অশোক
বাংলা নাম : অশোক, অপশোক, অঞ্জনপ্রিয়া, কঙ্গেলি, কর্ণপূরক, কেলিক, চিত্র, দোষহারী, নট, পল্লবদ্রুপ, পিণ্ডিপুষ্প, প্রপল্লব, বঞ্জুলদ্রুম, বিচিত্র, বিশোক, মধুপষ্প, রক্তপল্লবক, রাগীতরু, রামাবামাঙ্ঘিধাতক, শোকনাশ, সুভগ, স্মরাধিবাস, হেমপুষ্প। |
বৈজ্ঞানিক নাম: Saraca indica
পরিচিতি:
অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফোটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফোটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কান্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।

অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফোটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফোটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কান্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।

অশোক
ইংরেজি নাম : Ashoka Tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Saraca asoca
বৈজ্ঞানিক নাম : Saraca asoca
"রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোক পলাশে
রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে।"
শুধু কবির ভাবনাতেই নয় বাস্তবেও যে গাছ দুঃখহারী সে হল অশোক গাছ। অশোক চীন, ভারতবর্ষ, শ্রীলঙ্কা অঞ্চলের স্থানীয় বৃক্ষ বিশেষ। আমাদের এই দেশী বৃক্ষটির খ্যাতি সুপ্রাচীন। কাব্যে বহুল ব্যবহার ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে অশোক যুক্ত। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে – গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন এবং শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই বৃক্ষের নাম অশোক হয়েছে। এই গাছ ভারতবর্ষ ও শ্রীলঙ্কাতে প্রচুর পাওয়া যায়। কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনি-তে এই গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। রামায়ণে উল্লেখ আছে– রাম সীতাকে অপহরণ করে অশোকবনে রেখেছিলেন। হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এ ফুল অত্যন্ত পবিত্র। শোক নাশ করে বলেই এর নাম অশোক। চৈত্র মাসের শুক্লাষষ্ঠীতে মায়েরা সন্তানের কল্যাণ কামনা করে অশোক ফুল দিয়ে পূজা করেন, একে অশোকষষ্ঠী বলে। এছাড়া চৈত্রের শুক্লাঅষ্টমীতে পালিত হয় অশোকাষ্টমী। অশোক ভারতের নিজস্ব বৃক্ষ হলেও বর্তঅমানে সচরাচর দেখা যায় না সেই অর্থে গাছটি কিছুটা দুর্লভ।
রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে।"
শুধু কবির ভাবনাতেই নয় বাস্তবেও যে গাছ দুঃখহারী সে হল অশোক গাছ। অশোক চীন, ভারতবর্ষ, শ্রীলঙ্কা অঞ্চলের স্থানীয় বৃক্ষ বিশেষ। আমাদের এই দেশী বৃক্ষটির খ্যাতি সুপ্রাচীন। কাব্যে বহুল ব্যবহার ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে অশোক যুক্ত। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে – গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করেছিলেন এবং শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই কারণে এই বৃক্ষের নাম অশোক হয়েছে। এই গাছ ভারতবর্ষ ও শ্রীলঙ্কাতে প্রচুর পাওয়া যায়। কথিত আছে গৌতম বুদ্ধ লুম্বিনি-তে এই গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং মহাবীর এই গাছের নিচে ধ্যান করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। রামায়ণে উল্লেখ আছে– রাম সীতাকে অপহরণ করে অশোকবনে রেখেছিলেন। হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এ ফুল অত্যন্ত পবিত্র। শোক নাশ করে বলেই এর নাম অশোক। চৈত্র মাসের শুক্লাষষ্ঠীতে মায়েরা সন্তানের কল্যাণ কামনা করে অশোক ফুল দিয়ে পূজা করেন, একে অশোকষষ্ঠী বলে। এছাড়া চৈত্রের শুক্লাঅষ্টমীতে পালিত হয় অশোকাষ্টমী। অশোক ভারতের নিজস্ব বৃক্ষ হলেও বর্তঅমানে সচরাচর দেখা যায় না সেই অর্থে গাছটি কিছুটা দুর্লভ।
অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াসুনিবিড় চিরহরিত্ বৃক্ষ। ছায়াতরু হিসাবে আদৃত। এর কাণ্ড বেশ মসৃণ, বর্ণ ধূসর। পূর্ণবয়স্ক গাছ পঁচিশ থেকে ত্রিশ মিটার উঁচু হয়। পাতা যৌগিক। একটি পাতায় দশটি পত্রক থাকে।গাঢ় সবুজ পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত এবং তামাটে। পাতাগুলো লম্বায় ১৫-৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
