আমার মেয়ের বিয়ের তত্ত্বের মিষ্টি আমি পছন্দ করিনি। ময়রা বলেছিল, কাকা, আমার ওপর ছেড়ে দিন। বোনের বিয়ে বলে কথা, নিন্দে হতে দেবো না।ছেড়ে দিয়েছিলাম।
খুব সুখ্যাতি হয়েছিল মিষ্টির। আমার বন্ধু আবার একধাপ এগিয়ে বলেছিল, ওদের "হারিয়ে" দিয়েছিস।
হারজিতের কথা থাক।
সেই তত্ত্বে একটি মিষ্টি ছিল খাজা। অসংখ্য পাপড়ির একটি ফুলের মতো। যেমন অনন্য দেখতে, নিশ্চই স্বাদেও তেমনি হয়েছিল। হালকা ফুলফুলে, খেতে মুচমুচে, আর মিষ্টি একদম ব্যালেন্সড, যাতে দু'চারটি খেয়ে নিলেও মুখ মেরে দেয় না। খাজা দেখলেই জিভে জল আসে।
এই সুন্দর ফুলটি সেই খাজার মতো। এ কিন্তু খাস্তা মুচমুচে মোটেও নয়, বরং নরম তুলতুলে। পাপড়িগুলি যেমন ঝকঝকে তেমনি মসৃণ, তেমনি রঙের জেল্লা, যেন আলো ঠিকরে আসে, রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। এই গাছটির নাম পার্শিয়ান বাটার কাপ।
এর বৈজ্ঞানিক নাম রেনানকুলাস এশিয়াটিকাস (Ranunculus asiaticus).
রেনানকুলাস বাল্ব বা টিউবার থেকে যেমন হয়, তেমনি হয় বীজ থেকে। কিন্তু বীজ এক বছর বাড়িতে রাখা প্রায় অসম্ভব। বরং টিউবার রাখা যায়।
সবচেয়ে ভালো হয় শীতকালে বাজারে ফুলওলার কাছ থেকে চারা কেনা। তাকে ছবি দেখালেই এনে দেবে। ১৫/২০ টাকা দাম নেয়।
অন লাইনে কিনলে কখনো কখনো বড্ড ঠকিয়ে দেয়। ওরা টিউবার পাঠিয়ে দেয়। টিউবার দেখে তো গাছ বোঝা যায় না। কষ্টেসৃষ্টে গাছ জন্মালো যখন দেখা গেল সে অন্য গাছ।
Comments
Post a Comment