
Bauhinia acuminata
Kanchan (white), কাঞ্চন (সাদা)
শ্বেতকাঞ্চন
বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia acuminate
শ্বেতকাঞ্চন ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু পত্রমোচী গাছ। পাতা ১০-১৫ সেমি দীর্ঘ এবং ৭-১২ সেমি প্রস্থ। পাতার আগা দুই ভাগে বিভক্ত, মসৃণ, নিচের শিরা সামান্য রোমশ। বসন্তের শেষ থেকে শরত পর্যন্ত ফুল হয়। পাতার কক্ষের একটি থোকায় কয়েকটি ফোটে, সাদা, গন্ধহীন, ৫ সেমি চওড়া, পাপড়ি সংখ্যা পাঁচটি এবং পাপড়ি মুক্ত। শুঁটি শিমের মতো চ্যাপ্টা, বিদারী ও ধুসর। বীজ কয়েকটি। বীজে চাষ। ছেঁটে ছেঁটে রাখা যায়। এ গাছের আদি নিবাস চীন। তবে শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ভারতের মধ্য অঞ্চলে এ ফুলগাছ বেশি জন্মে।
|| শ্বেতকাঞ্চন ||
অন্যান্য নাম : শ্বেতকাঞ্চন, সাদা কাঞ্চন
ইংরেজি নাম : Dwarf White orchid tree, Dwarf white Bauhinia, Snowy Orchid-tree,
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia acuminate
ইংরেজি নাম : Dwarf White orchid tree, Dwarf white Bauhinia, Snowy Orchid-tree,
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia acuminate
“ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল
ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়
বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণ বায়”
ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়
বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণ বায়”
আমাদের দেশে যে কয়েক ধরনের কাঞ্চন ফুল দেখা যায়, তার মধ্যে শ্বেতকাঞ্চন বা সাদা কাঞ্চন বেশ সহজলভ্য। বন-জঙ্গল, পাহাড়ি এলাকা, বাগানে ও পথের ধারে এ ফুলের শুভ্র শোভা আমাদের নজর কাড়ে। তাছাড়া শ্বেতকাঞ্চনের ফুল ফোটার সময়ও অনেক দীর্ঘ। শীতকাল ছাড়া প্রায় সারা বছর পুষ্প-প্রাচুর্য লেগে থাকে। বর্ষাকালেও এ ফুলের শোভা বেশ নান্দনিক। বসন্তের প্রথম দিকে ডালপালাজুড়ে থাকে শুধুই ফুলের উত্সব। তখন গাছে একটিও পাতা থাকে না।
শ্বেতকাঞ্চন মূলত গুল্মশ্রেণীর, পত্রমোচী গাছ। এদের বিস্তৃত চাষাবাদের জন্য আদি নিবাস বোঝা না গেলেও মনে করা হয় এরা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, এবং ফিলিপাইন থেকে এসেছে। মধ্যভারতের শুষ্ক অরণ্যভূমি, শ্রীলংকা ও চীনে এ ফুলগাছ বেশি জন্মে। সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু। তবে কখনো কখনো একটু বড়ও হতে পারে। এদের কাণ্ড নিচু, শাখা-প্রশাখা অনেক এবং কিছুটা ছড়ানো ছিটানো ধরনের।
শ্বেতকাঞ্চনের পাতা তার অনন্য বৈশিষ্ট্য। দুটি পাতা জোড়া দিলে দেখতে যেমন, পাতার শেষ প্রান্ত অবিকল সে রকম। অনেকটা গরুর ক্ষুরের মত। পাতা ১০ - ১৫ সেমি দীর্ঘ এবং ৭ - ১২ সেমি প্রস্থ। পাতার দৈর্ঘ্যের এক তৃতিয়াংশ পর্যন্ত পাতার অগ্রভাগ দুই ভাগে বিভক্ত। পাতার উপরিভাগ মসৃণ, নিচের শিরা সামান্য রোমশ।