অশোক ফুল প্রেমের প্রতীক। কামদেবের পঞ্চশরের অন্যতম শর এই ফুলে সজ্জিত। রবীন্দ্রনাথ আপন মানুষ এলে সুন্দরের যে শুভ সূচনা হয় তা তুলে ধরেছেন এভাবে-
"আসত তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে
অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে।"
ফুল মূলত বসন্তকালে ফুটলেও হেমন্ত অবধি প্রস্ফুটন প্রাচুর্য চোখে পড়ে। ফুল ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলে ঘনবদ্ধ অশোকমঞ্জরি বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। এর মঞ্জরী গোলাকৃতির, চওড়া প্রায় ৭.৫-১৫ সেন্টিমিটার। তাজা ফুলের রঙ কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল। রবীন্দ্রনাথ অশোকের মনোরম রঙটুকু নিজের মনে ধারণ করেছেন এমন করে-
"তোমার অশোকে কিংশুকে
অলক্ষ্যে রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে"
ফুল গাছের কান্ড থেকেও ফোটে। ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র, মৃদু গন্ধযুক্ত। ফুলগুলির গড় লম্বা ২.৫ সেন্টিমিটার। পরাগকেশর দীর্ঘ, উক্ষিপ্ত এবং পরাগকোষ গাঢ় লাল। মঞ্জরি পিঁপড়ার প্রিয় আবাস।
"আসত তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে
অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে।"
ফুল মূলত বসন্তকালে ফুটলেও হেমন্ত অবধি প্রস্ফুটন প্রাচুর্য চোখে পড়ে। ফুল ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলে ঘনবদ্ধ অশোকমঞ্জরি বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। এর মঞ্জরী গোলাকৃতির, চওড়া প্রায় ৭.৫-১৫ সেন্টিমিটার। তাজা ফুলের রঙ কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল। রবীন্দ্রনাথ অশোকের মনোরম রঙটুকু নিজের মনে ধারণ করেছেন এমন করে-
"তোমার অশোকে কিংশুকে
অলক্ষ্যে রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে"
ফুল গাছের কান্ড থেকেও ফোটে। ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র, মৃদু গন্ধযুক্ত। ফুলগুলির গড় লম্বা ২.৫ সেন্টিমিটার। পরাগকেশর দীর্ঘ, উক্ষিপ্ত এবং পরাগকোষ গাঢ় লাল। মঞ্জরি পিঁপড়ার প্রিয় আবাস।
ফল বড়সড় সিমের মতো, চ্যাপ্টা, চার্ম এবং ঈষত্ বেগুনি। ফলে খয়েরি রঙের বীজ থাকে। বীজ থেকে সহজে চারা জন্মালেও বৃদ্ধি মন্থর।
অশোকের ঔষধি গুণ অনেক।এর বাকলে ট্যানিন, ক্যাটেকোহল, স্টেরল এবং বিবিধ ধরনের ক্যালসিয়াম যৌগ পাওয়া যায়। বিবিধ স্ত্রীরোগ, রক্তক্ষরণ এবং আমাশয়ে এর ছালের রস কার্যকর। শুকনো ফুল রক্ত আমাশয়ে এবং বীজ মূত্রনালির রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কাঠ নরম ও মূল্যহীন।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom : Plantae
Division : Magnoliophyta
Class : Magnoliopsida
Order : Fabales
Family : Fabaceae
Subfamily : Caesalpinioideae
Tribe : Detarieae
Genus : Saraca
Species : Saraca asoca
Division : Magnoliophyta
Class : Magnoliopsida
Order : Fabales
Family : Fabaceae
Subfamily : Caesalpinioideae
Tribe : Detarieae
Genus : Saraca
Species : Saraca asoca
#অশোক #Ashoka_Tree #Saraca_asoca
পঞ্চবটীর একটি বৃক্ষ অশোক। বিশ্বাস করা হয় যে সাক্যমুণি বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেছিলেন এই বৃক্ষের নীচে । আর রামায়নের দৌলতে সীতার অশোক বন বিখ্যাত। তাই অশোক বৃক্ষ আমাদের সংস্কৃতির সাথেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। অশোকের বৈজ্ঞানিক নাম Saraca asoca, অনেকে একে বলেন Saraca indica, যা সঠিক নয়। Saraca indica অন্য গাছ।
Saraca গণটি Fabaceae শুঁটি পরিবারের গাছ, অর্থাৎ যে পরিবারে কড়াইশুঁটি আছে। এই গণের গাছের ফুলের পাপড়ি হয় না, যেটি শোভা দেয়, তার হল ফুলের বৃতাংস (sepal)।
ছবির গাছটি Saraca thaipingensis, হলুদ অশোক নামে ডাকা হয়, যেহেতু Saraca asocaর ফুলের রং লাল। Saraca thaipingensis, নামকরন হয়েছে সম্ভবত মালয়েসিয়ার Taiping শহর থেকে।
