Skip to main content

Aparajita, অপরাজিতা, Pigeon wings (Clitoria ternatea)

Image result for pigeon wings flower

Aparajita, অপরাজিতা, Pigeon wings (Clitoria ternatea)



অপরাজিতা:
বৈজ্ঞানিক নাম : Clitoria ternatea Linn
অপরিজিতা বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ।আদিনিবাস মালাক্কা উপসাগরীয় অঞ্চলের টিনাট (Tenatc) দ্বীপে।লম্বায় ১৫-২০ ফুট হয়ে থাকে এই লতানো গাছ।ফুলের রং নীলাভ বেগুনি,গাঢ় নীল,ফিকে নীল,সাদা ইত্যাদি বর্ণের হয়ে থাকে।ফুল আকারে বড়,আকৃতি অনেকটা মটরশুঁটি ও বক ফুলের অনুরূপ।এই ফুলের কোন গন্ধ নাই।গাছের পাতাভর্তি লতার ফাঁকে ফাঁকে নয়নাভিরাম অপরাজিতা ফুল ফুটতে দেখাযায়।তবে অপরাজিতা কখনো গুচ্ছ আকারে আকারে থোকায় থোকায় ফুটে না।
গুনাগুন:
অপরাজিতার ফুল, পাপড়ি, মূল ও গাছের লতায় নানান ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। বয়:সন্ধি কালীন উন্মাদ রোগ, গলগন্ড রোগ,ফুলা রোগ,ঘন ঘন প্রস্রাব, স্বরভঙ্গ, শুষ্ক কাশি, আধকপালে ব্যথা ইত্যাদি রোগে অপরাজিতার ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে।


অপরাজিতা
বাংলা নাম : অপরাজিতা, আস্ফোতা, অশ্বখুরী
ইংরেজি নাম : Butterfly-pea, blue-pea, Cordofan-pea, Pigeon-wings
বৈজ্ঞানিক নাম : Clitoria ternatea
Fabaceae গোত্রের লতানো বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদের আদি নিবাস মালয় উপদ্বীপ। পশ্চিমবঙ্গে এই উদ্ভিদ প্রচুর দেখা যায়।
এর পাতার সাথে উপপত্র আছে। কাণ্ডের সাথে পাতাগুলো একান্তর পত্রবিন্যাস-এ সজ্জিত থাকে। পাতাগুলো যৌগিক এবং সচূর পক্ষল। এর পত্রকগুলো ডিম্বাকৃতির এবং লম্বায় ৪ সেন্টিমিটার হয় এবং প্রস্থে ৩ সেন্টিমিটার হয়।
এর ফুল লম্বায় প্রায় ৫-৭ সেন্টিমিটার হয়। এককভাবে ফুল ফোটে। ফুলগুলো একপ্রতিসম, প্রজাপতিসম ও একলিঙ্গিক। ফুলের প্রধান পাপড়ির বাইরের দিকের রঙ নীল এবং মধ্যস্থলে ফিকে সাদা বর্ণের হয়। এই ফুলের পুংকেশর ১০টি থাকে। পরাগধানীর আয়তাকার হয়ে থাকে। স্ত্রীস্তবক ১টি, দিগুচ্ছক। এর গর্ভদণ্ড সরু। অমরাবিন্যাস এক প্রান্তীয়। ফুলগুলো বর্ষাকালে ফোটে। কখনো কখনো সাদা বা বেগুনি বর্ণের ফুলও দেখা যায়।
কোনো কোনো ফুলের ভিতরের দিকটা একেবারেই সাদা হয়। ফুলের দুটি সবুজ ডিম্বাকার উপবৃতি আছে। এর বৃতির সংখ্যা ৫টি।
এর শুঁটি লম্বায় ৮-১০ সেন্টিমিটার হয়। শুঁটির ভিতরে ৬-১০টি কালো রঙের বীজ থাকে। ফল ধরে শীতকালে।
এই উদ্ভিদের প্রায় সকল অংশই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর বীজ কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে। এর মূল বিষনাশক। চরক সংহিতার মতে, সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করার জন্য নিশিন্দার মূলের সাথে অপরাজিতার মূলের ছাল জলে মিশিয়ে খাওয়াতে হয়। এর মূলের সাথে পানের রসযুক্ত করে নিয়মিত খাওয়ালে উন্মাদ রোগ নিরাময় হয়। এর মূলের রস প্রস্রাব বৃদ্ধি করে।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Magnoliophyta
শ্রেণী: Magnoliopsida
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
উপপরিবার: Faboideae
গোত্র: Cicereae
গণ: Clitoria
প্রজাতি: C. ternatea

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

সোনাঝুরি

সোনাঝুরি A cluster of flowers at the end of the blooming season. Acacia auriculiformis Family Fabaceae Khoai near Shantiniketan, West Bengal, India আকাশমণি অন্যান্য নাম : আকাশমণি, সোনাঝুরি ইংরেজি নাম : Auri, Earleaf Acacia, Earpod Wattle, Northern Black Wattle, Papuan Wattle, Tan Wattle বৈজ্ঞানিক নাম : Acacia auriculiformis আকাশমণি একটি দ্রুতবৃদ্ধিসম্পন্ন চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির স্থানীয় প্রজাতি। চিরসবুজ এই বৃক্ষটি ১৫-৩০মি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ড বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গাছের বাকল পরিণত অবস্থায় ছাই, বাদামি বা কালচে বাদামি রঙের এবং অমসৃণ ও ফাটল যুক্ত হয়। এই গাছের যেটাকে আমরা অনেকেই পাতা বলি সেটি আসলে পাতা নয়, এটি মূলত পর্ণবৃন্ত। বীজ অঙ্কুরিত হবার পর পক্ষল যৌগিক পত্র ধারণ করে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই পত্রকগুলি ঝরে পড়ে। এর পর যৌগিক পত্রের বৃন্ত পরিবর্তিত হয়ে প্রসারিত, চ্যাপ্টা পাতার মত আকার ধারণ করে ও পাতার মত কাজ করে। সবুজ পর্ণবৃন্তগুলি ৮-২০ সেমি লম্বা ও ১-৪ সেমি চওড়া এবং মসৃণ। প্রতি পর্ণবৃন্তে ৩-৮ টি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।