বাবলা
বৈজ্ঞানিক নাম: Acacia nilotica
পরিচিতি:
ছোট ও মাঝারি আকারের গাছ বাবলা। পাললিক মাটি, বেলে-এঁটেল কিংবা যেখানে লবণাক্ত মৃণ্ময় মাটি আছে, সে জায়গায় বাবলা খুব ভালো জন্মে। সে জন্য আমাদের দেশের উপকূল অঞ্চলে গাছটি বেশি দেখা যায়। অস্থায়ী বন্যা প্রতিরোধী বৃক্ষ হিসেবে এর দারুণ ব্যবহার লক্ষণীয়। এর কারণও আছে জলমগ্ন এলাকা বাবলার দারুণ পছন্দ। উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট। অপরিপকস্ফ বা কচিগাছ কাঁটায় ভরা থাকে। বড় গাছের ডাল কাঁটায় পরিপূর্ণ দেখা যায়। সরল কাণ্ডের গাছটির উপরিভাগ ছাতার মতো বিস্তৃত হয়ে থাকে। উজ্জ্বল সবুজ পাতা যৌগিক, ঠিক তেঁতুল পাতাসদৃশ। পাতার আকার খুব ছোট। উজ্জ্বল হলুদ রঙের ফুল দেখতে বলের মতো গোলাকার। ১/১০ ইঞ্চি ব্যাসের ফুলগুলো উভলিঙ্গ। নেকলেসের মতো দেখতে ফল ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা। কাঁচাফল সাদা রঙা দেখায়, পাকলে হালকা কালো। চ্যাপ্টাকৃতির ফল অনেকটা তেঁতুল ফলের মতো। গ্রীষ্মের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। ফল আসে শীতের শুরুতে।
আদিবাড়ি আফ্রিকা মহাদেশ হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় বৃক্ষ।
ঔষধি গুণাগুণ
মূল উদারাময় নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। বহুমূত্র ও শ্বাসকষ্ট রোগ নিরাময়ে এর আঠা দারুণ কার্যকর। বাবলা গাছের ছাল ব্যথানাশক হিসেবে পরিচিত। তা ছাড়া উদরাময় ও আমাশয়নাশক হিসেবে এর আঠার বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। কাঠ খুব শক্ত। গাড়ির চাকা ও লাঙ্গল তৈরির জন্য কাঠের বহুল ব্যবহার প্রচলিত।
বৈজ্ঞানিক নাম: Acacia nilotica
পরিচিতি:
ছোট ও মাঝারি আকারের গাছ বাবলা। পাললিক মাটি, বেলে-এঁটেল কিংবা যেখানে লবণাক্ত মৃণ্ময় মাটি আছে, সে জায়গায় বাবলা খুব ভালো জন্মে। সে জন্য আমাদের দেশের উপকূল অঞ্চলে গাছটি বেশি দেখা যায়। অস্থায়ী বন্যা প্রতিরোধী বৃক্ষ হিসেবে এর দারুণ ব্যবহার লক্ষণীয়। এর কারণও আছে জলমগ্ন এলাকা বাবলার দারুণ পছন্দ। উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট। অপরিপকস্ফ বা কচিগাছ কাঁটায় ভরা থাকে। বড় গাছের ডাল কাঁটায় পরিপূর্ণ দেখা যায়। সরল কাণ্ডের গাছটির উপরিভাগ ছাতার মতো বিস্তৃত হয়ে থাকে। উজ্জ্বল সবুজ পাতা যৌগিক, ঠিক তেঁতুল পাতাসদৃশ। পাতার আকার খুব ছোট। উজ্জ্বল হলুদ রঙের ফুল দেখতে বলের মতো গোলাকার। ১/১০ ইঞ্চি ব্যাসের ফুলগুলো উভলিঙ্গ। নেকলেসের মতো দেখতে ফল ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা। কাঁচাফল সাদা রঙা দেখায়, পাকলে হালকা কালো। চ্যাপ্টাকৃতির ফল অনেকটা তেঁতুল ফলের মতো। গ্রীষ্মের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। ফল আসে শীতের শুরুতে।
আদিবাড়ি আফ্রিকা মহাদেশ হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় বৃক্ষ।
ঔষধি গুণাগুণ
মূল উদারাময় নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। বহুমূত্র ও শ্বাসকষ্ট রোগ নিরাময়ে এর আঠা দারুণ কার্যকর। বাবলা গাছের ছাল ব্যথানাশক হিসেবে পরিচিত। তা ছাড়া উদরাময় ও আমাশয়নাশক হিসেবে এর আঠার বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়। কাঠ খুব শক্ত। গাড়ির চাকা ও লাঙ্গল তৈরির জন্য কাঠের বহুল ব্যবহার প্রচলিত।
Comments
Post a Comment