Skip to main content

Otoshi, অতসী, Rattlebox, rattlepod (Crotalaria spectabilis)

Image result for rattlebox
Otoshi, অতসী, Rattlebox, rattlepod (Crotalaria spectabilis)

ছোট ঝুনঝুনি
বৈজ্ঞানিক নাম: Crotalaria saltiana
পরিচিতি:
অবহেলিত বুনোফুল। ছোট ঝুনঝুনি ছোটখাটো গুল্ম। আমাদের বনবাদাড়ে সহজলভ্য। দীর্ঘ মঞ্জরিদণ্ডের দুই পাশজুড়েই অসংখ্য ফুল। ক্লান্তিহীন প্রস্ফুটন-প্রাচুর্য সহজেই নজরকাড়ে। পাপড়ির ভেতরের রং হলুদ। বাইরের দিকটা মেরুন রঙের এবং গভীর শিরাযুক্ত। শীত মৌসুমে কিছুটা নিষ্প্রাণ থাকলেও সারা বছর বেশ সরব। ফল সরু, ভেতরের বীজগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর একটু নাড়াতেই ঝনঝন শব্দে বেজে ওঠে। সম্ভবত এ কারণেই এমন নামকরণ।



এখন অতসী ফুলের সময় নয়। তবু একটি দুটি গাছে রয়ে গেছে দুচারটি ফুল। সে ফুল তার সোনার বরণ হারিয়ে কেমন লালচে দেখায় এখন।

এখন আছে গাছভরা ঝুনঝুনি ফল। ফলের খোসা শক্ত, তাই ভিতরে ঝরে পড়া বীজগুলি ঝুন ঝুন শব্দ তোলে। সেই শব্দ শোনার নেশা আছে। আমি হাঁটতে গিয়ে একটি করে শুকনো ফল তুলে নিই, সারা পথ বাজনা শুনি, তারপর বাগানেই দূরে কোথাও ছড়িয়ে দিই। আমার হাত ধরে বাগান জুড়ে ছড়িয়ে অতসীরা।

ঝুনঝুনি
বাংলা নাম : ঝুনঝুনি, বন অতসী।
ইংরেজি নাম : Large Yellow Rattlebox, Rattlebox, Yellow Lupin, Big Yellow Pupbush, Cascabelillo, Wedge-Leaf Rattlepod, Wedge-leaf, Common Rattle Pod, Rattleweed, Devil Bean
বৈজ্ঞানিক নাম : crotalaria retusa
সুন্দর উজ্জল হলুদ রঙের ঝুনঝুনি ফুল দেখতে অনেকটা অপরাজিতা বা বক ফুলের মত, তবে গন্ধটা খুব একটা সুবিধার না। ছোট বেলায় এই জংলি ফুলটা যতটা না আমাদের পছন্দের ছিল, তার থেকে বেশি পছন্দের ছিল এর পাকা ফল, তবে খাওয়ার জন্য নয়। এর একটা ছড়ায় অনেকগুলো করে ফল থাকে। ফল পাকলে শক্ত খোসার মধ্যে থাকা ভেতরের বীজগুলো ঝাকি দিলেই ঝুনঝুন করে শব্দ হয়। এই জন্য এর নাম ঝুনঝুনি ফুল। এই গাছ এর আদি নিবাস আফ্রিকা। তবে বর্তমানে আফ্রিকা ছাড়াও গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াও এর স্বাভাবিক আবাসস্থল।
ঝুনঝুনি বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় ওষধি গাছ। কান্ড সাধারনত ১ – ১.৫ মিটার উঁচু সোজা, সবুজ, অমসৃণ এবং অল্প রোম যুক্ত। ৩-৯ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া পাতাগুলি সবুজ, অখন্ড এবং বিডিম্বাকার।পাতার উপরিতল মসৃণ এবং নিম্নতল অমসৃণ, রোমশ।
প্রজাপতির মত ঝুনঝুনির ফুলগুলো ১.৫-২.৫ সেমি লম্বা। পুষ্পদন্ডে এক সাথে অনেক হলুদ ফুল ফোটে। হলুদ রঙের তার উপর সুন্দর লাল শিরার নকশা। পাঁপড়ির সংখ্যা ৫। ধ্বজা, পক্ষ ও তরীদল নিয়ে গঠিত।
ফল ৩-৪ সেমি লম্বা আয়তকার এবং মসৃণ। শুঁটির মত ফলগুলো কচি অবস্থায় সবুজ এবং যত পরিনতির দিকে যেতে থাকে তখন রঙ ক্রমশ বাদামী থেকে কালোতে রূপান্তরিত হয়। একেকটি শুটির ভেতর ১৫-২০টি করে বাদামী কালো বীজ থাকে। ফল শুকিয়ে গেলে শুঁটির ভেতর বীজগূলো খসে পড়ে ফলে নাড়লেই ঝনঝন করে শব্দ হয়।
এই গাছ বেশ ভেষজ গুন সমৃদ্ধ। গাছ ল্যাপ্রোসি ইত্যাদি চর্মরোগে, মূল রক্ত জমাট বাঁধাতে ব্যাবহার হয়। পাতা জ্বর নিরাময়ে, ফুসফুসের অসুখে কাজ দেয়। ফুল ঠান্ডা লাগায় এবং বীজ পোকার কামড়ের ব্যথা কমাতে ব্যবহার হয়!
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom: Plantae
Phylum: Spermatophyta
Subphylum: Angiospermae
Class: Dicotyledonae
Order: Fabales
Family: Fabaceae
Subfamily: Faboideae
Genus: Crotalaria
Species: Crotalaria retusa




Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

Jhumko Lata, ঝুমকো লতা, Passion flower (Passiflora caerulea)

Jhumko Lata , ঝুমকো লতা, Passion flower ( Passiflora caerulea ) জংলি ঝুমকো ইংরেজি নাম: Wild Passion Flower বৈজ্ঞানিক নাম: Passiflora foetida পরিচিতি: এটি আরোহী লতা। আকর্ষীর মাধ্যমে কোনো ধারককে আঁকড়ে ধরে বেয়ে ওঠে। ফুল সুগন্ধি নয়, তবে দেখতে আকর্ষণীয়। পাতা একান্তর, দুটি খাঁজ রয়েছে। ফুল বেগুনি ও সাদা রঙের। বৃতি পাঁচটি, দল পাঁচটি এবং বৃতি নল থেকে কিছুটা খাটো। ফল পাকলে কমলা লাল বর্ণের হয়।এর পাকা ফল খাওয়া যায়। স্বাদে মিষ্টি ও রসাল। কিন্তু কাঁচা ফল বিষাক্ত ও ভক্ষণে মানা। বাংলাদেশ ছাড়া মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, চীন, মাদাগাস্কার ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় এ লতার বিস্তৃতি রয়েছে। বীজ দ্বারা বংশবৃদ্ধি ঘটে। প্যাশন ফ্লাওয়ার / ঝুমকোলতা বৈজ্ঞানিক নাম: Passiflora Incarnata পরিচিতি: এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ। প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এ গাছেরপাতা দেখতে হাতের তালুর মতো। পাতায় তিনটি খাঁজ আছে এবং প্রতিটি অংশ দেখতে আঙ্গুল সদৃশ। পাতার অগ্রভাগ সুচালো। পাতার কক্ষ থেকে লতা বের হয়। ফুল একক, সুগন্ধযুক্ত। বাতাসে একটা মৌতাতানো সুবাসিত গন্ধ ছড়ায়। হালকা বেগুনি রঙের পাপড়ি বাইরের দিকে সজ্জিত থাকে। এ গাছের ...

অলকানন্দা

অলকানন্দা বৈজ্ঞানিক নাম: Allamanda cathartica পরিচিতি: কান্ড গোল, সরু সরু ডাল, চিরসবুজ, তেমন পত্রঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১*৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। বড় বড় হলুদ রঙের ফুল, গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। অলকানন্দা বাংলা নাম : অলকানন্দা, স্বর্ণঘন্টা, ঘন্টালতা ইংরেজি নাম : Golden Trumpet, Yellow Bell, Common Trumpetvine, Yellow Allamanda বৈজ্ঞানিক নাম : Allamanda cathartica অলকানন্দা (রবি ঠাকুরের দেয়া নাম) একটি গুল্মজাতীয় গাছ। ব্রাজিল ও মধ্য আমেরিকার প্রজাতি। কান্ড গোল, সরু ডাল, চিরসবুজ, পাতা তেমন ঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১.৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ, বিন্যাস আবর্ত। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। ডালের আগায় বড় বড় হলুদ রঙের ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর, ফুল গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে এটি সবচেয়ে ভালভাবে ফোটে। জল জমে থাকেনা এমন মাটিতে এটি ভাল জন্মে। এটি অনেকটা লতা জাতীয় গাছ, তাই বেড়া বা লাঠিতে ভর দিয়ে এটি বেড...