Skip to main content

Tisi, তিসি, Flax (Linum usitatissimum)

Image result for Flax (Linum usitatissimum)

Tisi, তিসি, Flax (Linum usitatissimum)


তিসি
বৈজ্ঞানিক নাম: 𝑳𝒊𝒏𝒖𝒎 𝒖𝒔𝒊𝒕𝒂𝒕𝒊𝒔𝒔𝒊𝒎𝒖𝒎
পরিচিতি:
Linaceae গোত্রের একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ লম্বায় ৮০-১২০ সেন্টিমিটার উঁচু হয়ে থাকে। গাছ গুলি উপরের দিকে সরলভাবে বৃদ্ধ পায়। ফুলের দলসংখ্যা ৫টি। এগুলি বৃত্তাকারে সংযুক্ত অবস্থায় সজ্জিত থাকে। এই সকল প্রজাতির ফুলগুলি প্রকৃষ্ট নীল বা নীলচে-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। ফলগুলি লম্বাটে ক্যাপসুলের মতো। এর বীজের আকার উপবৃত্তাকার। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪-৫ মিলিমিটার। ফলগুলির রঙ হাল্কা থেকে গাঢ় বাদামী ধরনের। বীজ থেকে সহজেই এই গাছের চারা জন্মে।
এই গাছের বীজ এবং এর আঁশের জন্য চাষ করা হয়ে থাকে। এই গাছের বিভিন্ন অংশ সুতা, রঙ, কাগজ ঔষধ, মাছধরা জাল এবং সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া বাগানের শোভা বৃদ্ধির জন্য এর কিছু প্রজাতির চাষ করা হয়ে থাকে।

এটি ভারতবর্ষ থেকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে প্রাপ্ত বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে মিশরে এই গাছের চাষ হতো। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে- দুর্গাপূজায় এই ফুলের ব্যবহার করা হয়।

তিসি ফুল
অন্যান্য নাম : তিসি, অতসী, নীলপুষ্পিকা, নীলপুষ্পী, সুনীলা, উমা, দেবী, পার্বতী, হেমবতী, মসৃণা, পিচ্ছিলা, ক্ষুমা, মদোৎকটা।
ইংরেজি নাম : Flax, Common flax, Flaxseed, Linseed
বৈজ্ঞানিক নাম : Linum usitatissimum
বাগানে তিসি ফুলের কোনো কদর না থাকলেও সৌন্দর্যে তিসি ফুল অতুলনীয়। এর সাদামাটা নীল রঙে কেমন যেন একটা মায়া আছে। ফুলের হালকা গড়ন আর সাদামাটা ভাব যেন তাকে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়। এটি শণ নামেও পরিচিত। ভারতবর্ষ থেকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে প্রাপ্ত বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে মিশরে লিনেন জাতীয় বস্ত্র তৈরীতে এর ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে তেল বীজ ও আঁশ হিসাবে ব্যবহার হয়।
তিসি একটি শীতকালীন বীরুৎ জাতীয় বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই গাছ লম্বায় ৩০-১২০ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কান্ড উপরের দিকে সরলভাবে বৃদ্ধি পায়। গাছের অগ্রভাগ ছাড়া শাখাপ্রশাখা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবে শুধুমাত্র তেল এর জন্য চাষ করা প্রজাতিটি অল্প শাখাপ্রশাখা যুক্ত। এর পাতা সবুজ বা পাঁশুটে সবুজ, সরু, লম্বা এবং চ্যাপ্টা ও তিনটি শিরাযুক্ত। ২০-৪০ মিমি লম্বা এবং ৩-৪ মিমি চওড়া ও মোমের মত আস্তরণ যুক্ত।
শীতে ফুল ফোঁটে। ফুল নীল বর্ণের। আকারে ১৫-২৫ মিমি। ফুলের দলসংখ্যা ৫টি। এগুলি বৃত্তাকারে সংযুক্ত অবস্থায় সজ্জিত থাকে। সাদা বা হলুদ রঙের পরাগধানী থাকে ৫টি। ভোর বেলা ফুল ফোটে এবং বিকালে ঝরে যায়।
ফুল থেকে বীজধারণকারী গোলাকার ক্যাপ্সুলের মতো ফল হয়। ফল ৫-৯ মিমি। বীজ কোষ ৭-৮ ভাগে বিভক্ত এবং প্রত্যেক কোষে একটি করে বীজ থাকে। চকচকে, উজ্জ্বল চ্যাপটা বীজ বাদামি অথবা হলুদ রঙের, প্রায় এক সেমি লম্বা। বীজ হাতে ধরলে পিচ্ছিল অনুভূত হয়। সাধারণত ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফল পাকে। ভালোভাবে ফল পাকলে গাছ এবং ফল সোনালী বা কিছুটা তামাটে রং ধারণ করে। ফল পাকার সাথে সাথে গাছগুলোও শুকিয়ে যেতে থাকে। তখন ফসল কেঁটে এনে বীজ আলাদা করা হয়, আর গাছ প্রক্রিয়াজাত করা হয় আশঁ সংগ্রহের জন্য। বীজ থেকে ৩৫-৪৫% তেল ও প্রায় ২০-২৫% প্রোটিন পাওয়া যায়।
তিসির বীজ দুই ধরণের- বাদামী ও সাদা রঙের। বীজ রান্নায় ব্যবহার হয়, আবার বীজ থেকে তেল উৎপন্ন হয়। আর উন্নতমানের তিসির আশঁ থেকে তৈরি হয় লিনেন কাপড়। বার্নিশ, পেইন্ট, সাবান ইত্যাদির উপাদান হিসেবে তিসির তেল ব্যবহার হয়। এছাড়া কৃত্রিম চামড়ায় ও ছাপাখানার কালিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের গোলযোগ, গণোরিয়া ও মূত্রকৃচ্ছতায়, মধুমেহ নিয়ন্ত্রনে, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে, মস্তিষ্কের বিকাশে, বমি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট দূরীকরণে এবং শরীরের সৃষ্ট বিষ নষ্ট করা, ক্রিমি ধ্বংস করা, ক্ষত ও কাসি নিরাময়, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে করার ক্ষেত্রে এই গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
Kingdom Plantae
Subkingdom Tracheobionta
Superdivision Spermatophyta
Division Magnoliophyta
Class Magnoliopsida
Subclass Rosidae
Order Linales
Family Linaceae
Genus Linum
Species Linum usitatissimum

