দাঁতরাঙা বা বনতেজপাতা
বৈজ্ঞানিক নাম: Melastoma malabathricum
পরিচিতি:
এই গাছটির উচ্চতা ১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকলেও কখনো কখনো ৩ মিটার উচ্চতার গাছও চোখে পড়ে। তেজপাতার ন্যায় দেখতে এর পাতার দৈর্ঘ্য ৪ হতে ১১ সেন্টিমিটার; প্রস্থে ১.৩ সেন্টিমিটার যাতে ৫ হতে ৭ টি শিরা থাকে। এদের ফুল উজ্জ্বল বেগুনি বর্ণের এবং ফল সবুজ।
ব্যবহার:
এটি কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে ব্যবহৃত হয়। দাঁতরাঙার পাতার নির্যাস মানবদেহের ক্যান্সার, হৃদরোগ রোধে সহায়ক। তাছাড়া এর পাতার রস আমাশয়, পেটব্যথা, বাত ও বাতজ্বর দূর করতে পারে। আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ব্যথা, চর্মরোগ ও ডায়রিয়া চিকিৎসায় দাঁতরাঙা ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
বৈজ্ঞানিক নাম: Melastoma malabathricum
পরিচিতি:
এই গাছটির উচ্চতা ১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকলেও কখনো কখনো ৩ মিটার উচ্চতার গাছও চোখে পড়ে। তেজপাতার ন্যায় দেখতে এর পাতার দৈর্ঘ্য ৪ হতে ১১ সেন্টিমিটার; প্রস্থে ১.৩ সেন্টিমিটার যাতে ৫ হতে ৭ টি শিরা থাকে। এদের ফুল উজ্জ্বল বেগুনি বর্ণের এবং ফল সবুজ।
ব্যবহার:
এটি কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে ব্যবহৃত হয়। দাঁতরাঙার পাতার নির্যাস মানবদেহের ক্যান্সার, হৃদরোগ রোধে সহায়ক। তাছাড়া এর পাতার রস আমাশয়, পেটব্যথা, বাত ও বাতজ্বর দূর করতে পারে। আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ব্যথা, চর্মরোগ ও ডায়রিয়া চিকিৎসায় দাঁতরাঙা ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
|| দাঁতরাঙা ||
বাংলা নাম : দাঁতরাঙা, ফুটকি, লুটকি, ফুটুল, বন তেজপাতা।
ইংরেজি নাম : Indian Rhododendron, Malabar Melastome,Senduduk
বৈজ্ঞানিক নাম : Melastoma malabathricum
ইংরেজি নাম : Indian Rhododendron, Malabar Melastome,Senduduk
বৈজ্ঞানিক নাম : Melastoma malabathricum
যার এতরূপ-রঙ, সে কি না পড়ে থাকে একেবারেই মানুষের চোখের আড়ালে, নিতান্ত অনাদরে। জংলাগাছ, তাই নগরে গাছটি দুর্লভ। অপ্রয়োজনীয় গাছ হিসেবেই বেশি পরিচিত। দাঁতরাঙা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটি একসময় সারাদেশেই দেখা যেত। কিন্তু এখন বাংলার বুনো মাঠে এর দেখা মেলে কালেভদ্রে। সাধারণত উঁচু জমি দাঁতরাঙার বিশেষ পছন্দ। পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড়ের ধারে প্রচুর দেখা যায়। লোকবিশ্বাস রয়েছে, যে মাটিতে দাঁতরাঙা ফোটে সে মাটিতে চা গাছ ভালো হয়। সে কারণে একে ‘টি ইন্ডিকেটর’ বা চা নির্দেশক শ্রেণির উদ্ভিদ হিসেবে একে ধরে নেওয়া হয়।ভারত ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার দেখা যায়। এসেছে অস্ট্রেলিয়া বা ওশেনিয়া থেকে; অনেকের মতে, এটি এশিয়ারই গাছ।
দাঁতরাঙা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু গাছ। সাধারণত দাঁতরাঙা গাছ ১ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। কাণ্ড নরম, খসখসে। কাণ্ডের রং লালচে সবুজ। পূর্ণাঙ্গ গাছ মূল কাণ্ড ১ থেকে ২ ইঞ্চি মোটা হয়। পত্র সরল, বেশ পুরু, অবডিম্বাকার, চামড়ার মতো, হালকা পশমযুক্ত। বর্শফলাকৃতির পাতা ৪-১১ সেন্টিমিটার লম্বা, ১.৩ সেন্টিমিটার চওড়া এবং পাঁচ-সাতটি শিরাবিশিষ্ট হয়ে থাকে। কিণারগুলোও করাতের মতো ধারালো। পাতার রং সবুজ। তবে পাতার গায়ে অসংখ্য লাল ও বাদামি ফুটকি আছে। এর পাতা দেখতে অনেকটা তেজপাতার মতো। তাই এর আরেক নাম বন তেজপাতা।
দাঁতরাঙা গাছ প্রায় সারা বছর উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলে ভরে থাকলেও প্রধানত গ্রীষ্ম-বর্ষায় গাছে প্রচুর ফুল ফোটে। ফুল গোলাকার, ব্যাস প্রায় ৫-৬ সেন্টিমিটার।ফুলের সুন্দর পাঁচটি লালচে বেগুনি পাপড়ি থাকে। পাপড়ি পাতলা, হৃৎপিণ্ডাকৃতির। ফুলের ঠিক কেন্দ্রে ৫টি হলুদ এবং ৫টি বেগুনি কেশর থাকে। এই পুংকেশর ফুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। কিন্তু এমন সুন্দর ফুলটির স্থায়িত্ব মাত্র একদিন।তবে অনেকসময় ভিন্ন প্রজাতির সাদা বা গোলাপী রঙের ফুলেরও দেখা মেলে।
ফুল ফোটার পর এতে এক মিলিমিটারের চেয়েও ছোট ছোট অনেক ফল হয়। ফল সবুজ। পাকা ফলগুলোর ভেতর থাকে বেগুনি রঙের মিষ্টি শাঁস ও অসংখ্য কালো কমলা বীজ। সুমিষ্ট এই ফল খাওয়ার পরই দাঁত ও জিহ্বা বেগুনি রঙে রঙিন হয়ে যায়। তাই এর নাম হয়েছে দাঁতরাঙা। পরিণত ফল আপনা থেকেই ফেটে গিয়ে ভেতর থেকে বীজ বাইরে বেরিয়ে আসে।
দাঁতরাঙার বেশ ওষুধিগুণ রয়েছে। বহুকাল যাবৎ ভেষজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি কৌষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে ব্যবহৃত হয়। দাঁতরাঙার পাতার নির্যাস মানবদেহের ক্যান্সার, হৃদরোগ রোধে সহায়ক। তাছাড়া এর পাতার রস আমাশয়, পেটব্যথা, বাত ও বাতজ্বর দূর করতে পারে। আলসার, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত ব্যথা, চর্মরোগ ও ডায়রিয়া চিকিৎসায় দাঁতরাঙা ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এন্টিভমিটিং এবং জোঁক এর কামড় থেকে রক্ত বন্ধ করতেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Myrtales
Family Melastomataceae
Genus Melastoma
Species Melastoma malabathricum
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Myrtales
Family Melastomataceae
Genus Melastoma
Species Melastoma malabathricum
Comments
Post a Comment