শ্বেতকাঞ্চন গাছ শীতকালে সব পাতা ঝরিয়ে একেবারে মরার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। এ অবস্থাতেই গাছজুড়ে দুধসাদা রঙের ফুলের মেলা বসে। বসন্তের শেষ থেকে শরৎ পর্যন্ত ফুল। ফুলগুলো পাতার কোলে গুচ্ছবদ্ধভাবে ফুটতে থাকে। ফুল ফোটা অবস্থায় এটা অত্যন্ত নজরকাড়া। ফুল সাদা, মৃদুগন্ধী, ৮ -১২ সেমি ব্যাসযুক্ত। ফুলে ১.৫ – ৪ সেমি লম্বা পাঁপড়ি থাকে ৫টি, পাঁপড়িগুলি মুক্ত প্রকৃতির। পাঁপড়ির মাঝে থাকে ১০টি হলুদ রঙের কাস্তের মতো বাঁকা পরাগযুক্ত সাদা রঙের পুংকেশর এবং ১টি সবুজ রঙের গর্ভকেশর। প্রতি শাখার অগ্রভাগে এক বা একাধিক ফুল ফুটতে দেখা যায়।
গাছে ফুল অবশিষ্ট থাকতেই ফল ধরে। ফলের আকার শিমের মতো। শুঁটি ৭.৫ – ১৫ সেমি লম্বা ও ১.৫ – ১.৮ সেমি চওড়া। ফলের রঙ প্রথমে সবুজ থাকে ও পরবর্তীতে কালচে রঙ ধারণ করে। ফলগুলো একসময় শুকিয়ে গিয়ে আপনাআপনিই ফেটে যায়। তখন বীজগুলো ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি ফলে ৪ – ৬ টি বীজ থাকে। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায় এবং প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুলগাছ জন্মে। গাছকে ছেঁটে ছোট করে রাখা যায়।
শ্বেতকাঞ্চন গাছের বাকল থেকে ট্যানিং, রঙ ও দড়ি তৈরি করা যায়। শ্বেতকাঞ্চনের বীজের তেল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার রয়েছে। গাছের শিকড় বিষাক্ত এবং আদিবাসীরা সর্পদংশনের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে। বাকল, ফুল ও শিকড় কৃমি, চর্মরোগ, টিউমার ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। বাকল ও পাতা শ্বাসের সমস্যা, কুষ্ঠ এবং পিত্ত পাথুরিতে ব্যবহৃত হয়। শিকড় তেলের সাথে ফুটিয়ে পোড়া ক্ষতে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
|| বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ||
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia acuminata
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia acuminata
#শ্বেতকাঞ্চন, #কাঞ্চন, #Dwarf_White_Orchid_Tree, #Dwarf_White_Bauhinia, #Snowy_Orchid_Tree, #Bauhinia_acuminate

Bauhinia blakeana
রক্তকাঞ্চন
বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia blakeane
পরিচিতি:
আমাদের দেশে সাধারণত তিন ধরনের কাঞ্চন চোখে পড়ে—দেবকাঞ্চন, রক্তকাঞ্চন ও শ্বেতকাঞ্চন। তার মধ্যে রক্তকাঞ্চন ফোটে বসন্তের প্রথম ভাগে, থাকে অনেক দিন। এগুলো পত্রমোচি গাছ, উচ্চতা প্রায় আট মিটার, কাণ্ড নিচু, বহুশাখী, ওপর ছত্রাকৃতি, বাকল ধূসর, অমসৃণ। পাতা চওড়া, পুরু ও অসম্পূর্ণভাবে সজোড়। দেখতে দুটো জোড়া দেওয়া পাতার মতো। এ কারণে অন্যান্য গাছ থেকে কাঞ্চনকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। ফুল বড়, ৮-১০ সেন্টিমিটার চওড়া, লাল অথবা গোলাপি-বেগুনি। ডাল বা পত্রিকার সরু আগায় থোকায় থোকায় ফোটে। গন্ধহীন। অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অনেক দিন সতেজ থাকে। ফল শিমের মতো চ্যাপ্টা, প্রথমে বাদামি-সবুজ, পরে গাঢ় বাদামি। চাষ বীজ ও কলমে। রোদ পছন্দ। বাকল ট্যানিং, রং ও দড়ির উপকরণ। বীজ-তেল সস্তা জ্বালানি। শিকড় বিষাক্ত ও সর্পদংশনের প্রতিষেধক। হাঁপানি, ক্ষত এবং পেটের পীড়ায় গাছের নানা অংশ উপকারী।

