Skip to main content

পারিজাত/পাখিফুল

পারিজাত/পাখিফুল
বৈজ্ঞানিক নাম: Brownea coccinea
পরিচিতি:
পাখিফুলগাছ ছোট আকারের উদ্ভিদ। ফুল সাধারণত গোলাপি ও লালবর্ণের হয়ে থাকে। পাতা যৌগিক, একান্তর ও অগ্রভাগ সরু। প্রতিটি পাতায় ১০-১৪টি পত্রক থাকে। পুষ্পমঞ্জরীতে প্রান্তিক ফুলগুলো আগে ফোটে এবং ক্রমশ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হয়। গুচ্ছবদ্ধ পুষ্পমঞ্জরীটি ৩০-৪০টি ফুলের ঠাসবুননি, যা ভারি সুন্দর দেখায় এবং একটি ফুল মনে হয়। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল দেখতে সুন্দর কিন্তু গন্ধহীন।
সাধারণত দাবা কলমের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করা যায়। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এ গাছটি ভালো জন্মে। হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে গাছটি স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের রাজ সভার ফুল বলে উল্লেখ আছে।


শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে জোড়া পাখি ফুল ব্রাউনিয়া (Brownea coccinea).
ভেনেজুয়েলার গোলাপ, mountain rose ইত্যাদি আরো কত নাম আছে এর।
ফুল দুটি সম্পূর্ণ ফুটতে আরো চার-পাঁচ দিন লাগবে। সবকটি ক্ষুদ্র ফুল ফোটা শেষ হলে, সম্পূর্ণ ফুলটি নরম নিটোল বলের মতো দেখাবে।
আর তখনই বাইরের সারি থেকে একটু দুটি করে ক্ষুদ্র ফুল ঝরে যেতে থাকবে। ঝরে পড়া শুকনো পাতার ওপর ফুটে উঠবে রঙিন আলপনা।

অপূর্ব সেই দৃশ্য।

Comments

  1. Great post! I am actually getting ready to across this information, is very helpful my friend. . ফুলের ছবি ডাউনলোড করুন ২০২২ সালের সেরা ....

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

অলকানন্দা

অলকানন্দা বৈজ্ঞানিক নাম: Allamanda cathartica পরিচিতি: কান্ড গোল, সরু সরু ডাল, চিরসবুজ, তেমন পত্রঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১*৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। বড় বড় হলুদ রঙের ফুল, গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। অলকানন্দা বাংলা নাম : অলকানন্দা, স্বর্ণঘন্টা, ঘন্টালতা ইংরেজি নাম : Golden Trumpet, Yellow Bell, Common Trumpetvine, Yellow Allamanda বৈজ্ঞানিক নাম : Allamanda cathartica অলকানন্দা (রবি ঠাকুরের দেয়া নাম) একটি গুল্মজাতীয় গাছ। ব্রাজিল ও মধ্য আমেরিকার প্রজাতি। কান্ড গোল, সরু ডাল, চিরসবুজ, পাতা তেমন ঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১.৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ, বিন্যাস আবর্ত। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। ডালের আগায় বড় বড় হলুদ রঙের ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর, ফুল গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে এটি সবচেয়ে ভালভাবে ফোটে। জল জমে থাকেনা এমন মাটিতে এটি ভাল জন্মে। এটি অনেকটা লতা জাতীয় গাছ, তাই বেড়া বা লাঠিতে ভর দিয়ে এটি বেড...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।