হর্টিকালচারের বাগানে তোলা, ১৮.০৩.২০
পঞ্চবটীর একটি বৃক্ষ অশোক। বিশ্বাস করা হয় যে সাক্যমুণি বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেছিলেন এই বৃক্ষের নীচে । আর রামায়নের দৌলতে সীতার অশোক বন বিখ্যাত। তাই অশোক বৃক্ষ আমাদের সংস্কৃতির সাথেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। অশোকের বৈজ্ঞানিক নাম Saraca asoca, অনেকে একে বলেন Saraca indica, যা সঠিক নয়। Saraca indica অন্য গাছ।
Saraca গণটি Fabaceae শুঁটি পরিবারের গাছ, অর্থাৎ যে পরিবারে কড়াইশুঁটি আছে। এই গণের গাছের ফুলের পাপড়ি হয় না, যেটি শোভা দেয়, তার হল ফুলের বৃতাংস (sepal)।
ছবির গাছটি Saraca thaipingensis, হলুদ অশোক নামে ডাকা হয়, যেহেতু Saraca asocaর ফুলের রং লাল। Saraca thaipingensis, নামকরন হয়েছে সম্ভবত মালয়েসিয়ার Taiping শহর থেকে।
হর্টিকালচারের বাগানে তোলা, ১৮.০৩.২০
ফুলের নাম- অশোক
বৈজ্ঞানিক নাম- Saraca asoca
পরিবার- Fabaceae
অন্যান্য নাম- হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প
অশোক একটি চিরহরিৎ মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। উচ্চতা গড়পড়তা ৩০ ফুট। বিস্তৃত ডালপালা ঘনপল্লবময়। গাছের কাণ্ড মুকুটাকৃতি। বাকল মসৃণ ঘনবাদামি ও ধূসর বাদামি রঙের। পাতা ঘনসবুজ, চকচকে। এক ফুট লম্বা পাতায় ১০টি করে পত্রফলক থাকে, প্রতিটি ফুলে চারটি বৃতি থাকে, পুংকেশর ও গর্ভকেশরগুলো লম্বাকৃতির। ফুলের রং কমলা থেকে লাল। মঞ্জরি যত পূর্ণাঙ্গ হবে, ফুলের রং তত লাল হবে।ফুল ফোটা শুরু হয় ফাল্গুনে এবং প্রায় আষাঢ়ের শুরু পর্যন্ত ফুল গাছে ধরে থাকে। প্রতি মঞ্জরি প্রস্ফুটিত হওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ সজীব থাকে। ফল শিমজাতীয় মাংসল ও লাল। পাকলে অনেকটা তেঁতুলের মতো। একটি ফলে বেশ কিছু বীজ থাকে। বীজের রং খয়েরি।
বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানে অনায়াসেই অশোকের দেখা মিলবে। ঢাকায় রমনা পার্কে আছে নান্দনিক অশোক কুঞ্জ। আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে একটি সুদীর্ঘ অশোক বীথি। ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় একটি বিবর্ণ অশোক বীথি চোখে পড়ে। অশোক এই অঞ্চলের নিজস্ব বৃক্ষ। মূলত ফুলের জন্যই গাছটি বিখ্যাত। কারণ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এই ফুল কিছুটা আলাদা। কম সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষেত্রেই কাণ্ড থেকে ডালপালাজুড়ে ফুল ফোটে। শুধু তাই নয়, এদের প্রস্টম্ফুটনকালও অতি দীর্ঘ।
আমাদের এই দেশি বৃক্ষটির খ্যাতি সুপ্রাচীন। অশোক কে বলা হয় দুঃখহারী। অশোক হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়ের কাছেই অত্যন্ত পবিত্র বৃক্ষ। বুদ্ধের জন্ম অশোকতলে। আবার হিন্দুদের বহু পৌরাণিক ঘটনার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে অশোক।হিন্দু রীতি মতে, আটটি অশোক কলি ভোজানো জলপান করলে শোক নাশ হয়। কাব্যে-সাহিত্যে অশোকবন্দনা বিস্তর। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—
'তোমার অশোকে কিংশুকে
অলক্ষ্য রঙ লাগল আমার অকারণের সুখে।'
‘আসত তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে/
অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে’
কাব্যখ্যাতি ছাড়া অশোকের বনৌষধি হিসেবে খ্যাতিও প্রাচীন। শুকনো ফুল রক্ত আমাশয়ে এবং বীজ মূত্রনালির ব্যাধিতে ব্যবহূত হয়। বাগানে শোভাবর্ধক হিসেবে এই গাছ বেশি লাগানো হয়।বীজ সংগ্রহ করা হয় আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে। বীজ সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে বপন করতে হয়। বীজ বপনের ৭-১৫ দিনের মধ্যে অঙ্কুরোদ্গম ঘটে। অঙ্কুরোদ্গমের হার শতকরা ৭০ ভাগ। এক বছরে গাছ তিন ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। বাগানে ফুলের সৌন্দর্য, বনৌষধি, ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের জন্য অশোকগাছ লাগানো যেতে পারে।
Comments
Post a Comment