মান্দার
ইংরেজি নাম: Tiger's claw/ Indian coral tree/ Sunshine tree;
বৈজ্ঞানিক নাম: Erythrina indica
পরিচিতি:
কাঁটা বিশিষ্ট গাছটি ২৭ মি পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর শাখাগুলো ধূসর রঙের। পাতা পালকের ন্যায় খুবই পাতলা এবং ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ত্রিভূজাকৃতি বিশিষ্ট প্রশস্ত হতে পারে। শীতের শুরুতে পাতাগুলো ঝরে পড়ে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে নতুন পাতা গজায়। পাতা ঝরে পড়ার পর ফুলের আবির্ভাব ঘটে। গন্ধবিহীন ফুলগুলো গাঢ় লাল কিংবা উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের ১৫ সেন্টিমিটার লম্বাটে এবং বীজ ঘন বাদামী কিংবা কালচে রঙের হয়।
ইংরেজি নাম: Tiger's claw/ Indian coral tree/ Sunshine tree;
বৈজ্ঞানিক নাম: Erythrina indica
পরিচিতি:
কাঁটা বিশিষ্ট গাছটি ২৭ মি পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর শাখাগুলো ধূসর রঙের। পাতা পালকের ন্যায় খুবই পাতলা এবং ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ত্রিভূজাকৃতি বিশিষ্ট প্রশস্ত হতে পারে। শীতের শুরুতে পাতাগুলো ঝরে পড়ে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে নতুন পাতা গজায়। পাতা ঝরে পড়ার পর ফুলের আবির্ভাব ঘটে। গন্ধবিহীন ফুলগুলো গাঢ় লাল কিংবা উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের ১৫ সেন্টিমিটার লম্বাটে এবং বীজ ঘন বাদামী কিংবা কালচে রঙের হয়।
মান্দার
বাংলা নাম : মান্দার, পরিজাত, মাদার, মান্দর, মন্দার, পালতে মান্দার, রক্তমান্দার, বুনো পলাশ
ইংরেজি নাম : Indian Coral Tree, Lenten tree, Tiger claw
বৈজ্ঞানিক নাম : Erythrina variegata
ইংরেজি নাম : Indian Coral Tree, Lenten tree, Tiger claw
বৈজ্ঞানিক নাম : Erythrina variegata
দেখতে অবিকল নন্দিত পলাশ। আসলে তা নয়। এ হচ্ছে, উপেক্ষিত মান্দার ফুল। এককালে গ্রাম বাংলায় অতি পরিচিতি মান্দার আজ বিলুপ্ত প্রায়।সারা বছর গাছটি মরাগাছের মতো থাকলেও বসন্ত কালে তার শোভা সকলের নজর কাড়ে। রবীন্দ্রনাথ তার গানে মান্দার বা পারিজাতকে নিয়ে লিখেছেন,
“পারিজাতের কেশর নিয়ে ধরায়, শশী, ছড়াও কী এ।
ইন্দ্রপুরীর কোন্ রমণী বাসরপ্রদীপ জ্বালো ॥
…………
ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ॥“
পৌরানীক কাহিনীতে জানা যায় মান্দার স্বর্গের ফুল, মর্ত্যের রাজা শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের কাছ থেকে অনেকটা জোরজবরদস্তি করেই এই পরিজাতকে তার মর্ত্যের বাগানে এনে লাগান।"
“পারিজাতের কেশর নিয়ে ধরায়, শশী, ছড়াও কী এ।
ইন্দ্রপুরীর কোন্ রমণী বাসরপ্রদীপ জ্বালো ॥
…………
ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ॥“
পৌরানীক কাহিনীতে জানা যায় মান্দার স্বর্গের ফুল, মর্ত্যের রাজা শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের কাছ থেকে অনেকটা জোরজবরদস্তি করেই এই পরিজাতকে তার মর্ত্যের বাগানে এনে লাগান।"
