"গহন কুসুমকুঞ্জ-মাঝে" গানটির রচনাকাল ১৮৭৭ সাল। কবির বয়স তখন ১৬ বছর।
সেই গানে একটি জায়গায় আছে,
"মন্দ মন্দ ভৃঙ্গ গুঞ্জে,
অযুত কুসুম কুঞ্জে কুঞ্জে,
ফুটল সজনি, পুঞ্জে পুঞ্জে
বকুল যূথি জাতি রে।।"
এই জাতি ফুলের কিছু কথা আগে লিখেছি। আজ অন্য কথা কিছু লিখি।
ফুলটির আসল নাম কালা জাতি বা নীল জাতি। কালা হলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই ফুলের রং নীল হলেও একে কালা নামেও ডাকা হয়।
ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Eranthemum pulchellum.
ইংরাজি নাম Indian Blue Sage.
ফেসবুকে দেখলাম তরুণ কুমার মন্ডল এবং আরো কয়েকজনের বাড়িতে এবছরের জাতি ফুল ফুটে গেছে। আমাদের বাড়িতে একটু দেরি হচ্ছে। এখনো শুধুই কুঁড়ি। তবে ফুলের কুঁড়িগুলিও দেখতে ভালো লাগে।
আমাদের এদিকে ফুলটি ফোটার সময় হলো মার্চ মাস। শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে দেখেছি কালা জাতির জঙ্গল হয়ে যায় তখন। অত বাড়বাড়ন্ত বলে সাহস করে গাছটি বসাই নি। কিন্তু মনের ভালোলাগাটি হয়তো টের পেয়েছিল কালা। আমার অজান্তেই হয়তো জামা কাপড় বাহিত হয়ে একটি বীজ এসে পড়েছিল আমাদের বাগানে।
একদিন যখন ছোট্ট চারা গাছটি জন্মালো, প্রথমে চিনতে পারিনি, ভেবেছিলাম হয়তো পানামা রোজের চারা। কিন্তু সে-ই বা আসবে কি করে। আমি তো কোনোদিন পানামা রোজ কিনিনি।
ভাবলাম, থাক এসেই যখন পড়েছে।
ক'দিন পরে চিনলাম, এ পানামা রোজ নয়, এ হলো Eranthemum pulchellum.
সেই গাছ এখন কুঁড়িতে কুঁড়িতে ভরে গেছে। শুধু অপেক্ষা, কবে প্রথম ফুলটি ফোটে।
কালা জাতি রুয়েলিয়া পরিবারের সদস্য।
Comments
Post a Comment