, acacia preta, monkey pod (Samanea saman)

Shirish, শিরিষ, Rain Tree, acacia preta, monkey pod (Samanea saman)


বিলাতি শিরিষ / রেইন ট্রি / রেইন ট্রি কড়ই
বৈজ্ঞানিক নাম: 𝘼𝙡𝙗𝙞𝙯𝙞𝙖 𝙨𝙖𝙢𝙖𝙣
পরিচিতি:
Fabaceae গোত্রের পত্রমোচী উদ্ভিদ। ২০-৪০ মিটার উচু, ছাতার মতো ছড়ানো, বিশালবৃক্ষ। বাকল গাড় বাদামী ফাটা ফাটা দেখায়। পাতা দ্বিপক্ষল যৌগিক, একান্তর। ফুলের সৌন্দর্য বিকীর্ণ পরাগ-কেশরে নিহিত, পরাগকেশরের অগ্রভাগ গোলাপী, নিচের অংশ সাদা, ফুল মৃদু সুগন্ধযুক্ত।

দেশি উদ্ভিদ নয়; আদি নিবাস ব্রাজিল তবে দিব্যি মিলেমিশে গিয়েছে আমাদের দেশীয় গাছপালার সঙ্গে।
------

No photo description available.

শিরীষ
বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑨𝒍𝒃𝒊𝒛𝒊𝒂 𝒍𝒆𝒃𝒃𝒆𝒄𝒌
পরিচিতি:
Fabaceae গোত্রের এক প্রকার উদ্ভিদ। এই গাছের আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া, নিউ গিনি এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বত্রই এই দেখা যায়।
এই গাছ সর্বোচ্চ ১৮-৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর গুঁড়ির ব্যাস প্রায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। গাছের গুঁড়ি কিছুটা সরলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পর এর ডালপাল ছড়িয়ে পড়ে। গাছের বাকল ফাটা ফাটা দেখায়।
এর পাতা বেশ মসৃণ হয়। তবে পাতগুলো লোমশ এবং অবনত হয়ে থাকে। একটি বড় পত্রদণ্ড থেকে পাতা উৎপন্ন হয়। প্রতিটি পত্রদণ্ডে ৪-৮টি পত্রিকা বের হয়। পত্রিকার বোঁটা ছোটো হয়ে থাকে।
ডালের শীর্ষে ৩-৪টি ফুল হয়। ফুলের সৌন্দর্য বিকীর্ণ পরাগ-কেশরেই নিহিত। ফুলগুলো লম্বায় প্রায় দেড় ইঞ্চি হয়।শিরীষ-মঞ্জরি হালকা হলুদ এবং পরাগকেশরের আগা সবুজ। ফুলের গন্ধ দূরবাহী এবং উগ্র। ফুলের বোঁটা বেশ ছোটো হয়। বর্ষাকালে এর ফুল হয়।
এর ফল হয় শুঁটি আকারে। শুঁটিগুলোর বাইরের অংশের রঙ ধূসর। শুঁটগুলো চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। এগুলো লম্বায় প্রায় ১ ফুট আর চওড়ায় প্রায় আধ ইঞ্চি হয়। শুঁটির রঙ হয় হাল্কা পীতবর্ণ। প্রতিটি শুঁটিতে ৬-১০টি বীজ থাকে। শীতকালে ফল ধরে।

----
কৃষ্ণ শিরীষ
বৈজ্ঞানিক নাম: 𝘼𝙡𝙗𝙞𝙯𝙞𝙖 𝙖𝙢𝙖𝙧𝙖

পরিচিতি:
এই গাছ মাঝারি উচ্চতার হয়ে থাকে। এর কাঠ বেশ শক্ত। বাকলের ভিতরের রঙ সাদা। গাছটি ঘন শাখাযুক্ত হয়। শাখায় নরম লোম থাকে। এর পাতা দ্বিপক্ষল। পত্রদণ্ডে ৮-২০ জোড়া পত্রিকা থাকে। সমগ্র পাতাটি প্রায় ১-৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। এর ফুলের রঙ পীত, ফুলের বোঁটা বেশ নরম হয়। বোঁটা লোমযুক্ত হয়। গ্রীষ্মকালে এর ফুল ফোটে। ফল শুঁটি আকারের হয়। শীতকালে ফল ধরে। প্রতিটি শুঁটিতে ১০-১১টি বীজ হয়। এর মূল অর্শ, উদরাময় এবং গনোরিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব আফ্রিকায় এই গাছ প্রচুর জন্মে।




Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।