|| দেবকাঞ্চন ||
অন্যান্য নাম : দেবকাঞ্চন
ইংরেজি নাম : Hong Kong orchid tree,Purple Bauhinia, Camel's Foot, Butterfly Tree, Hawaiian orchid tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia purpurea
ইংরেজি নাম : Hong Kong orchid tree,Purple Bauhinia, Camel's Foot, Butterfly Tree, Hawaiian orchid tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia purpurea
‘আমার সেই শোবার ঘরের ভাঙা খাঁচাটির ভিতর থেকে যখন সেই হেমন্ত-মধ্যাহ্নের খোলা আলোর মধ্যে বেরিয়ে এলুম, তখন এক দল শালিক আমার বাগানের গাছের তলায় অকস্মাৎ কী কারণে ভারি উত্তেজনার সঙ্গে কিচিমিচি বাধিয়েছে; রাস্তার দুই ধারে সারি সারি কাঞ্চন গাছ অজস্র গোলাপি ফুলের মুখরতায় আকাশকে অভিভূত করে দিয়েছে....আতপ্ত নিশ্বাস ঐ কাঞ্চন ফুলের গন্ধের সঙ্গে মিশে আমার হৃদয়ের উপরে এসে পড়ছে। আমার মনে হল, আমি আছি এবং সমস্তই আছে এই দুইয়ে মিলে আকাশ জুড়ে যে সংগীত বাজছে সে কী উদার, কী গভীর, কী অনির্বচনীয় সুন্দর!’
- 'ঘরে বাইরে', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- 'ঘরে বাইরে', রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
মাথার ওপর নির্মল আকাশ, বাতাসে হিম হিম ভাব। মাঠ জুড়ে উজ্জ্বল সোনালি রোদে নুইয়ে পড়া পরিপুষ্ট ধানের শীষ। প্রকৃতিতে জীবনানন্দের 'রূপশালী ধানভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ'; এই বাংলার চিরচেনা হেমন্ত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা হেমন্তের এমন মনোরম দিনে সবুজ পাতার কোলে হালকা বেগুনি দেবকাঞ্চন ফুলের উচ্ছ্বাস আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওয়া। দেবকাঞ্চন এবং রক্তকাঞ্চনের কাণ্ড ও পাতার গড়ন প্রায় একই, পার্থক্য শুধু ফুলে ও ফুল ফোটার সময়ে। এ কারণে ফুল না ফুটলে এদের আলাদা করা কঠিন।
দেবকাঞ্চনের আদি নিবাস চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। মধ্য-আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও বর্তমানে এরা বিস্তার লাভ করেছে। দেবকাঞ্চন মাঝারি আকারের অর্ধ-চিরসবুজ গাছ, ৮ থেকে ১০ মিটার উঁচু। গাছটি ঘন ডালপালা যুক্ত, মাথা ছাতার মত ছড়ানো। বাকল ধূসর বাদামি রঙের ও প্রায় মসৃণ।
দেবকাঞ্চন, রক্তকাঞ্চন এবং সাদা কাঞ্চনের পাতার গড়ন প্রায় একই। তবে দেবকাঞ্চন গাছের পাতা অন্যান্য প্রজাতিগুলির চেয়ে সামান্য বড়। অন্য প্রজাতিদের মতই একান্তর ভাবে বিন্যস্ত সজোড় পাতা এর সৌন্দর্যের অনুপম বৈশিষ্ট্য। শীতের শেষে পাতা ঝরে যায় আবার বসন্তে নতুন পাতার প্রাচুর্যে ডালপালা ভরে ওঠে।
দেবকাঞ্চন ফুল ফোটে হেমন্তে। স্নিগ্ধ সৌরভ সঙ্গে আকর্ষণীয় পাঁচটি বেগুনি পাপড়ির সমাহারে দেবকাঞ্চন হেমন্তের প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের এক ভিন্ন মাত্রা তৈরি করে। হালকা বেগুনি ছাড়াও এর পাপড়ি মৃদু রক্তিম, গোলাপি বা সাদাটে হতে পারে। তবে হালকা বেগুনি রঙের দেবকাঞ্চনই বেশি চোখে পড়ে। ঠিক গুচ্ছে নয়, প্রতি শাখায় কয়েকটি করে ফুল থাকে। ফোটে সারা গাছ ভরে। ফুল ৬ থেকে ৮ সেন্টিমিটার চওড়া। অসমান ও লম্বাটে ৫টি পাপড়ি, মুক্ত। পাপড়িগুলো সন্নিবিষ্ট নয়, কিছুটা বিচ্ছিন্ন। শীতের মাঝামাঝি পর্যন্ত গাছে ফুল থাকে।