Comments

Popular posts from this blog

কুঞ্জলতা

|| কুঞ্জলতা || অন্যান্য নাম : কুঞ্জলতা, কামলতা, তারালতা, তরুলতা, গেইট লতা, সূর্যকান্তি, জয়ন্তী ফুল। ইংরেজি নাম : Cypress Vine, Cypressvine Morning Glory, Cardinal Creeper, Cardinal Climber, Cardinal Vine, Star Glory, Hummingbird Vine, Cupid's flower বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea quamoclit কুঞ্জলতা একপ্রকার বর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা হলেও এটি দুনিয়ার প্রায় সকল ক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং আমাদের দেশেও ব্যাপক ভাবে এর দেখা মেলে। কুঞ্জলতা সাধারণত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। কান্ড নরম সবুজ, সহজেই ভেঙে যায় তবে পরিনত হলে বাদামি রঙের ও তুলনায় পোক্ত হয়ে থাকে। এর কান্ড বল্লী ধরনের অর্থাৎ এদের কোন আকর্ষ থাকে না তাই কান্ডের সাহায্যে কোন অবলম্বন কে জড়িয়ে ওপরে ওঠে। কুঞ্জলতার পাতা গাঢ় সবুজ রঙের। পাতা সরল, একান্তর ভাবে সজ্জিত। পাতাগুলি ৫ – ৭.৫ সেমি লম্বা। পত্রকিনারা পালকের মতো গভীরভাবে খন্ডিত, পাতার প্রত্যেক পাশে ৯-১৯টি করে খন্ড থাকে। এরূপ খন্ডনের কারনে পাতাগুলিকে দেখতে লাগে অনেকটা ফার্ণের মত। ঘনভাবে লতানো কুঞ্জলতার পাতাও ...

অলকানন্দা

অলকানন্দা বৈজ্ঞানিক নাম: Allamanda cathartica পরিচিতি: কান্ড গোল, সরু সরু ডাল, চিরসবুজ, তেমন পত্রঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১*৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। বড় বড় হলুদ রঙের ফুল, গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। অলকানন্দা বাংলা নাম : অলকানন্দা, স্বর্ণঘন্টা, ঘন্টালতা ইংরেজি নাম : Golden Trumpet, Yellow Bell, Common Trumpetvine, Yellow Allamanda বৈজ্ঞানিক নাম : Allamanda cathartica অলকানন্দা (রবি ঠাকুরের দেয়া নাম) একটি গুল্মজাতীয় গাছ। ব্রাজিল ও মধ্য আমেরিকার প্রজাতি। কান্ড গোল, সরু ডাল, চিরসবুজ, পাতা তেমন ঘন নয়। পর্বসন্ধিতে ৪টি পাতা, লম্বাটে, ৭-১১.৩-৫ সেমি, পাতার নিচের মধ্যশিরা রোমশ, বিন্যাস আবর্ত। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় অনেকদিন ফুল ফোটে। ডালের আগায় বড় বড় হলুদ রঙের ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর, ফুল গন্ধহীন, দলনলের ছড়ান, প্রায় ৬ সেমি চওড়া, মুখ গোলাকার, ৫ লতি। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে এটি সবচেয়ে ভালভাবে ফোটে। জল জমে থাকেনা এমন মাটিতে এটি ভাল জন্মে। এটি অনেকটা লতা জাতীয় গাছ, তাই বেড়া বা লাঠিতে ভর দিয়ে এটি বেড...

ডেইজি

ডেইজি বৈজ্ঞানিক নাম : Bellis perenni পরিচিতি: দেখতে সাদা, মাঝখানে হলুদ ছোট ছোট অসংখ্য পাপড়ি দিয়ে একটি চোখের মতো আকৃতি তৈরি করে। ডেই ডেইজি ফুলটি ভোর থেকেই ফোটে, একে বলা হয় “দিনের চোখ”। গুনাগুন: এর অনেক গুনাগুন রয়েছে, যেমন খাদ্য হিশেবে ডেইজি ফুলের পাতা সালাদের সাথে খাওয়া যায়, এর পাতার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। ওষুধি গুনের দিক থেকে রক্তক্ষরণ কমানো, বদহজম এবং কফ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। মৌমাছি ডেইজি ফুল খুব ভালবাসে এবং মধু তৈরিতে ভাল ভুমিকা রাখে।