জয়ন্তী
বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania sesban
পরিচিতি:
মাঝারি আকারের তরু। উচ্চতা গড়পড়তা ১০-২০ ফুট। কাণ্ড গাঢ় বাদামি বর্ণের। কাণ্ডে খুব অল্প ব্যবধানে ঘন ঘন ডাল বের হয়। ঘন পল্লবময়। দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষণজীবী বৃক্ষ এটি। বাঁচে প্রায় তিন বছর। পাতা পক্ষল যৌগিক, পত্রক থাকে প্রায় ২০ জোড়া। ভিন্ন ভিন্ন গাছে তিন রঙের ফুল হয়—হলুদ, গোলাপি ও বাদামি। ফুলের আকার দু-তিন সেন্টিমিটার। পাপড়ি চারটি। দুটি পাপড়ি উল্টানো বিস্তৃত, দুটি একত্রীভূত। পাপড়ির ওপরের ভাগ হলুদ রঙের, নিচের দিক বাদামি রঙের ওপর ছোট ছোট কালো অসংখ্য ছিটেফোঁটা থাকে। কুঁড়ি অবস্থায় শুধু কালো ছিটেফোঁটা বাদামি রংটিই দেখা যায়। পৌষ মাসে ফুল ফোটা শুরু। ফল চিকন লম্বাটে, কাঁচা অবস্থায় সবুজ। শুকিয়ে গেলে বাদামি বর্ণ। প্রতিটি ফলে ২০-২৫টি বীজ থাকে। ফুল যেমন থোকা থোকা ফোটে প্রচুর, ফলও ধরে ঠিক তেমনি। বীজ থেকে বংশ বিস্তার করা যায়।
এই গাছের বিভিন্ন অংশবিশেষ পরিশোধনের মাধ্যমে ভেষজ চিকিৎসায় ব্যথা উপশম, চর্মরোগ নিরাময় ও জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহূত হয়। আরব্য ও পারস্য সাহিত্য থেকে জানা যায়, জয়ন্তীর বীজে বিছা, মৌমাছি, ভিমরুল কামড়ের ব্যথার উপশম হয়। এ ছাড়া গাছের পাতা, ফুল ও বীজ সবুজ সার হিসেবে ব্যবহূত হয়।
বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, মিসর, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়াসহ বহু দেশে এ গাছ পাওয়া যায়।
Comments
Post a Comment