ফুল ফোটা শেষ হলে শিমের মতো আকৃতির ফল ধরে। শুঁটি ১০-৩০ সেমি লম্বা ও ২ সেমি চওড়া। প্রতি শুঁটিতে বীজ থাকে ১২-১৬ টি। ফলের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এরা ভাল বীজ-নিক্ষেপকারী। চৈত্রমাসে পরিণত ও পরিপক্ক ঝুলন্ত ফলগুলি হঠাৎ দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে সশব্দে ফেটে বীজ ছড়ায়। বিস্ময়করভাবে এরা প্রায় ১৫ মিটার বা ৪৯ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত বীজ নিক্ষেপ করতে পারে। বীজ থেকে সহজেই চারা গজায়।
দেবকাঞ্চনের ঔষধি গুণও রয়েছে। এর ফুল, বীজ, মূল, বাকল, পাতা ইত্যাদি অংশ নানা রোগের প্রতিষেধক। বিশেষ করে ডায়রিয়া, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, ক্ষত ও ব্যথানাশক হিসেবে এগুলোর ব্যবহার ফলপ্রসূ। গাছের শিকড় বিষাক্ত এবং সর্প দংশনের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশে প্রাচীন আদিবাসী সমাজে প্রথাগত চিকিৎসা হিসাবে দেবকাঞ্চনের বিভিন্ন অংশের প্রচলন ছিল। এর মধ্যে থাকা এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান শরীরের বিভিন্ন রোগের উপসর্গতে যেমন: বাত-ব্যাথা, ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, পাকস্থলীর ক্ষতের ক্যন্সারে ব্যবহৃত হয়। খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদনকারি হিসাবে এই উদ্ভিদের জুড়ি নেই। নেপালে এর পাতা গৃহপালিত পশু, গরু-মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদির স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গাছের বাকল থেকে ট্যানিং, রঙ ও দড়ি তৈরি করা যায়। বীজ তেল সস্তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
|| বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ||
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia purpurea
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia purpurea
#দেবকাঞ্চন, #Hong_Kong_orchid_tree,#Purple_Bauhinia, #Camels_Foot, #Butterfly_Tree, #Hawaiian_orchid_tree, #Bauhinia_purpurea

|| রক্তকাঞ্চন ||
অন্যান্য নাম : রক্তকাঞ্চন
ইংরেজি নাম : butterfly ash, camel's foot, mountain ebony, orchid tree, poor man's orchid, pink orchid tree, variegated orchid tree, white variegated orchid tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia variegata
ইংরেজি নাম : butterfly ash, camel's foot, mountain ebony, orchid tree, poor man's orchid, pink orchid tree, variegated orchid tree, white variegated orchid tree
বৈজ্ঞানিক নাম : Bauhinia variegata