উষ্ণমণ্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলীয় উভয় পরিবেশেই এ বৃক্ষটি জন্মে। উত্তরাঞ্চলীয় আফ্রিকার দেশসমূহ, ভারতীয় উপমহাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ প্রশান্ত মহাসাগরতীরবর্তী পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে শুরু করে ফিজির পূর্বাংশে পারিজাতের দেখা মেলে।
কাঁটাবিশিষ্ট গাছ হিসেবে এটি ২৭ মি (৮৯ ফু) পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর শাখাগুলো ধূসর রঙের। গায়ে কাঁটা থাকে। গাছের গোড়ার দিকের কাঁটাগুলি গাছ বড় হলে ঝরে যেতে দেখা যায় অনেক সময়। পত্রমোচী। লম্বা বোঁটার আগায় তিনটি প্রায় ত্রিভুজাকার পাতা থাকে। পাতা পালকের ন্যায় খুবই পাতলা এবং ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। শীতের শুরুতে পাতাগুলো ঝরে পড়ে এবং মার্চ-এপ্রিল মাসে নতুন পাতা গজায়।
ফাগুন হাওয়ার পলাশ যখন ডালে ডালে আগুন ঝরায় তখন পরিজাতও ফুটতে শুরু করে অবহেলা গায়ে না মেখে। তখন তার শোভা সকলের নজর কেড়ে নেয় অনায়াসেই। রবীন্দ্রনাথ আদর করে বলেছেন:
“ফাগুন হাওয়ায় রঙে রঙে
পাগল ঝোরা লুকিয়ে ঝরে
গোলাপ জবা পারুল পলাশ
পরিজাতের বুকের পরে।”
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে। ফুল বেশিদিন স্থায়ী হয় না।লম্বা প্রায় ত্রিশ সেন্টিমিটার ডাটায় মঞ্জরীতে গুচ্ছে লাল রংয়ের ফুল ফোটে। ফুল শিমফুলের মতো, ১০-১৫ সে.মি. লম্বা, গন্ধবিহীন, ফুলগুলো গাঢ় লাল কিংবা উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের। কেশর গুচ্ছ গুচ্ছ।
“ফাগুন হাওয়ায় রঙে রঙে
পাগল ঝোরা লুকিয়ে ঝরে
গোলাপ জবা পারুল পলাশ
পরিজাতের বুকের পরে।”
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল আসে। ফুল বেশিদিন স্থায়ী হয় না।লম্বা প্রায় ত্রিশ সেন্টিমিটার ডাটায় মঞ্জরীতে গুচ্ছে লাল রংয়ের ফুল ফোটে। ফুল শিমফুলের মতো, ১০-১৫ সে.মি. লম্বা, গন্ধবিহীন, ফুলগুলো গাঢ় লাল কিংবা উজ্জ্বল লোহিত বর্ণের। কেশর গুচ্ছ গুচ্ছ।
বীজ গুলো দেখতে অনেকটা সীমের মত। শুকিয়ে গেলে কালচে বাদামী হয়ে যায। ফল হয় বেশ লম্বা, গাঁটগাঁট আগা চোখা। ফল ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা ও ২.৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত হয়। মে-জুন মাসে ফল পরিপক্ক হয়। ফলগুলো কয়েক মাস পর্যন্ত গাছে ঝুলে থাকতে পারে। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ডাল কেটে লাগালেও বাঁচে। পরিচর্যা ছাড়াই এই গাছে দ্রুত বৃদ্ধিপায়।
পরিজাত খুই নরম কাঠের গাছে হওয়াতে তেমন ভাবে কোথাও এর কাঠের ব্যবহার নেই। ইদানিং গাছের নরম অংশ কাগজ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা জমির আইলে সীমানা খুঁটি এবং বাড়ির বেড়ার জন্য এই গাছ লাগিয়ে থাকে। এটি ঝড়-ঝঞ্চা প্রতিরোধ করতে সক্ষম, আগুন প্রতিরোধক এবং বন্যায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।। ভিয়েতনামে ভাঁজ করে মাংসের সাথে পারিজাতের পাতা ব্যবহার করা হয়। সিদ্ধ চিকিৎসায় রজঃস্রাব বা মাসিক নিয়মিতকরণে এবং লিঙ্গ উত্থানে ব্যবহার করা হয়। এর পাতা পশুদের অন্যতম পছন্দের খাবার হিসেবে বিবেচিত। জাপানের ওকিনাওয়া প্রিফেকচারে ১৯৬৭ সাল থেকে প্রাদেশিক ফুল হিসেবে মর্যাদা পেয়ে আসছে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Erythrina L.
