Skip to main content

Nayantara, নয়নতারা, (Madagascar) Periwinkle (Vinca rosea)

Image result for (Madagascar) Periwinkle (Vinca rosea)

Nayantara, নয়নতারা, (Madagascar) Periwinkle (Vinca rosea)

নয়নতারা
বৈজ্ঞানিক নামঃ Vinca rosea
পরিচিতি:
এটি একটি গুল্মজাতীয় গাছ। বুনোজংলী এই গাছটি অনাদরে ও অবহেলায় বাঁচতে পারে। সারা বছরই ফুল ফোটে। সাধারনতঃ ৭০-৮০ সেমি উচ্চতা।পাতা ৫-৭ সেমি লম্বা। এর ফুল সাধারনতঃ সাদা বেগুনী গোলাপী রঙের হয়। ভেজষ গাছ হিসাবে নয়নতারা বিশেষ পরিচিতি আছে। এই গাছের নিস্কাষিত রস হতে তৈরী ঔষধ আফ্রিকাতে ডায়াবেটিকস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হতো। এতে কিছু এলকালয়েড আছে যা বর্তমানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।


নয়নতারা
অন্যান্য নাম : নয়নতারা, গুলফেরিংগী, কটকতারা, সদাসোহাগী,
ইংরেজি নাম : Cape periwinkle, Madagascar periwinkle, periwinkle,
বৈজ্ঞানিক নাম : Catharanthus roseus
নয়নতারা একটি বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। তবে কখনো কখনো অনেক বছর বেঁচে থাকতেও দেখা যায়। নয়নতারা গাছের আদি জন্মস্থান আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মাদাগাসকার দ্বীপ হলেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফ্রিকা সহ এই উপমহাদেশের সমতলভূমির প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায়।
নয়নতারা গাছটি ২-৩ ফুট লম্বা, কাণ্ডের একটু উপর থেকেই ডালপালা বেড়ে ওঠে। কান্ড কোনাচে ধরণের নরম, রসালো ও গাঢ় সবুজ বা বেগুনি রঙের। ডালপালা এপাশ-ওপাশ ছড়ানো। মূলের কাছের কান্ড ক্রমে শক্ত হয়ে ওঠে।
পাতা গাঢ় সবুজ। ৭-৮ সেন্টিমিটার লম্বা ও ২-৩ সেন্টিমিটার প্রশস্ত। পাতা সবৃন্তক, বিপরীতমুখী, মসৃণ, আয়তকার ও অনেকটা ডিম্বাকার।পাতার মধ্যে উপশিরা বিদ্যমান।
নয়নতারা ফুল সারা বছর ফুটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি ফোটে। পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল। গোলাপি, হালকা গোলাপি ও সাদা রঙের ফুল ফোটে। ফুল গন্ধহীন তবে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফুলের পাঁচটি পাপড়ি। পাপড়ি ৩-৩.৫ সেমি চওড়া। পুরো ফুল একরঙা হলেও ফুলের মধ্যবিন্দুটি অন্য রংয়েরও হয়। দলনল সরু, প্রায় ২.৫ সেমি লম্বা।
ফল দেখতে অনেকটাই সর্ষের শুঁটির মত, বেঁটে, একটু মোটা এবং বেলনাকার। শুঁটিতে অনেক বীজ থাকে। বীজ কালো ও অমসৃণ, সরিষার দানার চেয়ে সামান্য বড়। এই ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে গাছ লাগানো যায়। আবার গাছের কলম তৈরি করেও গাছ লাগানো যায়। সমগ্র গাছটি তিক্ত স্বাদের জন্য সাধারনতঃ গরু ছাগলে খায় না।
গাছটির পাতা, ফুল ও ডালে বহু মূল্যবান রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। ৭০ টিরও বেশি উপক্ষার পাওয়া যায় এ গাছ থেকে। যেমন- ভিনব্লাসটিন, ভিনক্রিসটিন, ভিনোরেলবিন, ভিনরোসাইডন, ভিনডোলিন ইত্যাদি। এই এলকালয়েডগুলো অত্যন্ত তিক্ত স্বাদের এবং নাইট্রোজেন পরমাণুবিশিষ্ট। ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন নামের উপক্ষার দুটি লিউকেমিয়া রোগে বিশেষ ব্যাবহার রয়েছে এবং ক্যানসার চিকিৎসায় যেগুলির গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। নয়নতারা বহুমূত্র রোগের চিকিৎসায় দেশিয় ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং লঘুরক্তচাপ, প্রশান্তিদায়ক ও প্রশমক ঔষধ হিসেবেও এর ব্যবহার আছে। এছাড়াও ক্রিমি রোগে, মেধাবৃদ্ধিতে, রক্ত প্রদরে, সন্ধিবাত, ডিপথেরিয়া সহ নানা রোগে এর ব্যবহার রয়েছে। বোলতা প্রভৃতির হুলের জ্বালায়/কীট দংশনে দ্রুত উপশম পেতে নয়নতারা ফুল বা পাতার রস ব্যবহারের প্রচলন লক্ষ্য করা যায়।
নয়নতারার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর দ্বারা তৈরিকৃত ঔষধের কারণে বমি বা বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, রক্ত ঝরা, অবসাদ ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটি কিডনী ও স্নায়ুতন্ত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও ক্ষতিকর। এছাড়াও এটি তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য বিষাক্ত।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Asteranae
Order Gentianales
Family Apocynaceae
Genus Catharanthus
Species Catharanthus roseus

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।