কাঞ্চন ফুলের প্রজাতিগুলির মধ্যে তুলনামূলকভাবে রক্তকাঞ্চনই সুন্দর। রক্তকাঞ্চনের নাম থেকেই অনুমান করা যায় এর রং কেমন। এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। রক্তকাঞ্চন দ্রুত বর্ধনশীল, মাঝারি আকৃতির, অর্ধ-চিরসবুজ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের শীর্ষভাগ ছড়ানো। উচ্চতায় প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার লম্বা হয়। বাকল গাঢ় বাদামী রঙের এবং মসৃণ। কচি শাখা রোমশ।
রক্তকাঞ্চনের পাতা শ্বেতকাঞ্চনের মত। পাতা সরল, একান্তর, গোলাকার ও কিনারা মসৃন। পাতা ১০ - ২০ সেমি দীর্ঘ এবং ৭ - ১২ সেমি প্রস্থ। পাতার দৈর্ঘ্যের এক তৃতিয়াংশ পর্যন্ত পাতার অগ্রভাগ দুই ভাগে বিভক্ত। অনেকটা গরুর ক্ষুরের মত। পাতার নিম্নভাগের খন্ডন কম ও হৃদয় আকৃতির। পাতার উর্ধপৃষ্ঠ মসৃণ, নিম্নপৃষ্ঠ সামান্য রোমশ।
রক্তকাঞ্চনের পাতা শ্বেতকাঞ্চনের মত। পাতা সরল, একান্তর, গোলাকার ও কিনারা মসৃন। পাতা ১০ - ২০ সেমি দীর্ঘ এবং ৭ - ১২ সেমি প্রস্থ। পাতার দৈর্ঘ্যের এক তৃতিয়াংশ পর্যন্ত পাতার অগ্রভাগ দুই ভাগে বিভক্ত। অনেকটা গরুর ক্ষুরের মত। পাতার নিম্নভাগের খন্ডন কম ও হৃদয় আকৃতির। পাতার উর্ধপৃষ্ঠ মসৃণ, নিম্নপৃষ্ঠ সামান্য রোমশ।
বসন্তের শুরুতে অল্প কিছু পাতাকে ছাপিয়ে শাখাগুলো ভরে ওঠে সুগন্ধি ফুলে। রক্তকাঞ্চন ফুল দেখতে অনেকটা অর্কিডের মতো। ফুল উজ্জ্বল গোলাপী, বেগুনী, নীলচে বেগুনী বা খুব স্বল্প ক্ষেত্রে সাদা রঙের। ফুলে থাকে ৫টি মুক্ত প্রকৃতির পাপড়ি। পাঁপড়িগুলির একটি বড় ও গাঢ় রঙের। তাতে লাল, হলুদ ও সাদা রঙের কারুকার্য। দেখে মনে হয় প্রকৃতির শিল্পকর্ম। পাঁপড়িগুলি প্রায় অসমান, পরস্পরকে ছুঁয়ে থাকে, কিনারা ঢেউ খেলানো। ফুলের আকার ৮ – ১২ সেমি। পুংকেশর থাকে ৫টি, গর্ভকেশর ১টি। শাখার আগায় গুচ্ছাকারে অল্প কয়েকটি ফুল ফোটে। তবে ফোটে প্রচুর।
রক্তকাঞ্চনের ফল দেখতে অনেকটা শিমের মতো। তবে শিমের চেয়ে অনেক লম্বা। ফল ১৫ - ৩০ সেমি লম্বা ও ১.৫ – ২.৫ সেমি চওড়া। কচি অবস্থায় সবুজ পাকলে কালচে বাদামি রঙের। ফলের ভেতরে থাকে ১০ – ১৫ টি ১.৫ – ১.৭ সেমি আকারের বীজ। সাধারণত পরিপক্ব বীজ থেকে সহজেই চারা তৈরি করা যায়। তবে কলমের মাধ্যমেও নতুন চারা তৈরি করা যায়।
রক্তকাঞ্চন ভেষজ গুণের জন্যও যথেষ্ট পরিচিত। বাকল ও ফুলের রস আমাশয়, ডায়েরিয়া ও পাচনের সমস্যাতে ব্যবহার করা হয়। বাকলের কাত্থ ক্ষত, নানা চর্মরোগ এবং আলসারে কাজ দেয়। ফুলের শুকনো কুঁড়ি অর্শ ও কৃমি নাশক। শিকড়ের রস সর্প দংশনে এবং উদরাময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাকল থেকে ভেষজ রং প্রস্তুত করা হয়। কাঠ সাধারন আসবাব তৈরিতে কাজে লাগে। এছাড়া রাস্তার পাশে ছায়াদানকারী গাছ হিসেবে রক্তকাঞ্চন আজকাল ব্যাপকভাবে লাগানো হচ্ছে।
||বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস||
Kingdom Plantae
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia variegata
Subkingdom Viridiplantae
Infrakingdom Streptophyta
Superdivision Embryophyta
Division Tracheophyta
Subdivision Spermatophytina
Class Magnoliopsida
Superorder Rosanae
Order Fabales
Family Fabaceae
Genus Bauhinia
Species Bauhinia variegata

Lemon Yellow Bauhinia Tomentosa, Butterfly tree
Comments
Post a Comment