Skip to main content

সূর্যমূখী




সূর্যমূখী
ইংরেজি নাম Sun flower
বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑯𝒆𝒍𝒊𝒂𝒏𝒕𝒉𝒖𝒔 𝒂𝒏𝒏𝒖𝒔
পরিচিতি:
গাছে ফুটন্ত ফুল সূর্যের দিকে হেলে থাকে বলে এ ফুলের নাম সূর্যমূখী। একই গাছে ছোট ও বড় দুই আকারের ফুল ফুটতে দেখা যায়—বড় আকারের সূর্যমূখী গাছের কাণ্ডের অগ্রভাগে গোল চাকতির মতো ও শাখা-প্রশাখায় ছোট ফুল ফোটে। পাতা বড়, রং সবুজ, বেশ চওড়া, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট,অগ্রভাগ সূচালো, গাছ ৩ থেকে ৫ ফুট উঁচু হয়। গাছের কাণ্ড শাখা-প্রশাখা নরম হয়। সাধারণত বসন্ত থেকে বর্ষা মৌসুমে গাছে ফুল ফোটে। বীজ/চারা রোপণ থেকে গাছে ফুল ফুটতে ৮০-৯০দিন সময় লাগে এবং আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ মাস বীজ বপনের উত্তম সময় । ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ থেকে উন্নতমানের ভোজ্য তেল উত্পন্ন হয় ও বংশ বিস্তার করা যায়। বর্তমান সময়ে এ ফুল বাণিজ্যিকভাবে ভোজ্য তেলের জন্য চাষ শুরু হয়েছে। সূর্যমূখীর তেলের পুষ্টিগুণাগুণ বেশি। ফুল ফোটা সূর্যমূখী গাছ নয়নাভিরাম। এ ফুল টবে চাষের জন্য বেশ উপযোগী ও সহজ। তাছাড়া সরাসরি মাটিতে বীজ ছিটিয়ে চাষ করা যায়। পানি নিকাশের সুবিধা যুক্ত রৌদ্রোজ্জ্বল দোআঁশ মাটিতে সূর্যমূখী ভালো জন্মে, প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে।

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।