Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2020

এশিয়ান মাজুস বা জাপানী মাজুস

আমাদের বাগানে স্বর্ণ চাঁপার টবে এই ছোট্ট সুন্দরী ফুলটির নাম এশিয়ান মাজুস বা জাপানী মাজুস (Asian mazus / Japanese mazus). আর, বৈজ্ঞানিক নাম মাজুস পুমিলাস (Mazus pumilus). গাছটি কুকুর ফুল পরিবারের সদস্য। আমার সব টবে এদের অবাধ গতিবিধি। মাঝেমাঝে মনে হয় তুলে দিই, কিন্তু গাছটি এতই নিরীহ, এতই ছোট যে বড্ড মায়া হয়। একটি আঙুলের ডগায় পাঁচটি মাজুস ফুল স্বচ্ছন্দে রাখা যায়, এতই ছোট। ফুলের সাদা ও পার্পল রঙের পাপড়ির ওপর হলুদের ফোঁটা এক আশ্চর্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। এর শিকড় বেশি গভীরে যায় না। দৈনন্দিন গাছে জল দেওয়ার পর ভিজে মাটিতে একটু টান দিলেই গোড়া শুদ্ধু মাজুস উঠে আসে। এমনও হয়েছে, হয়তো তুলে ফেলে দিয়েছি, কিন্তু ছাদ থেকে নেমে আসার সময়কি মনে করে কুড়িয়ে নিয়ে আবার পুঁতেও দিয়ে এসেছি। ফুল যেন আমাকে ডেকে বলে, আমি তো কোনো ক্ষতি করিনি। আমার প্রাণে সেই কান্না বাজে। মাজুসের কান্ড দুর্বল, তাই বেশি উঁচু হতে পারেনা। ইঞ্চি দুয়েক উঠেই হেলে পড়ে। তারপর বেয়ে চলে। এর পাতাগুলি সুন্দর। মসৃণ টেক্সচার, কিনারায় খাঁজ কাটা। সেই খাঁজগুলি আবার সিমেট্রিক্যাল। সে আরেক শোভা। পাতার আরেক বৈশিষ্ট্য হলে তারা কলাপাতার মতো, কান্ডকে আবরণ ক

Violet Garden Balsam বা Rose Balsam

বেগুনী রঙের এই সুন্দর ফুলটির নাম Violet Garden Balsam বা Rose Balsam. এর চলতি নাম Torenia বা Wishbone. Balsam হলো দোপাটি। কিন্তু এ আবার দোপাটি কোথায়! আর গোলাপ-ই বা কোথায়! কে এরকম নামকরণ করলো কে জানে। গাছটি প্রথম দেখেছিলাম আলিপুরের এগ্রি-হর্টিকালচারে। প্রথমে মনে হয়েছিল প্যানসি। ভীষণ ভালো লেগেছিল দেখে। ভালো করে দেখে জানতে পারলাম, না, এতো প্যানসি নয়। চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে সেদিন কর্মরত মালির সামনেই পত্নী একটি ডাল কেটে নেন। মালি সেদিন সব দেখেও কেন কিছু বলেনি তা আজ বুঝতে পারি। গাছটি আসলে জঙ্গুলে, বুনো গাছ। শাসন না করলে বাড়ি ঢেকে দেবে। আমাদের বাড়িতে এর খুব বাড়বাড়ন্ত। বাগানের অমন বেল ফুলের গাছ, জুঁই ফুলের গাছ, বালসমের অত্যাচারে বেচারিরা সব মুখ বুজে পড়ে আছে। সে যাক। Rose Balsam এর একটি গুণের কথা বলি। এ ফুল শীতে প্যান্সির মতো ফোটে, আবার বর্ষায় দোপাটির মতো ফোটে। আর ক্রমাগত বেড়েই চলে। কি করি!