Skip to main content

Jarul, জারুল, Giant Crape-myrtle, Queen's Crape-myrtle, Banabá Plant, Pride of India (Lagerstroemia speciosa)

Image result for Giant Crape-myrtle, Queen's Crape-myrtle, Banabá Plant, Pride of India (Lagerstroemia speciosa)

Jarul, জারুল, Giant Crape-myrtle, Queen's Crape-myrtle, Banabá Plant, Pride of India (Lagerstroemia speciosa)



জারুল
বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia speciosa
পরিচিতি:
জারুল বাংলাদেশের নিম্নভূমির একান্ত অন্তরঙ্গ তরুদের অন্যতম। এটি মধমাকৃতির পত্রমোচী বৃক্ষ। ম্লানধূসর মসৃণ কান্ডবিশিষ্ট জারুল ২০ মি পর্যন্ত উচুঁ হতে পারে। এর পত্র বৃহৎ, ৬-৮ ইঞ্চি দীর্ঘ, আয়তাকৃতির মসৃণ ও দেখতে গাঢ় সবুজ। এর পত্রবিন্যাস বিপ্রতীপ। মঞ্জরী অনিয়ত, শাখায়িত, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। জারুলের ফুলের বেগুনি বর্ণ যেমন আকর্ষণীয় তেমনি শোভন-সুন্দর তার পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতা।


জারুল
অন্যান্য নাম : জারুল
ইংরেজি নাম : Giant Crape-myrtle, Queen's Crape-myrtle, Banabá Plant, Pride of India
বৈজ্ঞানিক নাম : Lagerstroemia speciosa
“ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর — চিল একা নদীটির পাশে
জারুল গাছের ডালে বসে বসে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে;”
গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের মনে অনেক ফুলই এনে দেয় প্রশান্তির পরশ। জারুল তাদের অন্যতম। গ্রীষ্মকে বর্ণিল করতে জারুলের অবদান অপরিসীম। রঙ আর অপরূপ সাজের এই ফুল ক্ষণিকের জন্য হলেও ফিরিয়ে নিয়ে যায় প্রকৃতির কাছে। সব ভুলে তারা বিমোহিত হয়ে পড়ে এর সৌন্দর্যে।
জারুল গ্রীষ্মমন্ডলীয় এশিয়ার নিজস্ব বৃক্ষ। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের। এছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলের সন্ধান মেলে। নিম্নাঞ্চলের জলাভূমিতে এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। মাঝারি আকৃতির এই পত্রমোচী বৃক্ষটি শাখা-প্রশাখাময়। জারুল ২০-৪০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কান্ড মসৃণ, হালকা ধূসর থেকে বাদামী রঙের এবং পাতলা বাকল যুক্ত।
সারা শীতকালে পত্রশূণ্য অবস্থায় থেকে বসন্তে নতুন গাঢ় সবুজ পাতা গজায় সেজে ওঠে জারুল। এর পাতাগুলি আকারে বড় ও লম্বাটে, ১৫-৩০ সেমি লম্বা ও ৬-৯ সেমি চওড়া, ভল্লাকার বা আয়তাকার, মসৃণ এবং পুরু ও সুক্ষ রোমযুক্ত। পাতার রঙ গাঢ় সবুজ এবং নিম্নপ্রান্ত তুলনায় হালকা রঙের। পত্রবিন্যাস বিপ্রতীপ।
চৈত্রের কয়েকটা দিন হাতে থাকতেই জারুল ফুটতে শুরু করে এবং শরৎ পর্যন্ত সে সৌন্দর্য বজায় থাকে। জারুলের ফুলের বেগুনি বর্ণ যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি শোভন-সুন্দর তার পাঁপড়ির নমনীয় কোমলতা। নীলাভ বেগুনি ও গোলাপী দু'রঙের জারুল ফুলের দেখা মেলে। গ্রীষ্মের শুরুতেই শাখার মাথায়, পাতার ওপরের স্তরে লম্বা মঞ্জুরিতে একত্রে থোকায় থোকায় ফুল ফোটে। মঞ্জরী ২০-৪০ সেমি লম্বা, অনিয়ত, শাখায়িত, বহুপৌষ্পিক ও প্রান্তিক। মঞ্জরীর নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে ক্রমে মঞ্জরীর অগ্রদিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে। জারুল ফুলের পাপড়ি কোকড়ানো, ২-৩.৫ সেমি লম্বা, কিনারা শক্ত। ছয়টি মুক্ত পাঁপড়িতে গঠিত এর ফুল, মাঝখানে ১০০-১৫০ পুংকেশরের সাথে যুক্ত হলুদ পরাগকোষ। পাপড়ি ঝরে পড়ার আগে বর্ণ সাদা হয়ে যায়।
জারুলের ফল হালকা বাদামি রঙের, ডিম্বাকার, ২-২.৫ সেমি লম্বা, শক্ত বিদারী। ফলের খোলস দেখতে কাঠের মতো।বীজ ১ সেমি চওড়া, পাতলা, বাদামি। ফল পেকে গেলে নিজ থেকে ফেটে গিয়ে বীজ ছড়িয়ে বংশবিস্তার ঘটায়।
জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান। ঘরের কড়ি-বরগা, লাঙল, আসবাবপত্র ইত্যাদি বহুবিধ কাজে জারুল কাঠ সুব্যবহৃত। জারুলের ভেষজ গুণও রয়েছে - জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় জারুল উপকারী এছাড়া এর বীজ এবং পাতা ডায়াবেটিস রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Myrtales
Family Lythraceae
Genus Lagerstroemia
Species Lagerstroemia speciosa

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।