ঘাসের ভিতরে নীল শাদা ফুল ফোটে হেমন্তরাগে;
সময়ের এই স্থির এক দিক,
তবু স্থিরতর নয়;
প্রতিটি দিনের নতুন জীবাণু আবার স্থাপিত হয়।
জীবনানন্দ দাশ
লুপিন ( Lupin )
এই সুন্দর নীল-সাদা ফুলের নাম লুপিন !! এই ফুল গুলোকে এবার ই প্রথম দেখলাম , আগে দেখেছি কিনা মনে পরছে না !! সেদিন সকালে এক ছোট ভাইয়ের সাথে হাটতে বেরিয়েছি , উদ্দেশ্য ফুল ও গাছ ......, হঠাৎ করেই Falguni Majumdar স্যারের সাথে দেখা , স্যার যথা রীতি মনযোগ দিয়ে ফুল দেখছিলেন .....!! কি যে ভালো লাগছিল স্যার কে পেয়ে , অনেক কথা হলো , অনেক্ষন একসাথে হাঁটা হলো , ফুল চিনালেন , ফুল দেখা হলো ............!!
সেদিন এই ফুলটির ও দেখা পেলাম ! সবুজ পাতার মাঝে একটা লম্বা শিষ , অতসী ফুলের মতো ফুল ( তবে এ নীল-সাদা )!! লুপিন ফুলের আদি নিবাস নাকি আমেরিকা , এর বিস্তার আফ্রিকা পর্যন্ত .....!! এখন তো আমাদের কলকাতার বাগানে ও !! এর প্রজাতি নাকি দুশোর ও বেশি , আর রং !!!!! তার ও শেষ নেই !! ফুলটি সমন্ধে জানতে গিয়ে গুগুলে দেখলাম কতো রং এর লুপিন !! মটর জাতীয় এ গাছের ফল ও নাকি খাওয়ার যোগ্য , খাওয়াও হয় , তবে বিষয়ে প্রক্রিয়ায় , না হলে নাকি বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে !! Lupinus succulentus . সুন্দর ফুলটির বিজ্ঞান সম্মত নাম !!
ফুলের নাম- লুপিন
বৈজ্ঞানিক নাম- Lupinus spp.
Fabaceae পরিবারের বিদেশি এই ফুল এখন আমাদের দেশের বাগান আলো করে ফুটছে। Lupinus গণে ২০০ এরও বেশি প্রজাতি আছে। এছাড়া বাগানে লাগানোর জন্য আছে হাইব্রিড জাত। নানা রঙের ফুল। গাছ সাধারণত ৪০-৮০সেমি লম্বা হয়। পাতা করতলাকারে অনেকগুলি লতিতে বিভক্ত। ডালের আগায় লম্বা ডাঁটায় নিচ থেকে উপরের দিকে ক্রমাগত ফুল ফোটে।
তথ্যসূত্র- ফুলগুলি যেন কথা
কলকাতায় মোহরকুঞ্জে এই সুন্দর ফুলটির চলতি নাম লুপিন (Lupinus polyphyllus).
কানাডা, আমেরিকার আলাস্কা ও অন্যান্য শীতপ্রধান অঞ্চল এবং নিউজিল্যান্ডে শীতের শেষে বরফ গলা শুরু হলেই প্রচুর লুপিন ফুটতে থাকে।
এখানে যেমন শরতে কাশের সাগর দেখা যায়, ওদেশে তেমনি নদীপাড়ের স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে হাজারো রকমের ও রঙের বুনো লুপিন এমনিই ফুটে ওঠে। সবুজ ঘাসের মাঠ তখন ফুলের রঙে নীল হয়ে ওঠে।
পলিফাইলাস লুপিনের কুঁড়িগুলি সাদা, ফুল বেগুনি বা নীল, সেই ফুলই আবার একটু পুরানো হয়ে গেলে গোলাপি বা মেরুন রঙের হয়ে যায়।
লুপিনের পাতাগুলি ভারী বাহারি, ভারী সুন্দর। ছাতিমের পাতার মতো ৭ টি, ৮ টি বা ১০ টি উপপত্র নিয়ে এর একেকটি পাতা। লুপিনের কান্ডে, পাতায় এবং কুঁড়িতে প্রচুর রোঁয়া থাকে। ফুল ফুটে গেলে সেই রোঁয়া লুপ্ত হয়ে যায়।
লুপিন মটর পরিবারভুক্ত গাছ, তাই এদের ফুলেও অনেক মিল।
সেদিন ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০. সময় সকাল পৌনে আটটা। ফেসবুকের বন্ধু মাননীয়
সুব্রত হালদার
এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মোহরকুঞ্জে এসেছিলেন। কি করে আমাদের চিনতে পারলেন জানিনা। কাছে এসে পরিচয় নিশ্চিত করলেন। সুব্রত ভারী ভদ্র মানুষ, এবং অবশ্যই পুষ্পপ্রেমী ও দক্ষ ফটোগ্রাফার। পি জি হসপিটালে চাকরি করেন। অনেকটা সময় হাতে নিয়ে অফিসে আসেন। তাই অফিসে ঢোকার আগেই প্রায়শঃই একটুখানির জন্য হলেও মোহরকুঞ্জে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কিংবা হর্টিকালচারে গিয়ে ফুল দেখে আসেন।ওঁর সঙ্গে আলাপ হয়ে মন ভরে গেল।
Comments
Post a Comment