Skip to main content

Dolon champa, দোলন চাঁপা, White ginger lily (Hedychium coronarium)

Image result for White ginger lily (Hedychium coronarium)

Dolon champa, দোলন চাঁপা, White ginger lily (Hedychium coronarium)

দোলনচাঁপা
বৈজ্ঞানিক নাম: Hedychium coronarium
পরিচিতি:
দোলনচাঁপা বহুবর্ষজীবী কন্দজাতীয় উদ্ভিদ। এটি ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর পাতা বল্লমাকৃতির এবং অগ্রভাগ সূঁচালো। পাতার আকার ২০-৬১ সেমি লম্বা এবং ৫-১৩ সেমি চওড়া। গ্রীষ্ম থেকে শরৎকাল পর্যন্ত এতে গুচ্ছফুল আসে, ফুল ফোটে সন্ধ্যায়। ফুলে হালকা মিষ্টি সুবাস আছে। ফুলের গুচ্ছ ১৫-৩০ সেমি লম্বা হয়। চার পাপড়ি বিশিষ্ট প্রতিটি সাদা ফুল দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো; তাই একে ইংরেজিতে বাটারফ্লাই জিঙ্গার লিলী (butterfly ginger lily) বলা হয়। ফুল ঝরে গিয়ে বীজাধার উন্মুক্ত হয়; যাতে উজ্জ্বল লাল রঙের অনেকগুলো বীজ হয়। সমতল ও পাহাড় দুই জায়গাতেই ভালো হয় দোলনচাঁপা। এর আদি বাড়ি উত্তর ভারত।


দোলনচাঁপা
বাংলা নাম : দোলনচাঁপা
ইংরেজি নাম : Butterfly Ginger Lily, White Ginger Lily, Garland Flower
বৈজ্ঞানিক নাম : Hedychium coronarium
বাংলার অতি পরিচিত একটি ফুল হলো দোলনচাঁপা। বর্ষাকালীন ফুলগুলোর মধ্যে দোলনচাঁপা এটি অন্যতম। দোলনচাঁপার আয়ু খুব কম সময়ের জন্য হলেও এর মনোলোভা সুগন্ধের কারণে অনেকেরই খুব পছন্দের। দোলনচাঁপার মোট প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৪০টি! সাদা ছাড়াও কোনো কোনোটির রং হলদেটে বা লালচে হয়। আবার কোনো কোনো ফুলে থাকে গাঢ় হলুদ বা কমলা রঙের ছিটে।
দোলনচাঁপার আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। আরো নিপুণভাবে বলতে গেলে বলা যায়, নেপাল ও ভারতের হিমালয় অঞ্চল। উত্তর ভারতের আদিবাসী নারীরা দোলনচাঁপায় খোঁপা এবং ঘর সাজাতে খুবই ভালোবাসেন। ব্রাজিলে ক্রীতদাস যুগে এর পাতাকে তোষকের মত ব্যাবহার করা হত। বর্তমানে ব্রাজিলে এর ব্যাপকতা একে রাক্ষুসে আগাছারূপে পরিচিত করেছে। হাওয়াই অঞ্চলেও একে আগাছা গণ্য করা হয়। এটি কিউবার জাতীয় ফুল। স্প্যানিশ উপনিবেশ আমলে নারীরা এই ফুলের মধ্যে গোপন বার্তা লুকিয়ে আদান প্রদান করতেন।
দোলনচাঁপা বহুবর্ষজীবী কন্দজাতীয় উদ্ভিদ। দোলন চাঁপা গাছ আদা বা হলুদ গাছের মতো রাইজোম বা কন্দ থেকে গজায়। এর নাম Ginger Lily হওয়ার কারণও এটাই! আদার মতো এটি ১ থেকে ২ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। পাতাগুলো লম্বা বল্লমাকৃতির এবং অগ্রভাগ সূঁচালো এবং গাঢ় সবুজ রঙের। পাতার আকার ২০-৬১ সেমি লম্বা এবং ৫-১৩ সেমি চওড়া। গুচ্ছধরা গাঢ় সবুজ পাতার মাঝে তুষারশুভ্র দোলনচাঁপাকে গর্বিত রানির মতোই দেখায়!
বর্ষাকালের বিকেলে এবং সন্ধ্যার দিকে দোলনচাঁপা ফোটে। বর্ষা ঋতুর ফুল হলেও শরত্‍ ঋতুতেও এর দেখা মেলে। গ্রীষ্ম থেকে শরতকাল পর্যন্ত এতে গুচ্ছফুল আসে। ফুলে হালকা মিষ্টি সুবাস আছে। ফুলের গুচ্ছ ১৫-৩০ সেমি লম্বা হয়। চার পাপড়ি বিশিষ্ট প্রতিটি সাদা ফুল দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মতো; তাই একে ইংরেজিতে Butterfly Ginger Lily বলা হয়। ফুল ঝরে গিয়ে বীজাধার উন্মুক্ত হয়; যাতে উজ্জ্বল লাল রঙের অনেকগুলো বীজ হয়। ফুল ফোটানো শেষ হলে গাছটি মারা যেতে থাকে। শীতকালে গাছ পুরোপুরি শুকিয়ে যায় এবং কান্ডটি মারা যায়। এই কান্ড থেকে গজায় নতুন নতুন গাছ।
এটি আদিতে ভারতবর্ষের ফুল হলেও দুনিয়ার বহু জায়গায় বিস্তার লাভ করেছে। যেমন- ফ্লোরিডা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, গালফ কোস্টসহ দুনিয়ার সমগ্র ক্রান্তীয় উপক্রান্তীয় অঞ্চল। এটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অল্প ঠান্ডা অঞ্চলেও জন্মে; তবে শীতকালে মরে যায় এবং গ্রীষ্মে আবার গজিয়ে ওঠে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom: Plantae
Phylum: Spermatophyta
Subphylum: Angiospermae
Class: Monocotyledonae
Order: Zingiberales
Family: Zingiberaceae
Genus: Hedychium
Species: H. coronarium

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।