Species Erythrina variegata L
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Erythrina L.
Species Erythrina variegata L
ফুলের নাম- মাদার/মান্দার/পারিজাত
বৈজ্ঞানিক নাম- Erythrina variegata
পরিবার- Fabaceae
অন্যান্য নাম- Tiger's Claw, Indian Coral Tree, Sunshine Tree, Roluos Tree(Cambodia), deigo or deegu(Okinawa), drala(Fiji), madar (Bangladesh), Modar(Assam), dapdap(Philippines),man da ra ba(Tibet), as thong lang(Thailand), vông nem(Vietnam).
বাংলাদেশের প্রখ্যাত উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মা তাঁর ‘ফুলগুলি যেন কথা’ নামক বইতে এই মান্দার স¤পর্কে বলেছেন পরিজাত মাঝারি আকারের দেশী গাছ। গায়ে কাঁটা থাকে। পত্রমোচী। বসন্তে ফুল ফোটে। মঞ্জরিতে অনেক ফুল থাকে। ফুল শিমুল ফুলের মতো, ১০ সেন্টিমিটার লম্বা, গাঢ় লাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ডাল কেটে লাগালেও বাঁচে।
মাঝারি আকারের এই গাছটি সাধারণত ১৫ মিটারের মতো উঁচু হতে দেখা যায়। গাছের গায়ে কালো কালো গোটাগোটা কাঁটা থাকে। গাছের গোড়ারদিকের কাঁটাগুলো গাছ বড় হলে ঝরে যেতে দেখা যায় অনেক সময়। অনেকটাই পলাশ ফুলের মত দেখতে এই ফুলগুলো টকটকে লাল।
পৌরাণিক কাহিনী থেকে জানা যায় ‘মান্দার স্বর্গের ফুল, মর্ত্যরে রাজা শ্রীকৃষ্ণ স্বর্গের রাজা ইন্দ্রের কাছ থেকে অনেকটা জোরজবরদস্তি করেই এই পরিজাতকে তার মর্ত্যরে বাগানে এনে লাগান।’ দেখতে যেমন পলাশের মতো তেমনি ফাগুন হাওয়ার পলাশ যখন ডালে ডালে আগুন ঝরায় তখন পরিজাতও ফুটতে শুরু করে। গাছের পাতা ঝরে যায় ফুল ফোটার সময় হলেই। পাতাহীন গাছে ফোটে টকটকে লাল পরিজাত। এক সময় অবহেলায় বেড়ে ওঠা কাঁটাযুক্ত এই গাছটি গ্রাম অঞ্চলে যত্রতত্র চোখে পড়ত। এখন আর সেভাবে চোখে পড়ে না। রাজধানী ঢাকা শহরে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে কয়েকটি মান্দার গাছে প্রতিবছর মান্দার ফুল ফোটে। এ ছাড়া গত দুই বছর আগে রামপুরা টিভি সেন্টারে দুটি মান্দার গাছে ফুল এবং রাজধানীর তেজগাঁয়ের ভূমি রেজেস্ট্রি অফিসের গেটে বিশাল একটি পরিজাত গাছে প্রচুর ফুল ফুটতে দেখেছে অনেকে।
জানা যায়, মান্দারের বিচি দেখতে অনেকটা তেঁতুলের মতোই। তেঁতুলের চেয়ে একটু বড় আর গোটা গোটা। পরিজাত খুই নরম কাঠের গাছ হওয়াতে তেমনভাবে কোথাও এর কাঠের ব্যবহার নেই। তবে শোনা যায়, গাছের নরম অংশ কাগজ তৈরিতে সহায়ক। বাত-ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবে মান্দার তেল ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র- দৈনিক জনকন্ঠ
ছবি- নেট
Comments
Post a Comment