কনকচূড়া
ইংরেজি নাম: Yellow Gold Mohur
বৈজ্ঞানিক নাম: Peltophorum pterocarpum
পরিচিতি:
কনকচূড়ার শাখায়িত পত্রমোচি, বড় গাছ। পাতা কালচে সবুজ ও রুক্ষ। প্রধান কাণ্ড খাড়া, ধূসর বর্ণ ও মসৃণ। পাতা দ্বিপক্ষল, যৌগিক। শাখার আগায় দীর্ঘমঞ্জরিতে উজ্জ্বল কমলা ফুল হয়। গ্রীষ্মের শুরুর ফুল খুবই সুন্দর। ফুল উজ্জ্বল কমলা রঙের এবং সুরভিময়, দূর থেকে হলুদ দেখায়। বিরাট দ্বিপক্ষল পাতা, শাখায়িত দীর্ঘ হলুদ পুষ্পমঞ্জরি এবং চ্যাপ্টা তামাটে ফলের প্রাচুর্যতা দিয়ে কনকচূড়া সহজেই চেনা যায়।
ইংরেজি নাম: Yellow Gold Mohur
বৈজ্ঞানিক নাম: Peltophorum pterocarpum
পরিচিতি:
কনকচূড়ার শাখায়িত পত্রমোচি, বড় গাছ। পাতা কালচে সবুজ ও রুক্ষ। প্রধান কাণ্ড খাড়া, ধূসর বর্ণ ও মসৃণ। পাতা দ্বিপক্ষল, যৌগিক। শাখার আগায় দীর্ঘমঞ্জরিতে উজ্জ্বল কমলা ফুল হয়। গ্রীষ্মের শুরুর ফুল খুবই সুন্দর। ফুল উজ্জ্বল কমলা রঙের এবং সুরভিময়, দূর থেকে হলুদ দেখায়। বিরাট দ্বিপক্ষল পাতা, শাখায়িত দীর্ঘ হলুদ পুষ্পমঞ্জরি এবং চ্যাপ্টা তামাটে ফলের প্রাচুর্যতা দিয়ে কনকচূড়া সহজেই চেনা যায়।
|| কনকচূড়া ||
অন্যান্য নাম : কনকচূড়া, স্বর্ণচূড়া, হলুদচূড়া,
ইংরেজি নাম : Yellow poinciana, Copperpod, Yellow gulmohar tree, Yellow Flame Tree, Yellow Jacaranda, Horsebush, Yellow Flamboyant, Rusty shield-bearer, Golden Flamboyant
বৈজ্ঞানিক নাম : Peltophorum pterocarpum
ইংরেজি নাম : Yellow poinciana, Copperpod, Yellow gulmohar tree, Yellow Flame Tree, Yellow Jacaranda, Horsebush, Yellow Flamboyant, Rusty shield-bearer, Golden Flamboyant
বৈজ্ঞানিক নাম : Peltophorum pterocarpum
নতুন বাংলা সনের শুরু। সূর্যের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে পরিবেশে রঙের জেল্লা ছড়িয়ে দিচ্ছে এ সময়ের নানা ফুল। কৃষ্ণচূড়া আর শিমুলের লাল, জারুলের বেগুনি আর অমলতাসের সোনালী রঙের পাশে সবুজের পটভূমিতে কনকচূড়ার চোখ ধাঁধাঁনো হলুদ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। যাকে এতদিন রাধাচূড়া ভেবে এসেছি সে যে আসলে কনকচূড়া এবং কৃষ্ণচূড়ার ঘনিষ্ট আত্মীয় তা জেনেছি অনেক পরে। কনকচূড়া আমাদের দেশের নিজস্ব গাছ নয়। এর আদি নিবাস আন্দামান, শ্রীলঙ্কা, মালয় ও উত্তর অস্ট্রেলিয়া। গাছ ও পাতার আকৃতি কৃষ্ণচূড়া গাছের মতোই।
কনকচূড়া বৃহৎ আকৃতির পর্ণমোচি, বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। প্রায় ২০ মিটার উঁচু। কান্ড ধূসর, অমসৃণ, শীর্ষদেশ ডিম্বাকৃতি কিংবা ছত্রাকার, শাখা বহু প্রশাখায় বিভক্ত, ঘনবিন্যস্ত এবং ছায়ানিবিড়। তবে কনকচূড়ার শাখাগুলো কৃষ্ণচূড়ার মতো ছড়ানো নয়, ঊর্ধ্বমুখী এবং সেজন্য গাছগুলো কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে খানিকটা উঁচু।
কৃষ্ণচূড়ার সাথে কনকচূড়ার পাতার সাদৃশ্য খুবই স্পষ্ট। অসংখ্য ছোট ছোট, চিকন পত্রক নিয়ে গঠিত এই দ্বিপক্ষল, যৌগিক পাতা আকৃতি ও আয়তনে প্রায় অভিন্ন। অবশ্য সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে দুটি প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়ে। কনকচূড়ার পাতা কালচে-সবুজ এবং রুক্ষ্ম। কিন্তু কৃষ্ণচূড়ার পাতা কোমল ও গাঢ় সবুজ। এ ছাড়া কৃষ্ণচূড়ার পত্রিকাগুলো ছোট এবং অধিকতর ঘনবিন্যস্ত। কনকচূড়ার যৌগপত্র লম্বায় ৩০-৫০ সেমি এবং চওড়ায় ২০-৩০ সেমি। প্রতি পাতা ৮-২৬ টি পক্ষ নিয়ে গঠিত। প্রতি পক্ষে ২০-৪০ টি পত্রক থাকে। পত্রকগুলি ডিম্বাকার, আকারে ক্ষুদ্র, ৮-২৫ মিমি লম্বা ও ৪-১০ মিমি চওড়া। পত্রকের উপরিভাগ কালচে সবুজ, নিচ সাদাটে। শীতের শেষে সব পাতা ঝরে গেলে বিবর্ণ ডালপালায় প্রাণের কোনো চিহ্নই থাকে না। আবার বসন্তের প্রথম ভাগে নতুন পত্রপল্লবে সুশোভিত হতে শুরু করে গাছগুলো।
নতুন পাতা গজানোর পর চৈত্রের শেষ ভাগেই ফুটতে শুরু করে কনকচূড়ার ফুল। এরপর পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়েই ফুলের অব্যাহত প্রস্ফুটন চোখে পড়ে। তবে বর্ষাকালে কয়েক বার বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে। কনকচূড়ার ফুল উজ্জ্বল কমলা রঙের; দূর থেকে দেখায় হলুদ। গাঢ় সবুজ নিবিড় সন্নিবেশিত পাতার ওপর হলুদ রঙের প্রলেপের মতো ফুলগুলোর প্রচুর প্রস্ফুটন রোদ ঝলমলে গ্রীষ্মের দিনে রুক্ষ পরিবেশে লাবণ্যের পরশ বুলিয়ে দেয়। শাখার আগায় দীর্ঘ, ঊর্ধ্বমুখী, ৩০-৫০ সেমি লম্বা শাখায়িত মঞ্জরিতে গাঢ় হলুদ ফুল হয়। পাপড়ির সংখ্যা ৫ টি, মুক্ত, কোঁচকানো, ১৫-১৮ সেমি লম্বা। পুংকেশর ১০টি, কমলা রঙের, অসমান। গর্ভকেশর উজ্জ্বল সবুজ। ফুল মৃদু সুগন্ধি। ফুলের সুগন্ধ দূরবাহী হওয়ায় গাছের শাখায় শাখায় মৌমাছিরা ভিড় করে।
ফুল শেষ হতে না হতেই গুচ্ছ গুচ্ছ ফলে গাছ ভরে ওঠে। কনকচূড়ার ফল শিমের মতো, কৃষ্ণচূড়ার ফলের মতো বিশালাকৃতির নয়। ফল হয় অজস্র। ফলগুলি শক্ত, চ্যাপ্টা, ৫-১০ সেমি লম্বা এবং ২-৩ সেমি চওড়া ও তামাটে রঙের। Peltophorum অর্থ ঢালবাহী; ঢালের মতো ফলের আকৃতির জন্য এই নামকরণ। প্রতি ফলে ৯ মিমি লম্বা এবং ৪ মিমি চওড়া, শক্ত, হলদেটে বীজ থাকে ১-৬টি। বীজ থেকে খুব সহজেই চারা হয়।
কনকচূড়া মূলত সৌন্দর্য বর্ধক ছায়াতরু হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঠ তেমন দামী নয়, সারাংশ আসবাবপত্রে ব্যবহার্য। গাছের ছাল থেকে আমাশয়, ব্যথা ও ক্ষতের ওষুধ তৈরি হয়ে থাকে। চোখের চিকিৎসায়, দাঁতের মাজন তৈরিতে এবং প্রাকৃতিক রঙ প্রস্তুতিতেও এর ছাল ব্যবহৃত হয়। তবে শুধু ফুলের সৌন্দর্যের জন্যই কনকচূড়া প্রিয় হয়ে আছে বহুজনের কাছে।
|| বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ||
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Peltophorum
Species Peltophorum pterocarpum
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Peltophorum
Species Peltophorum pterocarpum
Comments
Post a Comment